শূন্য
তপ্ত কাঠফাটা রোদে যখন আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে
দূরন্ত গতিতে চলন্ত কার যখন ধূঁলো ছড়িয়ে পালিয়ে যায়
ঠিক তখনই তোমায় মনে পড়ে ।
এখন তুমি কোথায় আছো , কেমন আছো
ভালো আছো কিনা জানিনা ।
চিলেকোঠার বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন
নিচের কোলাহল , লোকের ভীড় দেখি
দূরন্ত বৃষ্টিতে মানুষ যখন
আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে
ঠিক তখনই মনে হয়
আমিও ছিলাম তাদেরই একজন ।
ঠিক এভাবেই ছুটতাম দ্বিকবিদিক হারিয়ে
কখনো বা জীবিকার খোঁজে কখনো বা তোমার ।
তখন পাইনি কোনটিই
অবশ্য প্রথমটি পেলে দ্বিতীয়টিও পেতাম ।
আজ যখন পায়ের নীচে শক্ত মাটি পেলাম
তখন তুমি নেই ।
হারিয়ে গেছো না চলে গেছো জানিনা
শুধু জানি তুমি নেই ।
এই এপার্টমেন্টে কারো সাথেই তেমন আলাপ নেই
অবশ্য সরাসরি আমার নিচেরটি ছাড়া ।
মিসেস স্বর্ণালী একজন আধুনিক , শিক্ষিতা আর চোঁখ ধাঁধানো সুন্দরী ।
রোজ রাতে তার কোটিপতি স্বামী
যখন মাতাল হয়ে ঘরে ফিরে
আর ফিরেই নাঁক ডেকে ঘুম
তখন তার আর কিছুই করার থাকে না
কোন রকমে পরম যতেœ
জুতো জোড়া খুলে দেয়া ছাড়া ।
মাঝ রাত্রিতে যখন মিসেস স্বর্ণালীর কান্নার শব্দ পাই
তখন জানালায় বসে শুধু নিকোটিন পোঁড়াই ।
একদিন চোঁখের ইশারায় বলেছিলেন -
“অবসরে এসো , গল্প করা যাবে । ”
যাইনি পাছে ভূল করে হলেও
তুমি এসে যদি ফিওে যাও তাই ।
মিসেস স্বর্ণালী হয়ত তোমার মতই
সুখে , স্বাচ্ছন্দে থাকতে চেয়েছিলেন ।
যে সুখের কাছে তুমি নিজেকে বিক্রি করেছো
সেথায় তুমি সুখী তো ?
তুমিও কি সেই একই ভাবে
চোঁখের ইশারায় কাউকে নির্জনে ডাকো ?
আজো তোমারই অপেক্ষায়
এই আমি
ছায়ার মানুষ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।