বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন
বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে আমরা যে কেউ নিচের একটি বা একাধিক চর্চা শুরু করতে পারি। এসব চর্চা যেমন বন্যপ্রাণী রক্ষায় সহযোগিতা করবে তেমনি আমাদের জীবন ও সুন্দর করবে। প্রশ্ন উঠতে পারে এসব ছোট ছোট চর্চা কি করে হুমকির মুখে থাকা দেশ বিদেশের হাজার হাজার বন্যপ্রাণী রক্ষা করবে? ছোট ছোট পদক্ষেপ যদি সবাই করে তবে তা কি আর ছোট থাকে? ছোট ছোট বালু কণা বিন্দু বিন্দু জলই তো মহাদেশ আর সাগর গড়ে তুলেছে।
তাই আমরা শুরু করতে পারি আমাদের চর্চা গুলি:
১. বন্যপ্রাণী কি তা জানা; পরিবারের সবাইকে জানানো; প্রতিবেশীদের, স্বজনদের জানানো, বন্ধুদের জানানো, কর্মস্থলে, সংগঠনে আলোচনা করা। যত সম্ভব বেশী মানুষকে জানানো।
যত বেশী ভোগ, তত বেশী দূষণ। সম্পদের ব্যবহার কমানো, পূনঃব্যবহার, পূনঃপ্রক্রিয়া করা । এ কাজে অন্যকে উৎসাহিত করা এবং আহ্বান করা।
২. পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া, অন্যকেও জানানো ।
ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র বাতি , ফ্যান ইত্যাদি বন্ধ রাখা ও বের হওয়ার পূর্বে দেখে নেওয়া কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে মনে থাকে না।
যেটা ব্যবহার না হবে সেটা বন্ধ রাখা।
৩. প্রত্যেক বাসায় এনার্জি বাতি ব্যবহার করা। একটি সাধারণ বাতির তুলনায় একটি এনার্জি বাতি ৩ বছর ব্যবহার করলে এক টন কার্বন নিঃসরণ কম হয়। এতে অর্থের ও সাশ্রয় হয়।
৪. কাগজ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়া, উভয় দিক ব্যবহার করা, যথা সম্ভব নিউজপ্রিন্ট কাগজ ব্যবহার করা।
৫.বাসা-বাড়িতে, কর্মস্থলে, পতিত জায়গা, যেখানেই সম্ভব গাছ লাগানো সেটা টব হোক।
৬. অযথা সবুজ আগাছা পরিষ্কার না করা, আগাছা বন্য গাছ, জঙ্গল, ঝোপ-ঝাড়, জলাশয় আপনার ক্ষতির কারণ না হলে সংরক্ষণ করা। কারণ এগুলি অসংখ্য প্রাণের খাদ্য ও বাসস্থান যোগায়।
৭.কিছুই ফেলা যাবে না। ঘরে রোজকার ব্যবহারের পুরনো দ্রব্য জমিয়ে রাখা, সম্ভব হলে পুনঃ ব্যবহার বা বিক্রি করা।
৮.যথাসম্ভব পলিথিন এড়িয়ে চলা, কাপর, পাট, কাগজ, বাঁশ বা বেতের সামগ্রী ব্যবহার করা।
সর্বোপরি অপচয় না করা, ভোগ কমানো, যা দেখলাম তাই না কিনা, যা সত্যিকারের দরকার তাই কিনা।
ধন্যবাদ সবাইকে
ভাল থাকবেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।