আমাদের দেশের মানুষ আর আগের মত অন্ধকারে বাস করে না। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মত যদিও আমরা এগিয়ে যেথে পারিনি। তারপরও পিছিয়ে পড়েছি একথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবে না। কারণ আমরা তো আগের মত অন্ধাকের থাকি না দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে জ্বলছে আজ বিজলি বাতি। প্রত্যক ঘরের কেউ না কেউ স্কুলে যাচ্ছে।
আগের মত কেউ আর জমি বিক্রি করতে গেলে টিপসই দেয় না। জনগণের প্রত্য ভোটে নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে মহিলা প্রার্থীরা।
তবে কিছু েেত্র আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এতে বেড়িয়ে আসতে পারছি না। এসিড সন্ত্রাস পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি ব্যাপক প্রচারণার পরও।
মাসের মধ্যে কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে এর দ্বারা। এ থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে এসিড নিপেকারীকে যত তারাতারি সম্ভব মৃত্যুদন্ড প্রদান করলে এর হাত থেকে আমরা রেহাই পাব বলে বিশ্বাস।
ফতোয়াবাজদের ফতোরয়ার অক্টোফাস থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না । একের পর এক ফতোয়ার শিকার হচ্ছে নিরীহ দরিদ্র গ্রামের মানুষ গুলো। ২য় বারের মত হিল্লা বিয়ে দিতে বাধ্য করা হ্েচ্ছ সুফিয়াকে।
রাগের মাথায় সূয়িার স্বামী মোতালেব হোসেন তার স্ত্রীকে তালাকের কথা বলেন। আর একথাই তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হবার পর গ্রামের মাতব্বর খলিল খা ও বেলাল মুন্সীর নেতৃত্বে একদল সুবিধা ভোগী মানুষ তাদের এক ঘরে করে রেখেছেন হিল্লা বিয়ে রাজী করার জন্য। অথচ সুফিয়া ও তার স্বামী সংসার করতে রাজী। তাদের পরিবারের কারোই কোন অভিযোগ নেই সুফিয়াকে নিয়ে।
সুফিয়ার স্বামী কাজে ঢাকায় গিয়ে ফিরে আসার পর তার সাথে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের আলাদা থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এর পাচ বছর আগে আরেক বার এই গ্রাম্য মাতব্বরদের ফতোয়ার কারণে হিল্লা বিয়ে বসতে বাধ্য করা হয়েছিল সুফিয়াকে। সুফিযাকে যদি জোর করে হিল্লা বিয়ে দেওয়া হয় তবে তার ১৪ বছরের ছেলে সুজন কি করে এলাকাতে চলাফেরা করবে। সবাই তার দিকে আঙ্গুল উচিয়ে বলবে এই যে সুজন যাচ্ছে তার মায়ের দুবার হিল্লা বিয়ে হয়েছে।
এই লজ্জায় হয়তো যে কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে সে। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটই্ল উপজেলার রৌহা গ্রামের গৃহবধু।
পটুয়াকালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরলী গ্রামে এক ফতোয়ার শিকার হন আরও এক দম্পতি। হারুন তার স্ত্রীকে তালাক দিতে না চাইলেও পরিবারের চাপে সে মুখে তালাক দেয়। কিন্তু হারুন কোন ভাবে তার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চায় না।
নুর চেহরাকে নিয়ে চালিয়ে যেতে চায় তার সংসার। কিন্তু এসময় বাধ সাথে এই সমাজের কথিপয় সুবিধা ভোগী মানুষ। তার মেনে নেবে না এই সংসার তাই পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে হারুন ও নুর চেহারার তার চলে যায় ঢাকায়। বাবার অসুস্ততার খবর শুনে বসে থাকতে পারেনি নুর চেহরা চলে আসে গ্রামে। আর তখনই ফতোয়াবাজরা আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
জড়ো হয় মহিলা ইউপি সদস্য খুকুমণির বাসায়। খুকুমণির স্বামী বাশার খলিফা, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন ও হাবীব মৌলভীর নেতৃত্বে হারুন ও নুর চেহরাকে ১০১ টা করে দোররা মারা হয়, এতে জ্ঞান হারান দুজন। তবে কয়েকজন মিডিয়া কর্মীর উপস্থিতির কারণে হিল্লা বিয়ের হাত থেকে রা পান হারুণ ও নুর চেহরা।
গ্রামের মাতব্বর খলিল খা ও বেলাল মুন্সীর নেতৃত্বে একদল সুবিধা ভোগী মানুষ সুফিয়া ও মোতালেব দম্পতিদের বাধ্য করছে হিল্লা বিয়েতে। তাদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করতে যাতে পরে আর এধরণের কোন ফতোয়া দিতে তাদের আর সাহস না পায়।
অন্য দিকে কি ভাবে দুজন জনপ্রতিনিধির সহযোগীতায় এধরণের একটি কাজ হল তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে তারাই কিনা এমন কাজের সহযোগীতা করল। অথচ তাদের উচিত ছিল হিল্লা বিয়ে ঠেকানো। প্রশাসনের উচিত এদের শাস্তি প্রদান করা। এবং তাদের ইউপি সদস্য পদ বাতিল করা।
তবে কেউ এধরণের কাজ করতে সাহস পাবে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।