বন্যপ্রাণীদের বাঁচান, পরিবেশ রক্ষা করুন
আমাদের দেশের অনেক পাখি আছে দেখতে খুব সুন্দর যদিও সব পাখিই সুন্দর। আমাদের দেশে তিন ধরনের হরবোলা দেখতে পাওয়া যায়।
১। সোনাকপালি হরবোলা
২। নীলডানা হরবোলা
৩।
কমলাপেট হরবোলা
১। সোনাকপালি হরবোলা: সবুজ রংয়ের ছোট এই পাখিটি মাত্র ১৯ সে.মি. লম্বা ও ৩০ গ্রাম ওজনের। এই সোনালি কপালি পাখিটির মুখ ও বুক কালো হয়। ঠোটের উপরের পালকগুলি সোনালি হলুদ বলে একে সোনালি কপালি হরবোলা বলা হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকার জঙ্গলে এই পাখিটির বসবাস।
আজকাল জঙ্গল খুব বেশী একটা না থাকার কারনে এটি প্রায় দেখাই যায় না। সিলেট বিভাগ ও চট্টগ্রামের জঙ্গলগুলোতে প্রায়ই চোখে পড়বে। পোকামাকর, ফুলের রেনু ও পাকা ফল খায়। সারাদিনই এরা উইট-উইট, চা-কি-উই, চাপ-চাউই এসব সুরে গান করে আপনার মন মাতাবে। জানু্যারী-আগস্টে এরা প্রজনন সম্পন্ন করে।
সোনাকপালি হরবোলা
২। নীলডানা হরবোলা: এটিও সুজ রংয়ের ছোট পাখি তবে এর ডানাগুলি নীল। পুরুষ পাখিটার পিঠ ও মুখের আশপাশ হলুদ রংয়ের পালকে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আমাদের দেশে খহুব বেশী কমন নয় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামের মিশ্র চিরসবুজ বনেই বেশী দেখা যায়। ফুলের রেনু, ফুলে আসা অন্য পোকামাকর, পিপড়া পাকা ফল খুব বেশী পছন্দ করে।
মে-সেপ্টেম্বরে এরা প্রজনন করে।
নীলডানা হরবোলা
৩। কমলাপেট হরবোলা: এটাও ছোট সবুজ তবে এর বুক ও পেট কমলা রংয়ের এবং চোখের নীচে কালো রংয়ের পালকে একে আকর্ষনীয় করেছে। এটা বংলাদেশের খুব বিরল প্রজাতি এবং পাহাড়ি মিশ্রচিরসবুজ বনে মাঝে মঝে দেখা যায়। টপ টপ টপ টপ শব্দে সারাদিন এরা ফুলে ফুলে উরে বেড়ায় আর ফুলের রেনু, মাকরসা, পোকামাকর, পাকা ফল খেয়ে বেড়ায়।
কমলাপেট হরবোলা
বাংলাদেশের বনভূমি যে হারে কেটে সামাজিক বনায়ন করা জচ্ছে তাতে এই ছোট্ট সুন্দর পাখিটি হয়ত বনভুমির সাথে হারি্যে যাবে। তাই ধরকার সচেতনতা আমাদের পলিসি লেভেল থেকে সাধারন পর্যায় পর্যন্ত।
ছবি: ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।