নিজের কথা প্রকাশে ব্লগের চাইতে ভালো কিছু আর কিইবা হতে পারে।
কারাগারের বন্দীদের নিয়ে আমার আগ্রহের শেষ নাই। নানান রকম ছল চাতুরি কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকবার ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের ভিতরে গিয়েছি ওদের জীবনটা দেখার জন্য। যখনই ঢাকার বাইরে কোন ছোট শহরে যাই উচু পাচিল ঘেরা জেলখানা আমার মনযোগ কিছুক্ষনের জন্য হলেও টেনে নেয়। সবসময় মনে হয়েছে আমার আশপাশের সব কিছু নিয়ে যতকিছু আছে তার সবটুকুই তো আমি জানি।
কিন্তু উচু প্রাচিরে আড়াল করা জেলখানার ভিতরের যে জীবন, সেইটাকে তো বুঝিনা। ওই জীবন তো কোন আংশিক জীবন না। অনেকের জন্য পুরো জীবন। কৌতুহলটা বোধহয় এই কারনে অনেক বেশী। জেলখানা নিয়ে যখনই কোন মুভি পাই তখনই তা দেখার জন্য অস্থির হয়ে উঠি।
কিছু মুভি, যে গুলো আমার মনে আছে তার একটা লিস্ট বানালাম। যদি আরো মনে আসে তবে এই লিস্টটা আরো বড় করবো।
১। দি হারিকেন (The Hurricane) : ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছে।
ড্যানজেল ওয়াশিংটন অভিনয় করেছে।
বিখ্যাত বক্সার রুবিন হারিকেন কার্টারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে কোর্ট। বিচারটা যে বেঠিক ছিল তা এই ছবিতে তুলে ধরা হয়। হারিকেনের এক কিশোর ফ্যান জেলের বাইরে থেকে তার মুক্তির জন্য লড়তে তার অভিবাবকদের অনুপ্রাণিত করে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তারা জয়লাভ করে। রুদ্ধশ্বাসে দেখার মতন সিনেমা।
২। প্যাপিলন (Papillon): ১৯৭৩ সালের সিনেমা।
স্টিভ মেককুইন ও ডাস্টিন হফম্যানের অনবদ্য অভিনয়ের ছবি।
৩। দি শসাংক রিডেম্পশান (The Shawshank Redemption): ১৯৯৪ সালের সিনেমা।
মরগ্যান ফ্রি ম্যান ও টিম রবিনস অভিনীত অল টাইম ক্লাসিক মুভি। টিম রবিনস যাবজ্জীবন কারাবাস পায় নিজের গার্ল ফ্রেন্ডকে হত্যার জন্য। কঠিন ধৈর্য্য আর মেধার বিনিময়ে কুখ্যাত শসাংক জেলে নিজের ভাল ইমেজ তৈরী করে জেল থেকে পালানোর নিখুত প্ল্যান করে এবং সফল হয়।
৪। ব্যান্কক হিলটন (Bangkok Hilton): ১৯৮৯ সালের সিনেমা, মুলত: টিভি সিরিয়াল।
নিকোল কিডম্যান, অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে তার বাবাকে খুজে পেতে লন্ডন থেকে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছিল। ব্যান্কক ছিল ট্রানজিট আর সেখানে এক ফটোগ্রাফারের প্ররোচনায় কিডম্যান ড্রাগ সহ একটা ব্যাগ বহন করতে চেয়ে ফেসে যায়। সেখান থেকে জেলে এবং জেল থেকে পরবর্তীতে পলায়ন। নিকোল কিডম্যানের প্রথম দিককার মুভি কিন্তু এটা ছিল তার অসাধারণ অভিনয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।