আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের কারাগারের 'জামাই'রা ব্যবহার করছেন মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট



প্রভাবশালী বা দুর্ধর্ষরা পাকড়াও হলেও জেলে আদর-সমাদরে থাকে বলে একটা কথা চালু আছে। এ চালু কথার বাস্তব কিছু ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। কারাভ্যন্তরে জঙ্গি, দুর্ধর্ষ বা প্রভাবশালীরা নানা ধরনের সেবা পায়, ডিভিশনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে। এমনকি আমোদ-ফুর্তির আসর বসানোর সুযোগও পায় তারা। আর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ তো রয়েছেই।

এক সময় এ যোগাযোগের মাধ্যম ছিল জেলখানার কর্মচারীদের মাধ্যমে পাঠানো চিরকুট বা চিঠি। তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সুবাদে পরবর্তীতে জেলে অনুপ্রবেশ করে মোবাইল ফোন। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং প্রভাবশালীদের কারও কারও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংবাদ আমরা জেনেছি। তখন এগুলো বিবেচিত হয়েছিল এক্সক্লুসিভ বা চাঞ্চল্যকর সংবাদ হিসেবে। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি-প্রেক্ষাপটে কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহার অনেকটা বাসী সংবাদ।

কারাবন্দী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা এখন ব্যবহার করছে ল্যাপটপ। সেই ল্যাপটপে রয়েছে ইন্টারনেট, মডেম সংযোগ। তথ্য-প্রযুক্তির এ অপব্যবহার কারাবন্দী সন্ত্রাসীদের জন্য পোয়াবারো অবস্থার সৃষ্টি করেছে। সহজ করেছে অন্ধকার জগতের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ, সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র ব্যবসাসহ সব অপকর্ম। কারাগারে বসেই তারা মোবাইল-ইন্টারনেটে সহযোগীদের সংগঠিত করছে।

হুমকি ও চাঁদা দাবির মতো কাজ সারছে। যে কেউই জানেন_ সন্ত্রাসী, জঙ্গি বা প্রভাবশালীরা কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের অপকর্মে সফল হতে পারে না। আমরা মনে করি, এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের শক্ত উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে সক্রিয় হবেন এবং সন্ত্রাসীদের হাতে তথ্য প্রযুক্তির সুযোগ পেঁৗছে দেয়ার অপকর্মে জড়িত জেল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন এটি একান্তভাবেই কাম্য।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.