আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত
জোনাকিরা অনেক আগেই চলে গেছে
শূন্য বাঁলিয়াড়ি তীর ঘেঁষে,
গাড়ি গ্যারেজে কাজ করা যে ছেলেটি রোদ হবে বলে
সূর্যালোকে ধুয়ে নিয়েছিলো মলিন মুখমন্ডল,
তার কালিমাখা ইস্পাত তালুতে এখন
পোড়া ডিজেলের ঝাঁঝালো সুবাশ।
কেউকি দেখেছে? গোধুলীর সান্ধ্য আয়োজনে
অভিমানী মেঘগুলো শেষমেশ অন্ধকারে গুঁজে দেয় মুখ,
দু’চোখে আগুন মেখে ফুটপাতে দাড়িয়ে থাকা এক কিন্নরী
মেঘের সাথে সন্ধি করে মিশে যায় আসন্ন অন্ধকারে ।
শামুকের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে চলে নিরামিষ সময়,
রাস্তায় মাদুর পেতে হাজার বছর ধরে বসে থাকা
যে জুতোর কারিগর নতমস্তকে সেলাই করে চলে
শত সহস্র অগ্রজের সুকঠিন জুতোর তলা,
জীবন ও জীবিকার সারাংশ বোঝার আগেই
পুর্বপুরূষের মতো একই পথে হেঁটে হেঁটে তাকেও
এগুতো হয় বৈচিত্র্র্যহীন সেই একই পরিসমাপ্তির দিকে।
শুধু রোদগুলো ছায়া হয়,
ছায়াগুলো রোদ হয়,
কখনো দূর্বলতায় অসাড় হাতগুলো সমষ্টিবদ্ধ হতে চায়,
বিছানা বালিশের সাথে সুদীর্ঘ মিত্রতায় রোগাক্রান্ত শরীর
তারুন্যের লাল-নীল আলোয় নড়ে-চড়ে ওঠবার আগেই
নৈঃশব্দের খয়েরী আলোয় সব চুপচাপ.....নিথর.....
সূযোর্দয়ের পর বিরতিহীন শামুক জীবন আবারো গড়াতে থাকে
স্বপ্নের জীয়নকাঠি গোপনে বুকের কার্নিশে চেপে ধরে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।