কাগু ক্যান স্টার্ট অ্যা ফায়ার ইউজিং জাস্ট টু আইস কিউবস
অজাগুপ্তকেশী (লেখকের নিজস্ব স্বীকার্য অনুসারে) জাহাজি পোলা একটা গল্প লেখেছেন । "নাস্তিকতাময় একদিন" । গল্পের মূল প্রতিপাদ্য হইলো, এক কথায় কইলে নাস্তিকরা খুব খ্রাপ । আরেকটু সুশীলিয় ইশটাইলে কইলে, নাস্তিকের পক্ষে নৈতিকতা ধৈরা রাখা খুব কষ্ট । কিন্তু ভেড়ার পালের মত ধর্মগুরুর কথা অক্ষরে অক্ষরে মাইনা নিলে, কোনরকম চিন্তাভাবনা না কইরাই ভালো থাকা যায় ।
এবং অনেক সাধারণ লোকের জন্য এইটা গুরুত্বপূর্ণ ।
এই গল্পের বিপরীতে কইলে অনেক কথা কওন যায় । যেমন এইটা বহুৎ পুরাতন পঁচা রদ্দি একটা মাল । আউটডেটেড ক্লিশে । আরো কওন যায়, নাস্তিকতা নৈতিকতা সংক্রান্ত কোন বিশ্বাস না ।
এইটা হইলো সত্য সংক্রান্ত একটা কনভিকশন । মতামতও বলা যায় , যেহেতু স্রষ্টার পক্ষে বিপক্ষে কোনদিকেই ইস্পাতকঠিন প্রমান/যুক্তি পাওয়া যায় নাই এখনো । তাই যেহেতু অপ্রমাণিত কোন কিছুকে বাই ডিফল্ট কখনই সিরিয়াসলি নেয়া হয়না , সেহেতু নাস্তিকতার পজিশনটারে স্বাভাবিক ধইরা নেয়া যাইতে পারে । তবে সেখানে আরো অনেক কথা আছে, যেইগুলা এইখানে বলার জন্য এই লেখা লেখি নাই । নৈতিকতা সম্পূর্ণ অন্য জিনিস ।
সেইগুলা নিয়া আলোচনা করার জন্য ফিলোসফি আছে, স্পিরিচুয়ালিটি আছে, আইন শাস্ত্র , তর্ক শাস্ত্র এইসব আছে ।
এখন এই গল্পের প্রতিকিড়িয়াগুলা দেখি , কয়েকজনের কিছু কমেন্ট
-------------------------------------------------------------
*হাশেম দেওয়ান বলেছেন: অটোমেটিক চয়েজ। ভালো হয়েছে। প্রিয়তে। *
*শ।
মসীর বলেছেন: হুমমম ব্যাপারনা..........
শুনেন ব্লগ হচ্ছে মাস্তির জায়গা, এইটারে সিরিয়াসলি নিসেন তো পস্তাইবেন, সামুর ডাকসাইটের নাস্তিকও এখন বিয়া করব বইলা সোরগোল তোলে........যাই হউক ব্যাপারনা, মজা নেন। সিরিয়াসলি নিলেই ধরা খাবেন। *
*ত্রিভুজ বলেছেন: সজীব আকিব বা অন্য কোন নাস্তিক,
নাস্তিকদের ম্যানুয়ালা আসলে কে লিখেছে? মানে কোনটা ভাল কাজ কোনটা খারাপ কাজ এটা নির্ধারনের মানদন্ড এখানে কী?
