শূন্য
" নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ” ঢাকার এবং আশপাশের প্রায় সব রুটের বাসেই ইদানিং এমনই একটি সংরক্ষিত আসনের নোটিশ দেখা যাচ্ছে। ভাল লাগল শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায়। তাদের এখন নারীর সমতূল্য ভাবা হচ্ছে। তবে ভাবনার বিষয় এই যে, এখনো এই দেশের যানবাহন গুলিতে সংরক্ষিত আসন নোটিশ দিয়ে রক্ষা করতে হয়। অনেক বাসেই দেখেছি হেলপার, ড্রাইভাররা অনেক বলেও যাদের জন্য আসন সংরক্ষিত তাদের বসাতে পারছেননা।
কারণ বীর পুরুষেরা আসন ছাড়তে রাজি নয়। কিংবা পাশে দাঁড়ানো নারী দেখেও অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে উদাস হয়ে।
তবে বড় চমক হল, সারাদিন- সারারাত সমঅধিকার সমঅধিকার বলে চিৎকার করে যে নারী নেতৃবৃন্দ চারপাশ প্রকম্পিত করেন, তারা কিভাবে এই অপমান মেনে নিলেন ? সংরক্ষিত আসনের নামে আপনাদের অধিকার কি সম হতে একটু নিচে নামানো হলো না ? প্রতিবাদ জানাবার এখনই সময়।
ওহে পুরুষকুল নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কিংবা অসুস্থ কাউকে আসন ছেড়ে বসতে দেয়াটা কিন্তু পৌরুষত্ব নয়, বরং মানবিকতা। আর যদি নিজেকে সত্যিকারের মানুষ মনে করেন তবে এই মানবিক দায়িত্বটুকু পালন করবেন, এটাই আশা।
পুরুষরা তো আর অমানুষ নয়, তাইনা ? #
তির্থক আহসান (রুবেল)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।