আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচ্চশিক্ষার সুযোগ

এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই উৎকণ্ঠায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য দেখিয়েও তাদের মধ্যে বিরাজ করছে পছন্দসই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া না পাওয়ার উৎকণ্ঠা। চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে সাত লাখ ৪৪ হাজার ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ১৯৭ জন। দেশের ৩৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার। সেই হিসেবে চলতি বছর মেধাবীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তেমন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হবে না। তবে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে হবে। চলতি বছর যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হওয়ায় কোনো শিক্ষার্থীকেই ভর্তি হতে না পারার ধকল পোহাতে হবে না। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা বড় অংশই বিশ্ববিদ্যালয় নাম ধারণের আদৌ যোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ অভিযোগ হলো_ এগুলো শিক্ষার বদলে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত। ফলে অভিভাবকদের পকেট কাটা তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। এ মনোভাব আর যাই হোক, শিক্ষার চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। উচ্চ শিক্ষার সম্প্রসারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য। তবে এগুলো যাতে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বদলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়ায় সেদিকেও নজর দেওয়া দরকার। বিশেষ করে গরিব ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা যাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করে টিউশন ফিসহ অন্যান্য খরচ কমিয়ে আনতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান যাতে সমুন্নত থাকে সে উদ্যোগও নিতে হবে। আমাদের মতে, মেধাবীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা সহজপ্রাপ্য করে তুলতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। এর ফলে মানসম্মত শিক্ষা সম্প্রসারিত হবে। উচ্চ শিক্ষার সম্প্রসারণই শুধু নয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে সব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং শিক্ষক রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.