আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
৩. ছাত্রদের জন্য বৃত্তিঃ
দেশের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে তাদের বিরাট অংশ ক্ষুদে ও মাঝারী কৃষক পরিবারের সন্তান। তারা দারুণ আর্থিক সংকটের শিকার। এদের লেখাপড়ার ব্যয় নির্বাহের জন্য মাতা-পিতাকে শেষ সম্বল চাষের জমিটুকু বিক্রি করতে হয় অথবা বন্ধক রাখতে হয়। অনেককে নিরূপায় হয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে হয়। এদের মধ্য থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, সম্মান ও মাস্টার্স শ্রেণী, মাদ্রাসার ক্ষেত্রে আলিম, ফাযিল ও কামিল শ্রেণী, প্রকৌশল ও মেডিকেল কলেজ এবং পলিটেকনিক ও ভকেশনাল ইনস্টিটিউটগুলোতে অধ্যয়নের ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে যদি প্রতি বছর পঞ্চাশ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে বাছাই করা হয় এবং মাসিক ১,৫০০টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হয় তাহলে বার্ষিক ব্যয় হবে ৯০কোটি টাকা।
৪. মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রঃ
মহিলাদের ঘরে বসেই জীবিকা উপার্জনের পথ করে দেবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। বিভিন্ন ধরনের সেলাই মেশিন, কাটিং, এমব্রয়ডারী, বুটিক, প্রিন্ট ইত্যাদি শেখানোর জন্য জেলা ও থানা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে। এখানে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল মহিলাই কাজ শেখার সুযোগ পাবে। এজন্য বড় বড় শহরে একাধিক এবং ছোট জেলা ও বড় থানাগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে একটি করে মোট ১০০টি কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে। এসব কেন্দ্রের প্রশিক্ষকের বেতন, শিক্ষার উপকরণ সরবরাহ ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক ব্যয় সহ মাসিক ন্যুনতম গড়ে ৮,০০০টাকা করে ধরলে বছরে ব্যয় হবে ৯৬লক্ষ টাকা।
৫. কম্পিউটার প্রশিক্ষণঃ
ব্যাপক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বর্তমানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন অতীব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে রয়েছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকার। যদি ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে এদের প্রশিক্ষণ দেয়া যায় তাহলে এদের কর্মসংস্থানের সুযোগ খুলে যাবে। যদি প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী ১০০টি সঠিকমানের কম্পিউটার প্রশিণকেন্দ্র গড়ে তোলা যায় তাহলে বছরে ন্যুনতম ১২,০০০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে। এজন্য বছরে ৫কোটি টাকার মত ব্যয় হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।