চলে গেলো পবিত্র রমজানের মাস, সংযমের মাস পূণ্যের মাস রমজানের মাস শেষ হয়ে আগামী কাল আমাদের দোরগড়ায় ঈদ এসে হাজিরা দিলো ঐ। ঈদ মানেই আনন্দ, কিসের আনন্দ? মিলনের আনন্দ, এই দিনে মানুষে মানুষে কোন তফাত থাকেনা। থাকবে কেনো? আমরাতো আমাদের ধনের জাকাত দিয়ে ব্যাবধান কমিয়ে দিয়েছি, সবার ঈদ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তাই সবারই আনন্দ্ । কিন্তু কতটা দিয়েছি, আর কজনে দিয়েছি সেটা রোজাদারে পরিমান দেখলেই বুঝাযায়।
আমি ব্যবসা করি, মোটামুটি সারাদিনই আমার কাটে বাজারে বাজারে। কজন রোজা রাখে তা ভাল করেই প্রত্যক্ষ করেছি।
আমার মনেহয় মহিলাদের মধ্যে রোজাদারের পরিমাণ বেশি। পুরুষরা ষোলো আনার মাঝে ১২ আনাই ধিংতানা। বিশেষ করে এ যুগের ছেলেরা রোজার অবশ্য পালনীয় হিসাবে ইফতার পার্টির আয়োজনে যতটা উদ্যুগী ততটা রোজা রাখার বেপারে নয়, আমিও এই যুগেরই ছেলে।
সুতরাং কেউ খেপে যাবেন না দয়া করে। আর ঈদের আনন্দের কথা যদি বলতে হয়, তা হলো ঐ বে রোজদার দের বাহারি কাপড় কেনা, আর রোজার বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান করার স্বাধীনতা।
তারা ঈদের জামা পড়বে পাঠানি কুর্তা আর হিন্দুস্থানী সেলোয়ার।
তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো তারা এত সাজগোজ করে আসতে আসতে মাঠের নামাজ শেষ হয়ে যা।
আর একটা শ্রেনী আছে যাদের ব্যপারে কাজি নজরুল বলে গেছেন তারা সারা বছর রোজা রাখে( প্রতিকি অর্থে) মানে তাদের সারা বছরই আধ খাওয়া থাকতে হয়।
সকালে অনাহারে অর্ধাহারে কাজে বেড় হয় সারাদিন শেষে রাতের বেলা বাড়েতে এসে যা জোটে তাই খায়। মোটামুটি রোজই মতই উপবাস। আর রমজানের রোজা তারা খুব মহব্বতের সহিত রাখে। কিন্তু তাদের ঈদ ধূসর বেদনা দায়ক। কেউ কেউ হয়তো দানের দু একটা জামা কাপড় পেয়েছে।
কেউ কাপড় পাবেকি, খুরাকির সন্ধানে ঈদের দিনেও খেয়া নাও চালিয়ে সংসারের বউ বাচ্ছার পেটের অন্য যোগায়। আর জনতার বিশ্ব বাজারের কথা সে কী আর বলবো। দারফুর- ফিলিস্তিন- বসনিয়া- চেচনিয়া- রুহিংগা তাদের অনিশ্চিত জীবনে ঈদের কি মানে আমি জানিনা।
আল্লাপাক বলেছেন ঈদ হলো রোজাদারের জন্য আনন্দের হাদিয়া (যটা দুনিয়াতে দেয়া হয়েছে সামান্ন উপহার মাত্র, রোজার আসল প্রতিদান পরকালে সরাসরি আল্লাপাক নিজ হাতে দেবেন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।