সিরাজ গঞ্জের শাহজাদপুর থানাটি তুলুনামূলক নিচু । এ এলাকায় প্রধান ফসল ধান যা বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে রোপন করা হয় এবং তা পরবর্তী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে কৃষক ঘরে তুলতে ফসলের সন্তানসম যত্ন আত্তি করেন । এর ফাক তালে অবশ্য ঘাস বা ডাল জাতিয় ( সাধারণত যে গুলো গো খাদ্য হিসেবে চাষ করা হয় ) ফসল চাষ করা হয় । যেহেতু ঐ সকল উপরি ফসল চাষ করতে বেশি সময় লাগে না তাই ও ফসল গুলো কৃষকের কাছে বোনাস আবাদ হয়ে য়ায় । বোনাস আবাদ বলছি এ কারণে - শাহজাদপুর এলাকার জমি গুলো এক ফসলী জমি ।
তাই ধান আবাদই এদের প্রধান ফসল চাষের মধ্যে পড়ে ।
প্রতি বছরই এ অঞ্চলের মানুষ তাদের কষ্টার্জিত ফসল কাটার সময় একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় কারণ ধান রোপন নাবী হলে কাটতেও নাবী, এ রকম হলেই মহা বিপদ । কারণ জৈষ্ঠ্য মাসের ১৫ তারিখ থেকেই যমুনা, করতোয় আর বড়াল নদীর পানি বাড়তে থাকে এবং আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহেই খাল --বিল , নদী- নালায় পানি আসতে শুরু করে । আর তখনই মর্মান্তিক -হৃদয়বিদারক দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে । কারণ কৃষকের সন্তানসম ধান বর্ষার পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে ।
তখন সন্তানের করুন মৃত্য দৃশ্য দেখা ছাড়া কৃষকের আর একটা কাজই থাকে আর তা হল -" ডুকরে কাঁদা" ।
এবার যদিও ধান লাগানো নাবী হয়নি । তবুও কৃষক তাদের ধান নিয়ে অনেক চিন্তিত । জমিতে ধান পেকে সোনা বর্ণ ধারণ করলেও তাদের নতুন অতিথী কে বাড়ি আনতে পারছে না । গত কয়েকদিনের আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে পাকা ধান ক্ষেতে রেখে কৃষকের তো আর বাড়িতে কৃষানীর পেতে দেয়া নরম বিছানায় ঘুম আসছে না ।
ওদিকে আষাঢ়ের আগমন - নদীর পানি বৃদ্ধি , প্রতিকুল আবহাওয়া এসব মিলিয়ে - শাহজাদপুরের - রেশম বাড়ি, পোতাজিয় ,রতন কান্দি, বিল চান্দো, ভাই মারা আরো অন্যান্য নিচু এলাকার কৃষকেরা বড় শংকায় দিনাতিপাত করছে ।
কৃষকদের এই শংকার কিছুটা লাঘব ঘটত যদি বড়াল নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করা যেত । যদিও রাউতারাতে একটি স্লুইসগেইট আছে কিন্তু তার কোন কার্যকারিতা নাই । কারণ সেখানে প্রায় প্রতিবছই বন্যায় বাধঁ ভেংগে য়ায় ।
এলাকার নিজস্ব উদ্যোগে ধান কাটা পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী বাধটি রক্ষা করে বলেই কৃষকেরা কোনমতে তাদের ধান গুলো ঘরে আনতে পারে ।
কিন্তু এবার গত কয়েকদিনের নিন্মচাপের ফলে সেই জোড়া তালিদেয়া বাধঁ যাদি ভেঙে যায় ( !)তাহলে কৃষক তো না খেয়ে মরবেই সাথে আপনারা শহরবাসীরাও !
যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন বিষয়টি খতিয়ে দেখে আতি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষক বাঁচান পাশাপাশি দেশের সকল জনগণের খাদ্য নিশ্চিত করতে সহায়তা করুন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।