আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাকর



বর্তমানে একটি নতুন শ্রেনীর সৃষ্টি হয়ে ছে যারা নিজেদের কে সমাজের মাথা মনে করে। এরা এক প্রকারের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় । এদের হাতে অর্থ আছে । ক্ষমতা আছে , যদিও তা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ । এরা ক্ষমতা কে নিজের নিযুক্ত করা কর্মী দের ওপর খাটিয়ে এক ধরণের মানসিক শান্তি পায় বলে আমার মনে হয়।

এই কর্মী সম্প্রদায় কেই আমি চাকর আক্ষা দিয়েছি। এদের মধ্যেও প্রকার ভেদ আছে , প্রথম প্রকার :- যারা নিজেদের কে প্রভুর কাছা কাছি রাখতে ভালো বাসে। ভাবে প্রভুর নেক নজরে থাকলে বোধহয় বৎসর অন্তে ভালো মাইনে বারবে। এখন যে অবস্থায় আছে তার থেকে আরও একটু ভালো অবস্থায় থাকবে। সারা বছর (অ) কাজ করার পর যখন শেষে কিছু হয় না তখন প্রভুকে যারপরনাই গালি গালাজ করে, আবার পরের বছরে র জন্য প্রস্তুত হয়।

তবে এরা প্রথম দিকে ক্ষতি কারক হলেও, আদপে এরা তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না। কারণ এরা অন্তসার শূণ্য। দ্বিতীয় প্রকার :- উপরি উক্ত প্রভূ শ্রেণীর পরিচিত। পারিবারিক সম্পর্ক যুক্ত। এরা অনেক টা কঞ্চী শ্রেণী ভূক্ত।

কর্মক্ষত্র ছাড়া ও এদের কাছে প্রভুকে তৈল মর্দন করার অনেক জায়গা থাকে । যেমন নিজের বাড়ি, অসুবিধা থাকলে অফিস ছুটি হওয়ার পর, আলাদা ভাবে সময় দিয়ে, অথবা নিজের অধস্তন কর্মী দের কম টাকা দিয়ে আরও বেশী কাজ কি ভাবে করিয়ে নেওয়া যেতে পারে তার সদ্‌উপদেশ দিয়ে। এরা অত্যন্ত ক্ষতি কারক হয়। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এতো নিচে নামতে পারে যা আমাদের মত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী দের কল্পনার অতীত। আরো একটি বৈশিষ্ট এদের মধ্যে দেখা যায়, প্রয়জনাতিরিক্ত মিথ্যা কথা বলা এবং তা বলতে গিয়ে একসময় খেই হারিয়ে ভুল বকা।

তবে এদের ভুল , ভুল বলে ধরা হয় না। কারণ এরা প্রভু দের কাছের মানুষ। এরা যদি বলে পৃথিবী চৌক তা হলে তাই মেনে নেবে সকলে বিশেষ করে পৃভু সম্প্রদায় ভুক্ত লোকেরা। আমাদের হাজার বলা তেও ওরা কিছুই বুঝতে চাই বে না। এ বার পরে রইলাম আমরা , যাদের মামা বা কাকা কেউ নেই ।

যারা সারাজীবন পড়াশুনা করে বড় হবার আশায়। একটা ভাল চাকরি ( চাকর গীরি ) করার আশায়। আমরা হলাম :- তৃতীয় প্রকার : আমরা সকাল বেলা বাড়ি থেকে বের হই, বাড়ির অন্ন ধ্বংস করে। অফিস এ এসে শুরু হয় আর এক প্রহসন। সবার মধ্যে এমন একটা ভাব প্রকাশ পায় যেন আমরা অফিস এ থেকে অফিসের কেবল মাত্র মাইনে ধ্বংস করছি।

আমাদের কোন কাজে লাগেনা । যেন আমাদের রেখে অফিস আমাদের ওপর দয়া করছে। এটা আরো ভাল করে বোঝা যায় এপ্রিল মাস এলে, তখন আবার সবাই কেমন পাল্টে যায়। তখন শুরু হয় ভুল বোঝানোর খেলা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.