@জাহাজী পোলা
প্রকাশটা সুন্দর হয়েছে। আলোচনা করার অনেক অবকাশ আছে, পরে কখনো। আপাতত প্রিয় পোস্টে রইলো।
নিজের চিন্তা-ভাবনার সুন্দর প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। *
*শিবলী বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন আপনি।
কংগ্রাটস। অনেককে তার দৃষ্টিভংগী পরিবর্তনে এটা সাহায্য করবে ।
ধন্যবাদ *
----------------------------------------------------------------
দিলে আরো অনেক মন্তব্য দেয়া যায় ।
কিন্তু সবগুলা দেয়ার মানে নাই । সংক্ষেপে বললে শীৎকারে, সুড়ুৎ সুড়ুৎ শব্দে, আর আহ-উহতে ভরে গেছে লেখা । অনেক আস্তিকের এক্কেবারে মনের কথাটা তুইলা আনছেন জাহাজী পোলা ।
অনেক নাস্তিক আবার যথারীতি এইটার প্রতিবাদে লাইগা গেলেন । প্রতিবাদগুলার মৌলিক এক ধারা হইলো , ভালো খারপ এইটা আস্তিকতা বা নাস্তিকতার সাথে নির্ভর করে না , বরং আপনে মানুষ কেমন এইটার ঊপর নির্ভর করে ।
যেটা সত্য ঘটনা ।
কিন্তু এইখানে আরো অনেক কথা বলা যাইতো, যেমন এইটা নাস্তিকদের ক্যারেক্টারে একটা অযাচিত, অনভিজ্ঞ এবং আবালমার্কা জেনারালাইযেশন । পাশের বাসার ভাবী যদি সেক্সি হয় তাইলে হাজীসাবও মনে মনে লুল ফালান , এইটা স্বীকার না করার উপায় নাই ।
কিন্তু একটা জিনিস আমার অবাক লাগে , এইসব লুল ফালানি, মদ খাওয়া, পর্ন দেখা, হাত মারা এইসব ভার্চুয়ালি অন্য কারো ক্ষতি করেনা এইসব কাম নিয়া আস্তিকদের এত আগ্রহ, এইগুলা ঠেকানির জন্য এত বালছাল ভাবনার মানে কি । নিজের জীবনে দেখলাম, সালাম দেয়া নিয়া চিংড়ির মত উৎসাহী, তাবলিগের দাওয়াত নিয়া নামাজ পড়া নিয়া ব্যাপক উৎসাহী, কম্যুনাল পার্টিতে ছেলেরা মেয়েরা একটেবিলে খাইবো দেইখা পার্তি বয়কট করা পিএইচডি হোল্ডার প্রফেসরও, তিন লাখ ইয়েন বাঁচানোর জন্য দেশ থেকে দুইনাম্বারি লাইসেন্স নিয়া আইসা এইখানে সেইটারে ভ্যালিড বইলা কনভার্ট কইরা নিতাছে ।
তখন তার নৈতিকতায় চুলকায় না । তখন মনে মনে লুল ফালাইলেও আল্লা ঠিকই দেখে এই দর্শন আর থাকে না । তখন মনে করে সে আল্লার চোখেও ধূলা দিয়া দিতে পারবো । তখন তার ঈমাণ থাকে না ।
এইটার বিপরীতে আসিফ মহিউদ্দিন লেখলেন একটা গল্প *দ্য গ্রেট মাস্টারবেটর* ।
যেটাও - বলতে দ্বিধা নাই - গ্রস জেনারালাইযেশন আর আরোপিত চিন্তায় ভর্তি । যেইসব কাজের কথা বলা হইছে, স্যুডো-আস্তিকের জীবন দিয়া , সেইগুলা সাধারণত এবং সুখের কথা হইলো বাংলাদেশের আস্তিকরা করে না । যারা করে তারাও ধর্মের দোহাইয়ের বদলে বরং যে পরিবেশ প্রতিবেশ এইসবে বড় হয় সেইসবের কারণই বেশি । ছৌদি-পাকিস্তান এইসবের কথা বাদ ।
ধর্মে ঐসব কাজ করার অনুমতি দেয়া হইছে কি হয়নাই, বা ধর্মের অন্যান্য কথা থেকে এই কাজগুলার র্যাশনাল আসে কিনা সেটা নিয়া আলোচনা হইতে পারে, হবে ।
কিন্তু এইখানে আমার মনোযোগ ঐটা নিয়া না । আগে বরং আসিফ মহিউদ্দিনের পোস্টের কিছু মন্তব্য দেখা যাক
---------------------------------------------------------------------
*ত্রিভুজ বলেছেন: আপনাকে আমি ঐদিন বলেছিলাম, আপনার আস্তিক হওয়ার দরকার নাই.. আস্তিক হলে আপনি হবেন ধর্মান্ধ! এই গল্পে সেটার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেল। ইসলাম সম্পর্কে যে আপনি কত কম জানেন তা আপনার এই গল্প পড়ে জানা গেল। আফসোস!
