আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্যের হাহাকার না বিমানবন্দরের হাহাকার

আবোল-তাবোল মানুষ তাই বলার কিছু নেই।

১। দেশে এখন নতুন বিমাবন্দরের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? ২। বিলে বিমানবন্দর নির্মান করলে, মেহনতি মানুষের ভাগ্যের কি পরিবর্তন ঘটবে? দুটি প্রশ্ন অনেক দিন ধরে মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে। উত্তর পাচ্ছি না।

উত্তরের পেছনে ছুটতে ছুটতে নিজেই নিরুত্তর। সংবাদ মাধ্যম কথা শুনে শুনে নিজে দিশেহারা। মুক্তি চাই। কিন্তু পাই না। উত্তরের অভাব নিজেকে আকরে ধরে।

বিরোধিতার সুর, পক্ষের সুর। সবাই নিজের জয়গান নিয়ে ব্যস্ত। অবলা সাধারন মানুষ। তাদের একটাই চিন্তা নিজের খাওয়ার ধান ফলানোর জমিটুকু থাকবে তো! নাকি সেই ভরষার জায়গাও হারিয়ে ফেলবে! দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে, পথ হারিয়ে দিশেহারা। তাই তো সবাই একযোগে রাস্তায়।

কিন্তু এখানেও অবহেলিত। অবহেলার শেষ কোথায়? রাস্তায় নেমে বাড়ি ছাড়া। পরের দিন ঘোষনা আরিওল বিলে বিমানবন্দর হবে না। স্বস্তির নিঃশ্বাষ, কিন্তু না, আবারই নিজের জয়গান। ঘোষনা, চেয়েছিলাম এলাকার উন্নতি করতে কিন্তু মানুষ যখন চাইল না তখন আমার আর কিছুই করার নেই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, উন্নতি কি শুধু বিমানবন্দরের মাধ্যমেই করতে হবে? এই প্রশ্নে ঊত্তর খোজা জরুরি? যেখানে মানুশ এখনও রাতের আধারে খোলা আকাশের নিচে ঘুমায়, অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করে, সেখানে আধুনিক নতুন বিমানবন্ধরের প্রয়জনিওতা কতোটুকু?? তার চেয়ে উপযোগী কোন কর্মপরিকল্পনা কি দেশের মানুশের উপকারে আসত না! যে বিমানবন্দর গুলো আছে সেগুলোকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্বমানের করে তোলাটা কি যুক্তিযুক্ত না! তারপর আরেক পক্ষের আকুতি পদ্মার পারে বিমানবন্দর করতে হবে। সেখানে নাকি জনগণের সমর্থন আছে। সেজন্য তারা প্রধানমন্ত্রির কাছে স্মারকলিপি পাঠাবে। প্রশ্ন জনগণের সত্যিকারের সমর্থন আছে কি? আমার বিশ্বাস, সত্যিকারের তৃণমূল মানুষের কাছে প্রশ্ন করা হয় যে, আপনারা কি আপনাদের এলাকায় বিমানবন্দর চান? উত্তর হবে- না? তাদের উত্তর হবে- আমরা আমাদের বাপের ভিটাই থাকতে চাই, জমি চাষ করতে চাই? তাহলে কার স্বার্থে এই নতুন বিমানবন্দর? সতিকারের প্রয়োজন যদি হয়, তাহলে অনাবাদি জমিতে বিমানবন্দর নির্মাণ করে কৃষকদেরকে শান্তিতে ঘুমাতে দেওয়া হোক। এক অবলা সাধারন মানুষ ধ্রুব রায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.