আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিমান্ডের বিস্ময়কর আবেদন



জেলে থেকে মতিঝিলে গাড়ি ভাংচুরে নেতৃত্ব (?) দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমীর রফিকুল ইসলাম খান। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাস থেকে মানুষ নামিয়ে গাড়িতে আগুনও দিয়েছেন। গত ১৩ নবেম্বরের ঘটনায় এমনই অভিযোগে গতকাল তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অবাক করার মতো ঘটনা ২৪ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও তিনি জেল হাজতেই আছেন। বিস্ময়কর এ আবেদনের শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আলী হোসাইন রিমান্ড মঞ্জুর না করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এ সময় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার পল্টন থানায় দায়ের করা ৩৭/২ নং মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুল ইসলাম খানকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মতিঝিল থানায় দায়ের করা ১৩ নবেম্বরের ৩২/১১ নং মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই মিজানুর রহমান নিবেদনে উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম খান ও তার দলবল গত ১৩ নবেম্বর মতিঝিলের নটর ডেম কলেজের সামনে বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি সরাসরি উপস্থিত থেকে এ কাজে উৎসাহিত করেন।

এ মামলার ধারাগুলো হচ্ছে দন্ডবিধি ১৪৩/২৩২/৩৫৩/১৮৬/৪৩৫/৩৪ । রফিকুল ইসলাম খানের আইনজীবী এডভোকেট এস.এম.কামাল উদ্দিন শুনানিতে বলেন, রফিকুল ইসলাম খানকে গত ২৪ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দিন থেকে তিনি বিভিন্ন মামলায় ১৬ দিন রিমান্ড শেষে জেল হাজতে আছেন। জেল হাজতে থেকে তিনি কীভাবে মতিঝিলে উপস্থিত হলেন, তা বিস্ময়কর। তার পক্ষে গাড়ি পোড়ানোর উস্কানি দেয়া সম্ভব নয়।

তাই তার বিরুদ্ধে এ মামলা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারক আইনজীবীর নিকট তিনি যে ২৪ আগস্ট গ্রেফতার হয়েছেন তার কাগজ দেখানোর নির্দেশ দেন। আইনজীবী এ সংক্রান্ত কাগজ দেখানোর পর রফিকুল ইসলাম খান ২৪ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন বলে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত শুক্রবার আশুরার দিন একই ধরনের হাস্যকর ঘটনা ঘটায় পুলিশ। পুলিশ রফিকুল ইসলাম খানকে আবারো রিমান্ডে নেয়ার জন্য পল্টন থানায় দায়ের করা ২৬/৬ ও ৮/৭ নং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার জন্য ফরোয়াডিং দিয়েছিল।

কিন্তু এ দু'টো মামলায়ই তিনি জামিনে ছিলেন। পরে পল্টন থানায় দায়ের করা ৩৭/২ নং মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রফিকুল ইসলাম খানকে দুই দফায় বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর আমীর রফিকুল ইসলাম খানকে গত ২৪ আগস্ট তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগের দিন ৬টি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার পরও তাকে গ্রেফতার করে আরো ২টি মামলায় জড়ানো হয়।

এ দু'মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় রফিকুল ইসলাম খানকে। গত ২৮ নবেম্বর তিনি এ দু'টি মামলায়ও হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। গত ৩ ডিসেম্বর রফিকুল ইসলাম খান কারাগার থেকে বের হলে জেলগেট থেকে তাকে গ্রেফতার করে সাদা পোশাকের পুলিশ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.