বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক ও ঢাকা মহানগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মনোয়ার হোসেন ডিপজল পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় অনুতপ্ত হয়েছেন। তবে এতে তিনি নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেছেন, তাকে ফাঁসাতেই মামলাটি সাজানো হয়েছে। দারুস সালাম থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডিপজল বুধবার দিবাগত রাতে এ কথা জানিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হুদা খান কোর্ট হাজত থেকে ডিপজলকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় দারুস সালাম থানায় নিয়ে যান এবং গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিপজলকে ডিএমপি অধ্যাদেশে আটককৃত অপর দুই আসামির সঙ্গে থানা হাজতে রাখা হয়।
হাজতখানার পাশের একটি রুমে নিয়ে তাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আফতাব উদ্দিনের ওপর হামলা ও হুমকি প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা বার বার অস্বীকার করেন। ডিপজল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুলিশের কয়েকটি টিম নগরীর বিভিন্ন স্থানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন।
থানা হাজতে ডিপজলের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। তাদের প্রেরিত খাবারও তাকে দেয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত খাবারই তাকে খেতে দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার তাকে দ্বিতীয় দফা রিমাণ্ডের আবেদন জানানো হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ১৬ নভেম্বর গাবতলী এলাকার মূল সড়কে ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আফতাব উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত ও তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে ডিপজলের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলার এজাহারে আহত পুলিশ কনস্টেবল দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো এবং হামলার অভিযোগ করেন। মামলার পর ডিপজল দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর রোববার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে দারুস সালাম থানায় আত্মসমর্পণ করেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডিপজলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, সরকারি জমি দখলসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় ডিপজল দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর শ্যামলী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তখন তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন ডিপজল ও তার স্ত্রীর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে দেয়া সম্পদ বিবরণীতে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ থাকার অভিযোগে কমিশন ডিপজল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।