আপনাকে আবারো অনুরোধ করি, প্লিজ...! ভুলেও এই জ্ঞান নিয়ে ইসলামের পথে আইসেন না... আসলেও কাউকে সেটা জানানোর দরকার নাই... ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব তো নয়ই... এই জ্ঞান নিয়ে আপনি নাস্তিকতা নিয়ে পোস্ট দিতে থাকেন, আমার পড়তে ভালই লাগে... আনন্দের খোরাক পাই.. কিন্তু এই জ্ঞান নিয়ে আপনি আস্তিক হয়ে ইসলামিক পোস্ট দিবেন ভাবতেই কেমন কেমন লাগে। *
িরয়াজ মাহমুদ বলেছেন: অপব্যাখ্যা এবং মনগড়া ব্যাখ্যার মিশ্রনের অত্যন্ত সুন্দর(!!) একটি পোষ্ট।
দি রেইনবো মেকার বলেছেন: বাজে পারসেপশান, সম্পুর্ন মনগড়া, কাল্পনিক ও কাঁচা লেখা.....
নাস্তিকদের লজ্জা হওয়া উচিত এমন ফাউল একটা পোস্টের জন্য.
বাই ডিফল্ট মাইনাস. ঘুমান গিয়া এখন.
--------------------------------------------------------------------
মজার ব্যাপার হইলো দুইটা গল্পই মূলত একটা অপরটার মোটামুটি বিপরীত । কিন্তু এইটা আস্তিকদের কারু পছন্দ হয় নাই ।
চিফের কমেন্ত শুইনা মনে পড়লো ডকিন্সরে একবার লেকচার শেষে একটা মুসলিম বালক জিজ্ঞাস করছিলো, যডি গড না থাকে তাইলে আমিযে এখন ড্রাগ ডিলার না হইয়া প্রস্টিটিউট না লাগাইয়া রেইপ না কইরা আছি এইসবের মূল্য কি । ডকিন্স কৈছিলো, যদি তোমার ধর্মই কেবল তোমারে ঐসব কাম থেকে থামাইয়া রাখে তাইলে আমার ব্যক্তিগত এবং শক্ত অনুরোধ তুমি বরং ধর্মেই থাকো । চিফ প্রথম পুস্টেও এই কথা কইতে পারতো ।
কিন্তু আরো লোকজনের অপব্যাখা হইগেলুরে, সব মনগড়া হই গেলুরে বইলা নাকি কান্দন দেইখাতো আমি হাহাপগে । ব্যাখ্যাগুলা খারাপ বলতেই হয়, এমনকি সত্য হইলেও । এবং আগেও একবার যেইটা কইলাম, সুখের কথা হইলো এইরকম কইরা সাধারণত কেউ ব্যাখ্যা করে না এখন আর, ছৌদি আর ইড়ানি মুল্লারা বাদে ।
তবে এই পুস্টে আস্তিকদের বেশ পুরাতন কিছু অস্বস্তির জায়গা নিয়া আসাটা আসিফের খুব খ্রাপ হইয়া গেছে । মুসলিমরা এখন নয় বছরের বাচ্চা বিয়া না করলেও যুদ্ধবন্দী দাসীদের সাথে না লাগাইলেও , সোজা মুখ নিয়া এইগুলারে খারাপ কইতে পারে না ।
কারণ দ্বীনের নবী মোহাম্মদ এইসব নিজেই কইরা গেছেন । এইজন্য যারা এইগুলার ইসলামি সোর্স জানে তারা এইগুলারে যুগের দোহাই, যুদ্ধাবস্থার দোহাই এইসব বালছাল দিয়া একেবারে প্যাঁচায়া প্যাঁচায়া গন্ধ বানাইয়া ফেলে । যারা জানেনা এইগুলার উৎস , তাদের জন্য অবশ্য সুবিধা, তারা চাইরপাশে এইগুলা দেখে না অতএব এক্কেবারে সোজা মুখে এইগুলারে মনগড়া বা মিথ্যা বইলা তাদের ঈমাণি দায়িত্ব শেষ করতে পারে ।
এই পোস্টের কমেন্ট এবং আলোচনায় অনেক পুরান যুগের ক্লিশে আর অর্থহীন রেড হেরিং পড়তে পড়তে কেলান্ত হইয়া যাওয়ার জোগাড় । তুমি মূর্খ্য, তুমি ছাগলা, তুমি কিচ্ছু জাননা, তুমি হেনতেন ।
তখনকার অবস্থা বুঝ, কোরান হাদীসে ডক্টরেট ডিগ্ড়ি নিয়া আসো, আরবী শিখ্যা আসো, তাফসীর জালালাইন পইড়া আসো এইসব । কিন্তু ইস্যু এট হ্যান্ডের একশ মাইল ধারেকাছে দিয়াও কেউ যাইতাছে না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।