http://profiles.google.com/mshahriar
হরতাল যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, তেমনি হরতাল পালন না করাটাও অধিকার৷ অন্তত গণতন্ত্র নামের বিচিত্র জিনিসটা সেরকমই বলে৷ তবে এইগুলা হলো কেতাবের কথা৷ বঙ্গদেশের রাজনীতিকরা কি আর কেতাব মানে? মানে না৷ তারা বরং নিজেদের সুবিধা মতো কেতাব রচণা করে৷ তাই তারা হরতাল ডাকলে সেটা পালন না করার অধিকার মানুষের নেই৷ না করলে খবর৷ তাই হরতাল কালকে হলেও আজ সন্ধ্যার সময় অফিস থেকে ফেরার সময়ই দেখি রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে৷
কিন্তু আমাদের যাদের হরতাল পালন করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই, তাদের কি করা৷ আমাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে৷ সেই যাওয়াটা বড় সহজ না৷ হরতালের মধ্যে রাস্তায় বের হলে চোখ কানকে অতিরিক্ত সচেতন রাখতে হয়, অন্যথায় পিকেটারদের সামনে পড়লেই ভাঙচূর, জ্বালাও-পোড়াও৷ পাবলিক বাস বা ব্যক্তিগত যানবহন, কোনটাই বেশি নিরাপদ না৷ তাই ভাবতেছিলাম কি করা যায়৷
আজকে ভাগিনার জন্য ছবির গাড়িটা নেয়া গেলো৷ এইটার নাম অটোকার৷ স্টিয়ারিং ধরে ঘুরালেই এটা চলতে থাকে৷ জিনিসটা নেয়ার পর বাসায় এনে চড়ে দেখলাম চমৎকার জিনিস, গড়গড় করে চলে! তখন টং করে মাথায় খেলে গেলো, কালকে এটা করে অফিস গেলে কেমন হয়? পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি উচ্চতার পয়ষট্টি কেজির একজন এই অটোকারে করে যাচ্ছে, এটা দেখে হরতাল কারীরা হয়তো হাসতে হাসতেই শেষ হয়ে যাবে, জ্বালানোর কথা ওদের মনেই হবে না!
বিঃদঃ এইটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ হরতালে অটোকার নিয়ে বের হয়ে পিকেটারদের খপ্পরে পড়লে তার জন্য লেখক দায়ী থাকবে না!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।