একুশ আমার অহংকার
বিশ্বকাপের খেলা দেখার জন্য মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আমলা এবং ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তাদের সৌজন্য টিকিট দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রতি ম্যাচে ২,৫১১টি সৌজন্য টিকিট দেয়া হবে। সৌজন্য টিকিটের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিদিন চাপ বাড়ছে । সংখ্যাটা বাড়ার যৌক্তিক কারণও আছে। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের কে ও তো তালিকায় রাখতে হবে।
তাছাড়া আমাদের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা অতি দরিদ্র তো!! টাকা দিয়ে টিকিট কেনার ক্ষমতা তো তাদের নেই
সৌজন্য টিকিটের তালিকায় ঢাকার ৭২টি ক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককেও রাখা হয়েছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার এডিটরদের জন্য প্রতি ম্যাচে ৬০টি করে সৌজন্য টিকিট বরাদ্দ আছে। বিসিবির কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কাউন্সিলররাও বিনামূল্যে টিকিট পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জন্য সৌজন্য টিকিট রাখা হয়েছে ১২২টি! অতি দরিদ্র বলে কথা!!! জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার জন্য টিকিট কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে বিসিবি। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা একটি ম্যাচে ৩০টি করে টিকিট কিনতে পারবেন।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হসপিটালিটি বক্সসহ মোট ২৫ হাজার ৫০৯টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ১৫ হাজার টিকিট সাধারণ দর্শকদের জন্য বিক্রি করা হবে। বাকি ১০,৫০৯টি টিকিট থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নেবে ১২৭০টি করে টিকিট।
মোট কথা ৯,২৩৯টি টিকিট সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর মধ্যে সৌজন্য এবং বিশেষ ব্যবস্থায় যে ৬,১৭১টি টিকিট দেয়ার পরও বিসিবির হাতে থাকবে ৩০৬৮টি।
সেখান থেকে হসপিটালিটি বক্সের ৪৪২টি (কর্পোরেট বক্স দক্ষিণ ২৪০ এবং হসপিটালিটি গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ২৪২টি আসন) আসন বিক্রি হবে অভিজাত দর্শকদের জন্য। এর আগে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে পাঁচ শতাংশ টিকিট। সংখ্যার হিসাবে ১২৭৫টি। অতিরিক্ত প্রায় ১,৩০০ টিকিটের হিসাব এখনও বিসিবি থেকে দিতে পারেনি। এ টিকিটগুলো কোথায় এবং কাদের জন্য বরাদ্দ, জানে না টিকিট অ্যান্ড সিটিং কমিটির কর্মকর্তারা।
মোট কথা হলো এই -- আমাদের দরিদ্র মন্ত্রী মিনিষ্টার রা আর তাদের অতি দরিদ্র চামচারা ই ষ্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখবেন, আর আমরা সাধারন পাবলিক ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবো !!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।