আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙালির রক্তের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা নাই, জঙ্গীবাদের প্রতি অনাস্থা আছে

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে বাঙালি কখনও জঙ্গীবাদের ধারক হয়ে ওঠেনি। খোদ বিএনপি আমলে বাংলাভাইকে ধরে ফাঁসি দিতে বাধ্য হয়েছে। এদেশের মানুষের ধর্মমানসে নৈরাজ্য ও খুনের প্রতি অনাস্থা চিরকালিন। একজন চোরকে পিটিয়ে মারতে দেখলেও এদেশের মানুষ আতকে ওঠে। পিঠে বাবা-সোনা বলে চাপড়ে দেবার লোকের অভাব নাই।

ওই একটু আধটু চুরি করেছে বলে মেরে ফেলতে হবে! বাংলাভাই, জেএমবিকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী জামাতে-ইসলামী ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জনরোষে জেএমবিকে উৎখাত করতে বাধ্য হয়েছিলো। ফাঁসি দিতে বাধ্য হয়েছিলো। বোঝা যায় মানুষ সাম্প্রতিক উত্তেজনা শেষে প্রকৃতপক্ষে অসাম্প্রদায়িক ঐক্যতার পক্ষেই অবস্থান নেয়। ৭১ এর গণহত্যা বাঙালীর এই চিরায়ত দৃষ্টিভঙ্গীতে বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। ঐ নির্মম হত্যাযজ্ঞের পরে অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হয়েছিলো সাধারণ জনতা - সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই সম্মুখ সমরে প্রাণ হারিয়েছে দেদারছে।

৬ সপ্তাহের ট্রেনিং এ পাকিস্থানী প্রশিক্ষিত একটা সেনাবাহিনীর সামনে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিলো অদম্য মনোবল - নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ স্পৃহা। বাঙালি আক্রান্ত না হলে আক্রমন করে না। বাঙালি আগ্রাসনমূলক নয়। বাঙালি অহিংসার ধারক। বাঙালিরা মূলত শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী।

এখানে ধর্মের নামে যেকোনো নৈরাজ্যের, খুনের, সাম্প্রদায়িক আক্রমনের কোনো শেকড় নাই - কোনো ভবিষ্যত নাই। যারা এসব করছে, মানুষজন তাদের দেখছে। চিনে রাখছে। তাদের পরিচয় যত বেশী উন্মোচিত হচ্ছে, ততবেশী মানুষ এই উগ্রবাদী ধর্ম-ব্যবসায়ীদের আক্রমনকে ঘৃণা করছে। আমাদের পরিবার-প্রথার মধ্যে আছে সর্বমতের সঞ্চালন।

বাবা হয়তো পুরাতন ধ্যান-ধারণার অনুসারী, কিন্তু সন্তানটি হয়ে উঠেছে নতুন প্রজন্মের অহিংস চেতনাবাদী। মুক্তিযুদ্ধ তার কাছে মিমাংসিত এক রাজনৈতিক ইতিহাস - যুদ্ধাপরাধ তার কাছে অমিমাংসিত বিচার। এই প্রজন্ম চারদিকে, চারপাশে, সর্বগ্রাসী চেতনায় প্রতিভাসিত। এদেরকে উগ্রবাদের সহযোগী করা যাবে না, কিন্তু উগ্রবাদের প্রদর্শনীতে কেবল তাদের প্রত্যাখান অর্জন করা যাবে। বাংলাদেশ আজ জেগেছে কেবল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে।

তবে আমরা জানি এই ফাঁসির মাধ্যমেই শেষ হবে সকল উগ্রবাদের আস্ফালন - একে একে ধ্বংস হবে তাদের রাজনৈতিক দল, তাদের বাণিজ্যিক অবকাঠামো ও প্রভাব। ফাঁসিকাষ্ঠে যেদিন ঝুলবে গোলাম আজম, নিজামী, সাঈদী - সেইদিনই কবর রচিত হবে এদেশের সকল উগ্রবাদী রাজনীতির। এদেশের সকল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারণার। জয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.