আত্মনির্ভরশীল,দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি মুক্ত একটি শিল্পোন্নত আধুনিক সুশিক্ষিত বাংলাদেশ আমরা তরুনরাই গড়ে তুলতে পারি। আর সে জন্য দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। সিদ্ধেস্বরীর ফেরদৌসী ম্যাডামের কাছে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের জন্য এক মাসের ঝটিকা কোর্সে ভর্তি হলাম।
প্রথম ক্লাসেই খুব খুশি,ছেলের চেয়ে মেয়ে বেশি। বেশ কয়েক জন মেয়ে ছিল চোখে পড়ার মত,এর মধ্যে একজন বলা যায় মাথা নষ্ট করে দিল।
জানি না,তার কটা মণির চোখ নাকি তার ঠোঁটের দুই পাশের বাঁক,আমার শান্তি পুরো হারাম করে দিল। যদিও সে ফর্সা না,শ্যামলা ছিল। তারপর আবিষ্কার করলাম শুধু আমি না,ক্লাসের অন্য সবাই তার উপরই ক্রাস খাইসে। ক্লাসে গিয়ে কিছুক্ষণ পর পরই চোরা দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাই,তারপরো কিছুতেই মনে সাধ মেটে না। দিন দিন অবস্থা করুন হতে থাকে।
এরকমই এক সময় একরাতে কারেন্ট নাই,আমি মোমবাতির আলোয় সিদ্ধান্ত নিলাম,যা থাকে কপালে,কালকেই ক্লাসে কথা বলতে হবে ঐ মেয়ের সাথে; এভাবে আর পারা যায় না।
এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর আমার নার্ভাসনেস আরো বাড়তে থাকে। আম্মু বুঝে ফেলেন কিছু একটা হইসে আমার। কি হইসে জিজ্ঞেস করতেই কি মনে করে সব ডিটেইলস বলে দিলাম। আম্মু আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন,'ঠিক আছে।
কালকে আমি যাবো তোর সাথে কোচিং এ। দেখি মেয়েটাকে!'
আমি তো পুরাই তব্দা,একই সাথে বেশ শান্তিও লাগছিলো। তখন বুঝি নাই আম্মু কি চালটা দিয়েছিলেন।
আম্মু এত সহজে আমার কথা মেনে নিয়ে ঐ মেয়ে কে দেখতে রাজি হয়ে যাওয়ায় আমার আকর্ষণ হঠাৎ করেই পড়তে থাকে। পরদিন আম্মুকে নিয়ে গেলাম,আগে আগেই গেলাম।
ওই মেয়ে আসলো,আম্মুও দেখলেন। আমি বললাম কেমন?আম্মু বললেন,'ভালই তো। যদিও তোর জন্য একটু খাটো। '
ক্লাসের পর আম্মু বললেন,'ভাবছিলাম মেয়ের গার্জিয়ানের সাথে পরিচিত হব,কিন্তু মেয়ে তো বাপরে নিয়া আসছে। ' আমার ততক্ষণে ক্রাস-টাস সব শেষ।
বললাম,'বাদ দাও তো। চল বাসায় চল। '
যদিও ওই মেয়ে আমার লাইফের প্রথম ক্রাশ,এতদিন পরে এসে মেয়ের নামটাও মনে করতে পারি না। জানি না এখন কোথায় পড়ছে ওই মেয়ে,কেমন আছে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।