রংপুরের আশরাফ আলী। শারীরিক ভাবে তিনি প্রতিবন্ধী। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ এই শারীরিত প্রতিবন্ধী আশরাফ আলী ও তাঁর ভাই নুরুন্নবীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এতে আশরাফ আলীর একটি হাত ও ভাই নুরুন্নবীর একটি পা ভেঙ্গে যাওয়া সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। ঘটনাটা এ মাসের ১ তারিখের।
পরে চিকিত্সার জন্য তাঁদের দুই ভাইকেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিত্সা শেষ না হলেও তাঁদের দুজনকেই হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়। হাত-পা ভাঙ্গা দুই ভাই অনেক অনুনয় করলেও ডাক্তার তাঁদের কোনো কথা শোনেন নি। পরে তাঁরা বাধ্য হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ওয়ার্ডের পাশেই বারান্দায় আশ্রয় নেন। কিন্তু তাতেও বাধ সাধে হাসপাতালের ডাক্তার।
কী করবে উপায় না পেয়ে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের সামনে একটি গাছের নিচে শুয়ে কাতরাতে থাকেন। আর বরতে বলতে থাকেন ‘চিকিত্সা শ্যাষ না হইতে হামাক ক্যানে ব্যার করি দিল?’
কিন্তু জানা গেছে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন। এবং তিনি তাঁদের আবারো হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিত্সা দেওয়ার কথাও বলেছেন। এটা কী তাহলে ডাক্তারের আত্মসমর্পন????
আর ওই দুই ভাইয়ের দোষ কী? তাঁরা গরীব আর প্রতিবন্ধী বলে???
হে ঈশ্বর তুমি কেন অসহায়দের এমন সাজা দাও ???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।