হামাগুড়ি দিয়ে অনেক পথ হেঁটেছি আমরা। যেতে যেতে পায়ে জুতো পাল্টেছে, হাল ফ্যাশনের ধস্তাধস্তিতে প্রতিবেশীর ঈর্ষা গৌরব হয়ে ওঠেছে। নুনছাল ছাড়ানো ক্ষতে মলম বুলিয়েছে সুখী গেরস্তালির নিরাপত্তা। ধর্মের পাজামা গায়ে জিরাফের কাঁধে চেপে ঝলসানো মাংসে লালা ঝরিয়েছি। কে সাচ্চা আর কে লুচ্চা সবই হোয়াইট কলার।
ফুলকো লুচি নরম পাউরুটির লোভে বেপথে ঢুঁ মেরে প্রেমিকার জন্য এনেছি লাল গোলাপ। চুম্বনের পর এঁটো লালামাখা মুখে লুকিয়েছি বিরক্তির বক্ররেখা। দেওয়ালে সেঁটে রেখে ম্যানিফেস্টো, কাঁটা বেছানো বিছানায় ঘুমিয়েছি। এজলাসে খৈনি ঢলে দিয়েছি পেটমোটা ঘুষখোর আধিকারিকের রক্তমাখা হাতে। অফিসপাড়ায় ঘুর ঘুর করতে দেখেছি মেরুদন্ড বিকোনো যৌবনের কংকালদের।
ঘাম-রক্ত-বীর্য শুকিয়ে লেপ্টে আছে লাল ফিতের ফাঁসে আটকানো গুচ্ছ গুচ্ছ দলিলে। আলিঙ্গনের আগেই ফোরপ্লে সেরে ওর হাতে তুলে দিয়েছি রসালো কেচ্ছা। সাত হাজার দুশো আর পি এমে ঘুরছে স্মৃতিমেদুর গোল চাকতি। ঘর্ষণে শীৎকার, যন্ত্রণা না সোহাগ? মাথার ভেতর টনটন করছে পোয়াতি স্নায়ুমুখ। শেষবারের মতো হোয়াইট কলারে ইস্ত্রি দিয়ে নিই।
গলায় টাই বাঁধা বাকি। মনরে তুই খাঁচায় থাক।
রেলস্টেশনের কোনো এক ঘুপচি কোণে শেষ বেলার নিভু নিভু আলোয় একাকী বেহেড মাতাল হয়ে গান জুড়ব। দোহারে সঙ্গী হবে দিনরাত আমানুষিক খাটনি খাটা ঘেয়ো কুকুরেরা। এখন ভাদ্রমাস, ওরাও আমার মতো সঙ্গী খুঁজতে মরিয়া।
ভাগ্যিস ওদের গলায় আমার মতো দায়িত্বের চেন বাঁধা নেই। ওদের দেখে শিখে নিই ডগি স্টাইল, বাৎস্যায়নের পুঁথি এখন বড্ড সেকেলে। ওই যে ঘোঁত ঘোঁত করছে একটা মোটাতাজা মাদা শুকর। কেন যে আমরা শুয়োরের বাচ্চা বলে গালি দিই। নিবিষ্টমনে খাবার খুঁজছে বেচারি।
ওদের সমাজে প্রতারণা নেই, সন্দেহের বাতিক নেই। আহার-নিদ্রা-মৈথুনানি ঘিরে সাদামাটা জীবন। কসাইর হাতে আমরা সবাই বলি হই, তাই না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।