দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি / যাহা আসে আজ কই তাহা মুখে
.........................
.........................
.........................
.........................
মানুষ যেন কথায় কথায় স্ত্রীকে তালাক না দেয় এজন্য ইসলামে তালাক প্রক্রিয়াকে জটিল করা হয়েছে। তালাক হল ইসলাম কর্তৃক অনুমোদিত সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। আল্লাহ এটা পছন্দ করেন না এবং অন্য সকল উপায় যখন ব্যর্থ হয় তখনই কেবল তালাকের কথা বলা হয়েছে।
আর তালাকের পর মহিলাদেরকে তিন মাস ইদ্দত পালনের বিধান করা হয়েছে অর্থাৎ এই তিন মাস তারা বিয়ে করতে পারবেন না।
এটি করা হয়েছে উক্ত মহিলার গর্ভে কোন সন্তান আছে কিনা তা নির্ধারণের জন্য অর্থাৎ সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণের জন্য।
তালাকের পর স্ত্রীকে ইচ্ছা করলেই গ্রহণ করা যায় না। তার অন্যত্র স্বেচ্ছায় বিবাহ হতে হবে এবং ঐ স্বামী যদি মারা যান অথবা স্বেচ্ছায় স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন (এক্ষেত্রে কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা কৌশল অবলম্বন করা যাবে না) তবে পূর্বের স্বামী চাইলে তিন মাস ইদ্দত পালনের পর উক্ত মহিলাকে বিবাহ করতে পারবেন।
কিন্তু তথাকথিত আলেম নামের কিছু লম্পট ফতোয়াবাজ হিল্লা বিয়ের নামে সমাজে এক উদ্ভট নিয়ম চালু করেছে,এ নিয়ম অনূসারে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে প্রথমে নানা বা দাদা সম্পর্কের কারো সাথে বিয়ে দেয়া হয় অতঃপর তালাক দেয়া হয় এবং পূনরায় পূর্বের স্বামীর সাথে বিয়ে দেয়া হয়।
মুসলিম ভাইয়েরা এইসব ফতোয়াবাজ কাঠ মোল্লা থেকে সাবধান হিল্লা বিয়ের নামে যা করা হচ্ছে এটা আল্লাহর নির্দেশের সুষ্পস্ট লংঘন এবং নারীকে খেলার সামগ্রীতে পরিনত করার পায়তারা ছাড়া কিছুই নয়।
ইসলাম আসবার পুর্বে তৎকালীন আরব সমাজে মহিলাদের সম্মান বলে কিছু ছিল না,পিতা বা স্বামীর সম্পত্তিতে নারীর কোন অধিকার ছিল না, এমনকি কন্যা সন্তানকে জীবীত কবর দেয়া হত।
ইসলামই সর্ব প্রথম নারীকে তার উপযুক্ত মর্যাদা দান করেছে,নারীকে দিয়েছে সম্পত্তির অধিকার,মত প্রকাশের অধিকার,শিক্ষা লাভের অধিকার,চাকরি,ব্যবসা সহ অন্যান্য সকল বৈধ কাজ যা পুরুষরাও করতে পারে।
এমনকি "মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত এই ঘোষণা দিয়ে ইসলাম নারীকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছে"।
তবে ভাই শুধু ফতোয়াবাজদের দোষ দিলে হবে না দোষ আমাদেরও কম নয়। আমরা যখন উপরে উঠে যাই সমাজ তখন আমাদের কাছে করুণার পাত্র হয়ে যায়। সমাজের সংস্কারের বদলে আমরা সমাজের সমালোচনাতেই নিজেদেরকে বেশি নিয়োজিত রাখি।
আর ঘটনা ঘটার পরে আমাদের মুখে কথার খই ফোটে কিন্তু ঘটার পূর্বে আমাদের কোন খোজ থাকে না,যেন আমরা ঘটনা ঘটার জন্যই সারাবছর অপেক্ষা করি। আর আমাদের অনুপস্থিথির এই সুযোগে সমাজে উত্থান ঘটে এই সব অশিক্ষিত ফতোয়াবাজদের। সম্প্রতি দেশে বেশ কয়েকটি দূঃখজনক ঘটনা ঘটে গেছে।
আর আমার কিছু ব্লগার ভাইকে দেখেছি ব্লগে ঝড় তুলতে (যেন সাইক্লোন)। কিন্তু এতটুকুই এর পরে কেউ কখনো ভিকটিমের পরীবারের খোজ নিয়েছে বা কোনরকম সাহায্য করেছে বা সমাজের মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই।
এই সকল ভাইয়েরা আসলে চায় না যে দেশে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক, কারণ ঘটনা না ঘটলে তো তাদের কোন কাজ থাকবে না,চায়ের কাপে বা ব্লগে ধর্মকে কটাক্ষ করে ঝড় তোলা যাবে না।
যদি সত্যিই আমরা কিছু করতে চাই তাহলে যার যার জায়গা থেকে শুরু করতে হবে,ধর্মের ভুল ব্যাখ্যাকারীকে প্রতিহত করা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব তা আপনি আস্তিকই হোন আর নাস্তিকই হোন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।