সময় তুমি একটু দাঁড়াও!!!!!!!
নিজের স্থগিতাদেশই মানছে না এসইসি
Sat, Jan 22nd, 2011 9:31 pm BdST
Dial 2000 from your GP mobile for latest news
ঢাকা, জানুয়ারি ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- টানা তিন দিন দরপতনের কারণে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বৃহস্পতিবার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি স্থগিত করলেও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দিচ্ছে, যারা অতিমূল্যায়িত বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নেবে।
'দুর্বল' ব্যালেন্স শিট নিয়েও এ দুটি কোম্পানি 'হাস্যকর' রকমের বেশি প্রিমিয়ামে তাদের শেয়ার বিক্রি করবে, যাতে করে তাদের পি ই রেশিও (প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আয়ের অনুপাত) দাঁড়াবে ৫০ ও ৭০।
বুক বিল্ডিং নীতিমালা সংশোধনের পর এম আই সিমেন্ট ও মোবিল যমুনা নামের আরো দুটি কোম্পানিকে বাজারে আসার অনুমতি দেয় এসইসি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সরাসরি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে অতি মূল্যায়নের যে সুযোগ ছিল- সংশোধিত বুক বিল্ডিং নিয়মেও সেই একই ছিদ্র রয়ে গেছে।
আর এমন একটি দিনে এ দুটি কম্পানিকে বুক বিল্ডিং নিয়ে স্থগিতাদেশের বাইরে রাখা হচ্ছে- যে দিন মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে ৬০০ পয়েন্ট হারানোর কারণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রত্যেক শেয়ারের বিপরীতে ১০১ টাকা ৬০ পয়সা প্রিমিয়াম নিয়ে এম আই সিমেন্ট বাজার থেকে মোট ৩৩৫ কোটি টাকা তুলে নেবে। এতে তাদের পিই রেশিও দাঁড়াচ্ছে ৫০।
আর মোবিল-যমুনা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রত্যেক শেয়ারের বিপরীতে ১৪২ টাকা ৪০ পয়সা প্রিমিয়ামে বাজার থেকে তুলে নেবে মোট ৬১০ কোটি টাকা। ফলে তাদের পিই রেশিও হবে ৭০।
এসইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমআই সিমেন্টের প্রাথমিক বিনিয়োগ সংগ্রহের প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত।
এরইমধ্যে তাদের আইপিও লটারি এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বণ্টন হয়ে গেছে। কেবল তালিকাভুক্তির কাজটিই এখনও বাকি।
আর মোবিল-যমুনা কর্তৃপক্ষ লটারির জন্য আবেদন সংগ্রহ করলেও তাদের লটারি বা শেয়ার বণ্টন এখনও হয়নি।
পুঁজিবাজারের বর্তমান মূল্যপরিস্থিতিতে লেনদেন শুরু হলে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অন্তত দুই তৃতীয়াংশ কমে যাবে।
শেয়ার বাজারের একজন ব্রোকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "উচ্চ প্রিমিয়াম আর অযৌক্তিক রকমের চড়া পিই রেশিওতে এই শেয়ার যারা কিনবেন তাদের আবারও পস্তাতে হতে পারে।
"
অবশ্য বাজারে তালিকাভুক্তির এ পদ্ধতি সম্পর্কে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যেই অভিযোগ তুলেছেন খোদ ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী।
ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ার বাজারে আসা নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।
"এছাড়া বাজার অতিমূল্যায়িত হওয়ায় দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারাচ্ছেন, যার কারণে পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। "
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসতে চাওয়া ৪৮টি কম্পানির মধ্যে অধিকাংশেরই ব্যালেন্স শিট 'দুর্বল' উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের যথাযথভাবে পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
"
এর আগ পর্যন্ত কেবল দুটি কম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
গ্রামীণ ফোন ২০০৯ সালে ৬০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ৭০ টাকা দামে শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে মোট ৯৪৫ কোটি টাকা তুলে নেয়। আর প্রিমিয়ামসহ ৪৮ টাকা দামে শেয়ার বিক্রি করে আরএকে সিরামিকস ২০১০ সালে তুলে নেয় মোট ১৬৬ কোটি টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবহারিক ত্র"টি না থাকলে একটি কোম্পানির বাজারমূল্য নির্ধারণের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতি খুব একটা খারাপ না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সজাগ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি অতিমূল্যায়িত শেয়ার নিয়েই কয়েকটি কোম্পানি বাজারে এসেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যথেষ্ট সতর্ক না হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। "
পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে 'যৌক্তিক' হয়- তা এসইসিকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইপিও অনুমোদনের আগে একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারমূল্য নির্ধারণের প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।
"প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগসাজশে কোনো কোম্পানি তাদের শেয়ারমূল্য বাড়িয়ে নিচ্ছে কি না- সে দিকেও তাদের (এসইসি) খেয়াল রাখতে হবে," বলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিাফোর ডটকম/আরএইচএন/জিএনএ/জেকে/২১৩০ ঘ.
এসইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমআই সিমেন্টের প্রাথমিক বিনিয়োগ সংগ্রহের প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত। এরইমধ্যে তাদের আইপিও লটারি এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বণ্টন হয়ে গেছে। কেবল তালিকাভুক্তির কাজটিই এখনও বাকি। ?????????????????
এই সংবাদের কিছু ভূল অংশ তুলে ধরা হল।
আমার জানামতে দুটি আইপিওর (মুবিল যমুনা এবং এম আই সিমেন্ট) জন্য প্রাথমিক বরাদ্ধের আবেদন গ্রহন করা হয়েছে।
যা আমি নিজেও আবেদন করেছি। কিন্তু বিডিনিউজ২৪ এর এই গাঁজাখোর কোথ্থেকে এইটা পাইলো। যে এম আই সিমেন্ট শেয়ার বরাদ্ধ হয়ে গেছে। এখন শুধু তালিকভুক্তির অপেক্ষা।
এইসব গাঁজাখুরি রিপোর্টারদের আসুন পাচায় লাথি দিয়ে আসি।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।