আম্মার বাগানের শখ অনেক পুরনো। ঢাকায় থেকে তো মন ভরে বাগান করতে পারেন না। টবের গাছ দিয়েই বাগানের শখ পূরণ করেন। একটা সময় ছাদ ভর্তি ছিল আম্মার শখের গাছ দিয়ে। গোলাপ-জবা-বেলী তো ছিলই, সেই সাথে নানান রকম সব্জী চাষও করেছেন আম্মা।
বরবটি, ঢেঁড়স, বেগুন এমনকি ধুন্দুলও লাগিয়েছিলেন ছাদের টবে। পরে অবশ্য শুঁয়োপোকার যন্ত্রণায় এই শখ বিসর্জন দিতে হয়েছে, কারণ আম্মা কোনরকম কীটনাশক ব্যবহার করার কথা চিন্তাও করেন নি।
এখন আম্মার ছাদে ওঠার মত শারীরিক অবস্থাও নেই। তারপরও বাগানের শখ তো মরে যায়নি, বারান্দাতেই সাজিয়ে নিয়েছেন তার ছোট্ট বাগান। দেখা যাক কী কী আছে এই বাগানে।
১. ডালিম গাছের ফুল।
২. ডালিম ফল।
৩. তুলসি গাছের ফুল-ফল। এগুলো শুকিয়ে গেলে মাটির উপর ছড়িয়ে দিলেই সেখানে তুলসির গাছ হয়।
৪. এটা কী টমেটো গাছের ফুল? মনেই করতে পারছি না।
আরে না, এইটা মুলা গাছের ফুল, ফটো পাগল বলে দিয়েছেন।
৫. টবে পুঁই শাকের ক্ষেত। কচি থাকতেই খেয়ে ফেলা হয় তাই বড় হতে আর পারে না।
৬. টাকার গাছ।
৭. মেহেদী গাছ।
এই গাছের পাতাবাটা যতটা না হাতে লাগিয়েছি তার চেয়ে বেশি মনে হয় লাগিয়েছি চুলে।
৮. ঘৃতকুমারী, সাথে থানকুনি পাতা। নামটা ভুলে গিয়েছিলাম। সুরঞ্জনা আপু মনে করিয়ে দিয়েছেন।
৯. পাথরকুচি।
ফুল ফোটেনি তখনও।
১০. চন্দ্রমল্লিকার গাছ, ফুল ছাড়া । এই ফুলগুলো এত সুন্দর আর টেকসই যে ফুলদানীতে রাখলে দুই-তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কোন পরিবর্তন হয় না।
১১. বেগুনি নয়নতারা। ছোট ভাগ্নের খুব পছন্দ এই ফুল দুই আঙ্গুলে ধরে ফ্যানের মত করে ঘোরানো।
অবশ্য কিছুক্ষণ পর কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে।
১২. গাঁদা। এই জাতটা অবশ্য আমার পছন্দ না, বলের মত গাঁদাটাই ভালো লাগে।
সাথে আমার আর ভাগ্নের হাতও আছে, ওগুলো বাগানের অংশ না কিন্তু।
১৩. এক ধরণের ঘাস জাতীয় গাছ, নামটা ভুলে গিয়েছি।
আম্মা বলেন এই গাছের পাতার রস দিয়ে নাকি কাপড়ে লাগা কালির দাগ ওঠানো যায়। যদিও কোনদিন প্রমাণ করে দেখাতে পারেন নি।
১৪. নিম তিতা, নিশিন্দা তিতা, তিতা পানের খয়ের............।
১৫. লাউয়ের লতার মত দেখতে কি জানি একটা লতা, সাথে আবার ফুলও আছে। আসলে এটা করল্লার ফুল।
এটাও ফটো পাগল বলে দিয়েছেন।
১৬. মরিচ গাছে মরিচ ঝুলছে। ঝাল আছে কিন্তু।
১৭. লজ্জাবতী লাজুক লতা। পাতাগুলো তো ছবি তুলতে গিয়েই লজ্জা পেয়ে গেছে।
ফুলগুলো সব বেশরম।
১৮. বায়োলজী ক্লাসের জন্য নমুনা সংগ্রহ । এটাকে ঢেঁকিশাক বলে, কিন্তু কখনও খেয়ে দেখা হয়নি, আম্মাও খাননি মনে হয়।
১৯. ওরে কাঁটাগাছের ভূত জীবন্ত হয়ে বাড়িটা গিলে খাচ্ছে তো।
২০. আম্মার নিজের হাতে বানানো বনসাই।
এটায় কোনরকম হরমোন ব্যবহার করা হয়নি। ইটের ফাঁকে জন্ম নেয়া বটগাছের চারা নিয়ে আম্মা এটাকে একটা সম্মানজনক নাম ও স্থান দিয়েছেন।
২১. সেই বনসাই, তবে আরও পাঁচ বছর আগের ছবি।
আরও অনেক নাম না জানা হরেক রকম গাছ আছে আম্মার বাগানে। সবগুলোর ছবি না হয় না-ই দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।