আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রথম ক্রাশ

একজন চরম বোরিং মানুষ, কোন এক্সসাইটমেন্ট নাই আমার মাঝে। চিল্লাপাল্লা ভালো লাগেনা।

আমার প্রথম ক্রাশ(ক্রাশ শব্দের এই অর্থ আমার এক বান্ধবীর কাছ থেকে শেখা, যে প্রতিনিয়ত এর শিকার, বিশেষত স্যারদের) রঙ্গিন সময়টা সব সময় রঙ্গিন, সবাই রঙ্গিন লাগে। বয়সটা কত ছিলো তা জানি না, তবে তখন ক্লাস ৭ অথবা ৮ এ পড়তাম। বয়েজ কলেজে পড়ি বিধায়, কল্পনার সব রঙ, সব রঙ তখন আমার আশে পাশে বিদ্যমান।

তবে দিনক্ষন ঠিক করে তো আর আমরা ক্রাশ হই না, হঠাত করেই হই। তবে আমার টা বোধহয় ছিলোই নাকি কে জানে। ম্যাবস কোচিং সেন্টার। প্রথম দিন, এতগুলো ব্যাচের মাঝে আমার ব্যাচ কোনটা তাতো জানতাম না। আর এখনকার সময়ে কোচিং সেন্টার ব্যাবসা যেমন জমজমাট তখন ও সেই তকমা টি তাদের গায়ে লাগেনি।

ভাগ্যবশত আমি একটু তাড়াতাড়ি এসেছিলাম বোধ হয়। দুইটাতে ক্লাস চলছে। অন্য একটাতে একটা মেয়ে বসে আছে, তখনও আমার বয়সী মেয়েদের গড়ন কেমন হতে পারে তা মাথায় পুরোপুরি ঢুকে নি। ব্যাপার কি!, এখনো বুঝি না। এম বি বি এস ৪র্থ বর্ষে পড়েও, মাঝে মাঝে কলেজের মেয়েদের খালাম্মা খালাম্মা মনে হয়।

যাই হোক তাকে জিজ্ঞেস করলাম কখন ক্লাস, মিলে গেল। আমি সর্বোচ্চ দুরবর্তী স্থানে বসলাম। ভয় ও আছে, কেননা আমি তখন ও ভালোমতো বুঝে উঠিনি, সে ছেলে না মেয়ে। যে কাপড় চোপড় পরছে রে বাবা। দূরে বসতে গিয়ে না আবার, মেয়েদের পাশে গিয়ে বসি।

কিন্তু ধাক্কা যা লাগার তাতো লেগেই গেছে। আর আমারো কোচিং এ আগে আগে আসার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আগে আসতাম, আর তার সাথে গল্প করার ফন্দি খুজতাম। যদিও অতি অল্পই গল্প করবার মত আমি বিষয় থাকতো আমার কাছে। মেয়েটার নাম ছিল এ্যনি।

বলে রাখা প্রয়োজন আমার দাদি বাড়ির বাথরুমে বদনার নাম ছিল এ্যনি বদনা। তাই যতবার দাদি বাড়ি, বাথরুমে যেতাম, ততবার তার কথা মনে পড়ত। দাদি মারা গিয়েছেন, কিন্তু বদনাটা আজো আছে। থাকবেও মনে হয়। মানুষ মরে যাবে, তবে বদনা থেকে যেতেও পারে, প্লাস্টিকের তো।

শেষ হল কিভাবে, ????????????? কোচিং যখন কাউকে দেখার উদ্দেশে করা হয়, তখন কি আর পড়া হয়?ফলে আমিই ছেড়ে দিলাম। শেষ দেখা হয়েছিলো!!!!!!, একদিন কলেজে যাচ্ছিলাম, রিকশার সাইড নিবার জন্য হাত বাড়িয়ে পিছনে তাকাচ্ছি,তখন মাথার মধ্যে অন্য কিছু। কল্পনাও করতে পারিনি যে আবার দেখা হবে। তখন সেই পরিচিত মুখ। অনেক অনেক সুন্দর তুমি।

কিন্তু কিন্তু দিন চলে যায়, তাকে আমি ভুলে যাই। আর ভুলবনা। এই লেখা দিয়ে তোমাকে অমর করে দিলাম। ভুলেও কেউ আমার ফ্রেন্ড লিস্টে সার্চ দিবেন না। সাবধান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.