আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে মানিকগন্জে ঝরে গেল পাচটি তাজা প্রাণ। মুক্তিযুদ্ধে হয়তো এদেরই কোন আত্মীয় স্বজন মারা গিয়েছিলেন পাক বাহিনী আর রাজাকার জামাতের হাতে। হয়তো রাজাকারদের চরম পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এদেরই কোন প্রতিবেশী, ভাই বোন। এক নির্মম আর আত্মঘাতী অপপ্রচারের শিকারের হয়ে লাশ হয়ে গেলেন এই পাচটি প্রাণ। উনারা ক্ষমতার রুটি হালুয়া ভাগাভাগির জন্য কামড়াকামড়ি করেননি , খুবই সাধারণ কষ্টের জীবন যাপন তাদের।
আর এরাই বেঘোরে প্রাণ দিলেন, আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে ডলে ডলে দেখিয়ে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের আকাংখার রাষ্ট্র এদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আমার ভাই আমার বোন মুক্তিযোদ্ধা শহীদেরা আমাকে জিজ্ঞেস করছে, "তোমরা ওদের এভাবে মেরে ফেললে কেন"?
শহীদেরা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিল অপপ্রচারকারী মিথ্যুক লুন্ঠনকারীদের দেশ যেন এই রক্তস্নাত জমিন না হয়, রগকাটাদের না হয়, গণহত্যাকারীদের না হয়।
অথচ এই বিয়াল্লিশ বছর যাবত এদের প্রতিষ্ঠা দেবার জন্য সহায়তা সার আলো পানি বাতাস দেয়া হয়েছে। যারা আজকে বায়তুল মোকাররমে অগ্নিসংযোগ করছে, জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলেছে চুর্ন বিচুর্ন করছে আমাদের রক্তের দামে পাওয়া স্মৃতিসৌধ। এই মিথ্যাচারী আর তাদের দোসররা মসজিদের মাইক পর্যন্ত ব্যাবহার করছে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য, আর বলির পাঠা হয়ে যাচ্ছে ওই মানুষ যাদের নিকটজনেরা এই মানুষগুলোর জীবনের অধিকার আদায়ের জন্য নির্মম অত্যাচার সহ্য করেছিলো এই অপপ্রচারকারী জামাতীদের হাতে।
এই লক্ষ শহীদের রক্তের রিন শোধ করার দায়িত্ব নিয়েছে তরুনেরা, আমরা তোমাদের সন্তানেরা। আমরা সাফ সাফ বলছি ধর্মকে অবমাননা করতে আমরা শিখিনি, আমরা রামদা বটি চাকু আর ককটেল নিয়ে সাধারণের উপরে ঝাপিয়ে পড়তে শিখিনি কারণ আমাদের রক্তে তোমাদের পরম্পরা। তোমাদের রক্তের কসম কেটে বলছি তোমরা মুক্তিযুদ্ধে যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলে, যে উগ্র গোষ্ঠীর অত্যাচার থেকে আমাদের স্বাধীন জীবন এনে দিয়েছিলে তাদেরকে এদেশ থেকে সমূলে উচ্ছেদ না করে আমরা ফিরছি না। ওরা মানিকগন্জে পাচ জনকে মারল মারল রাজীবকে, হরতালের নামে মারল তোমার আরো আরো সন্তানদের, এইবার আমরা স্পষ্ট বলে দিচ্ছি রক্ত লাগলে আরো রক্ত দিবো কিন্তু এদেশের মাটিতে ওদের আর এক মূহুর্তও না, এক সেকেন্ডও না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।