আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বন্যপ্রাণী: বাংলাদেশের বিড়াল সমুহ আজ বিলুপ্তির একদম দ্বারপ্রান্তে ; আমাদের কি কিছুই করার নেই?

বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন
আমাদের এই দেশে মোট ৮ প্রজাতির বিড়াল বা কেট পাওয়া যায়। এগুলো হল বন বিড়াল, সোনালি বিড়াল, গেছো বাঘ বা লাম চিতা, চিতা বাঘ, বাঘ, মেছো বাঘ বা মেছো বিড়াল, চিতা বিড়াল ও মারবেল বিড়াল। ১। বন বিড়াল (জঙ্গল কেট): বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই বন বিড়াল পাওয়া যায়। গ্রামের ঝোপঝার, নলখাগরা, চারনভূমি ও বাদাবনে এরা বসবাস করে এবং বসতি সংকোচন ও বেপরোয়া নিদনের ফলে এই বাংলাদেশে আজ বিপন্ন।

২। সোনালি বিড়াল (গোল্ডেন কেট): বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের চিরসবুজ ও আংশিক চিরসবুজ বন এবং বনের পাশের তৃনভূমি অঞ্চলেও এদের পাওয়া যায়। ব্যাপক হারে বন নিধন এর কারনে এটি আজ মহাবিপন্ন বা বিলুপ্তির একদম কাছাকাছি। ৩। গেছো বাঘ বা লাম চিতা (ক্লাউডেড লেপার্ড): পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমিতে পাওয়া যায় তবে গাছপালা ও বন না থাকায় তা আজ মহাবিপন্ন বা বিলুপ্তির একদম কাছাকাছি অবস্থানে দাড়িয়ে।

৪। চিতা বাঘ (লেপার্ড): এটি আজ বাংলাদেশে আদৌ আছে কিনা না বিলুপ্ত সন্দেহ আছে। ক্ষিপ্রগতিতে গাছ থেকে গাছে বিচরন করে বেড়ানো এবং হরিন, বানর, শুয়োর শিকার করে বেড়ানো এই প্রাণীটি আজ মাহাবিপন্নের কাতারে যার প্রধান কারন খাবারের অভাব, বন ধ্বংস, দেখা মাত্র হত্যা। ৫। বাঘ (টাইগার): একসময় বাংলাদেশের সর্বত্র থাকলেও আজ মাত্র সুন্দর বন ছাড়া কোথাও নেই যদিও পার্বত্য চট্টগ্রামে আছে বলে ধারনা করা হয় এবং সুপ্রিয় চাকমা নামে এক গবেষক তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধিনে পিএইচডির কাজে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই বাঘ সহ সব বিড়ালের সন্ধান বা সার্ভে করছে গত এক বছর ধরে।

৬। মেছো বাঘ বা মেছো বিড়াল (ফিসিং কেট): শহরের বাইরে যে কোন জায়গায়, মানুষ্যবসতির পিছনে ঝোপঝার ও সুন্দরবনে এই মেছো বাঘ বা মেছো বিড়ালের বসবাস। মানুষ এটাকে দেখা মাত্র হত্যা করার করনে তা আজ মহা বিপন্ন। ৭। চিতা বিড়াল (লেপার্ড কেট): এটার সম্পর্কে যতেস্ট পরিমান তথ্য জানা নেই কারন এটা খুবই কম এবং দেখা যায় না বললেই চলে।

৮। মারবেল বিড়াল (মারবেল কেট): এটা এতই কম যে এর সম্পর্কে যতেস্ট তথ্য আমাদের দেশের প্রাণিবিজ্ঞানীদের কাছে নাই। শ্রীমঙ্গলের সীতেস বাবুর চিরিয়াখানায় একবার দুইটা বাচ্চা দেখেছিলাম এবং ছবি তুলেছিলাম। এটা ১৮৪৬ সালে পার্বত্য জেলা গুলোতে দেখার তথ্য আছে। মানে এটা বিলুপ্ত প্রায়।

অর্থাৎ আমাদের দেশের সবগুলি বিড়াল আজ চিরতরে নি:শেষ হওয়ার পথে। এখনই এদের সংরক্ষনের জন্য চিন্তা ও ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহন করা না গেলে হয়ত কয়েক বছরেই বিলুপ্ত হয়ে যাব।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.