ৃৃৃৃৃ
জননী
কামরুন নাহার কান্তা
জননী ! তোর উঠোনে ছড়ানো বুঝি হাজার মানিক রতন।
অ – আ – আর – ক – খ – গ তাই বুঝি,
আঁচল পেতে দিলি বিলিয়ে , মোদের তরে করে যতন।
তোর উঠোনে রৌদ্র করে নিত্য খেলা,
বৃষ্টি নাচে নুপুর পায়ে টাপুর টুপুর ছন্দে ।
কুমড়োফুলে বসে, প্রজাপতির মেলা।
খেলে শিশুর দল , গায়ে মাটি কাঁদা মেখে।
শীতের চাদর জড়িয়ে চন্দ্র, ওঠে ফিক্ করে হেসে।
নজরুল,লালন ফকির,হাসন রাজা,আব্দুল আলিম
এরা তোরই সন্তান-ধন।
গর্ভে ধরলি
করলি যতন।
আজ বুঝি জননী!
হারাতে বসেছে উঠোনে তোর,
রৌদ্র – বালুর চিক্মিক্ খেলা,
নক্ষত্রের ঝিলিক ,পাখির গান।
জননী! আজ বুঝি, এক দল বর্ণচোরা,
বর্ণ–মালাকে আঁকিয়ে – বাঁকিয়ে – ভেঙ্গে – চুড়ে
যেন , খসিয়ে ফেল্ছে পুষ্প্যমাল্য থেকে এক একটি কুসুম।
জননী! তোর উঠোনে সূর্য হেসে
আর বলে না বুঝি , সু-প্রভাত।
গোধূলি লগ্নে সূর্য নিদ্রাকালে,বলে না তো শুভ সন্ধ্যা।
গুড ইভিনিং ছাড়া মুখরিত হয় না কোন
চায়ের আড্ডা।
আজ বুঝি ভীষণ ভারি,
তোর উঠোনের আকাশ-বাতাস।
সালাম-বরকত-রফিক ওরা তোর কোলে মুখ
লুকিয়ে,বুক থাবড়ে বুঝি কাঁদছে।
পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি জেকে বসে,
কেড়ে নিচ্ছে তোর উঠোন-মাটির , শুভ্র পবন।
তরুন সমাজ ,পিজ্জা–শর্মায় পেট পুড়ছে।
ভুলতে বসেছে বাঙ্গালী আজ ভাপা – পুলির মধুর ঘ্রাণ।
জননী! তোর উঠোনে আজ
স্বীয় ধন,নিরুপায় – নষ্ট।
আজ বুঝি তাই, জননী! তোর পরম ধন,
বর্ণ-মালার বুকে বড় কষ্ট!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।