যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
মোশারেফা মিশুর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন হলো কাকরাইলে মোড়ের ফুটপথে। কতদিন যাবত আটকে আছে। কোনো খবর নাই। অথচ তার সম্বন্ধে পাবলিকের কত উল্টাপাল্টা ধারণা। বা এমন ধারণা তৈরী করে মার্কেটে ছেড়ে দিয়েছে কুচক্রীরা।
দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের যতটুকু দাবী পূরণ হয়েছে তার পিছনে এই নেত্রীর বিশাল ভূমিকা রইছে। শ্রমিকদের কথা বলার মত যোগ্য কোনো লোক না থাকলে সুবিধাটা কাদের হয় সেটা বোঝাই যাইতেছে। সরকার আর সরকারের বাইরে সর্বত্রই ক্ষমতাশালীদের মধ্যে গার্মেন্টসের মালিক প্রচন্ড ক্ষমতাধর। মিশুর মুক্তি তাই ঝুলে থাকবে।
তার মুক্তির দাবীতে আজকে যে মানববন্ধন হলো - যাবো না যাবো না করেও গেলাম।
এধরণের মানববন্ধন করে কি লাভ সেটা আমার মাথায় ঢোকে না। একশদুশ মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে থেকে, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে, আসলে কি কোনো লাভ হয়? হলে সেটা কি? তারপরেও যেহেতু একটা রাজনৈতিক আদর্শ আছে বলা যায় এইসব কর্মীদের নিজেদের প্রয়োজনেই হয়তো এধরণের কর্মসূচী দরকার, নিজেদের প্রতিবাদের চর্চাকে জাগ্রত রাখতে, যুথবদ্ধ হতে। সবচেয়ে বড় কথা একটা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর এমন চর্চা বজায় থাকা জরুরী - তাদের রাজনীতির স্বার্থেই।
আমি ইদানিং যেটা করছি সেটা হলো পলিটিকাল মুভমেন্টে কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয় তার ডাইনামিক্স অনুসন্ধানে। আমার কাছে মনে হলো - ভার্চুয়াল বা বাস্তব যেখানেই প্রতিবাদ সংগঠিত হোক না কেনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, সেখানেও একটা পলিটিক্যাল এজেন্ডা থাকে বা থাকতে হয়।
যদি কোনো আদর্শিক যূথবদ্ধতা না থাকে তবে সেগুলো কেবলই নিদিষ্ট একটা প্লাটফর্ম বা ব্যক্তিবিশেষের ব্রান্ডিং তৈরী করে। বিচ্ছিন্ন কিছু মানুষের প্রতিবাদ একেবারেই নিষ্ফল। তেমনি প্রতিবাদের ধরণ ও প্রকৃতিও কেমন যেনো মান্ধাতামলের। নতুন কিছু ভাবা উচিত।
পরিশেষে মোশারেফা মিশুর মুক্তি চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।