১………
আমি তোমাকে কোন আশ্চর্যকর ম্যাজিশিয়ান এর মত
কোন জাদু দেখাতে চাই না
আমি শুধু দেখাতে চাই তোমার চারপাশে যা ঘটছে ,
যা কিছুকে তুমি চরম বাস্তব বলে ভাবছো
তা আসলে এক চরম যাদু
যেখানে আসলে তুমি
এক মূড়, বোবা, মুক, বধির স্থবির দর্শক ছাড়া আর কিছুই না
২…….
আমি যখন কিছু লিখছি তখন আসলে আমার ভেতরে
একটা কবিতা আছে যা আমি লিখছি
কিন্তু যখন কিছু লিখছিনা
তার মানে আমি একটা কবিতার ভেতরে আছি ,
যা আমাকে লিখছে, তখন আমার চুপ থাকাই ভাল
কারণ কবিতার তাতে লিখালিখিতে উতপাত হতে পারে
৩…………..
প্রিয়তমা, পৃথিবীর সবক্ষেত্রে আমি বুদ্ধিবৃত্তিক ,
শুধু তোমার ক্ষেত্রে আমি বোকাভিত্তিক
এটা চরম অযৌক্তিক ,এটা অকাট মুর্খামী,
এটা দর্শন আর সত্যের বরখেলাপ
আমি এতকিছু জানি না
শুধু আমার ঠোঁটে ঢেলে দাও তোমার ঠোঁটের হাজার বছরের নিঃসঙ্গতা
৪...........
দুইজন ডুবুরীর নিঃশ্বাসের উর্ধচাপে ভেসে ওঠে সেই নৌকো
আবার দুজন যখন বুঝতে পারে জলের তাপে ভিজে ভারী হয়েছে মন
আর মন একটা প্রকান্ড চলমান গর্ত ছাড়া আর কিছু নয়
তখন ডুবতে থাকে সেই নৌকো
দুজনের হাড় স্বেচ্ছায় হয়েছিল যার দাঁড়
সেই নৌকো যার পালের রঙ প্রেম
সেই নৌকোর নিমজ্জিত মাস্তুল হলো বিরহ
আমি যার মাঝির রক্তে পাচার করে দিয়েছি আমার নীল রাত
৫............
সন্ন্যাসীনীর (যেমন মাদার তেরেসা)জীবন নিয়ে ভাবতে গেলেই ,
প্রথমে যে দৃশ্যকল্পটা আমার মাথায় আসে সেটা এমন
" একটা চরম বন্য স্বভাবা সিংহীকে আটকে রাখা হয়েছে
শহরের সবচেয়ে বড় চিড়িয়াখানায়
আর টাকা দিয়ে টিকেট কেটে দলে দলে দর্শনার্থিরা
সেই সিংহীর অস্থানে মাছির মত তাকিয়ে আছে
৬..........
তোমরা বধির তাই আমি অধীর
এই আমার গান তোমাদের করবে পান
ঢেকুর না হয় সময়ই গিলুক
তোমাদের জন্মে না হয় আমার বেওয়ারিশ মৃত্যুই মিলুক
৭.............
দুর্গাকে বিসর্জন দেয়া হলো বুড়িগঙ্গায়
আর সে ভেসে উঠলো মা কালী হয়ে
ইয়ে হ্যায়
কার্বন-ডাই-অক্সিডেন্টাল মেটামরফসিস অফ মর-ডান সিভিললাইগেশন :
৮............
আমি মৃত্যু গিলল্লাম কয়েক গ্লাস
এখন যে আমি , তোমার সাথে কথা বলছি ,
সে আমি না , সে হলো আমার প্রেতাত্মা
আমি বিদায় বলে দিয়েছি তোমার বধির কানে
আমাকে প্রেম দাও তাহলে আবার পৃথিবীতে বেঁচে উঠবো
৯..........
প্রেম, আমার যুক্তি থেকে মুক্তির তীব্র মদ..
আমি নেশাতুর তার টালমাটাল হেলে পড়ার ,হোঁচট খাওয়ার ক্ষমতায়
প্রেম আমার সরলতার ,মসৃণ জীবন থেকে পালানোর গরল
আমি তাতে দিশেহারা আর উশৃঙ্খল
১০……..
কি আমার কবিত্বের প্রাপ্তি ??????
পৃথিবী আমাকে প্রেম দেবে না কখনো ,
আমার তীব্র প্রেম কখনো মিলনের চরাচর খুজে পাবে না
শুধু গভীর বেদনাবোধে আক্রান্ত
প্রেমের কবিতা আর গানের উপাদান সাপ্লাই করে যাবে
১১..........
আমি এখানে নেই, আমি নিশ্চিহ্ন
ঘুমিয়ে আছি সাইবেরিয়ার তুষারের গোরস্থানের অনেক গভীরে
তুমি কি স্বপ্ন হবে? তুমি কি হবে সুর্য??
যদি হতে চাও তবে উঠে এসো ,
যেভাবে আমার হৃদয়ের অনেক গভীরে
একফোঁটা রক্ত ঝরে পড়ে টুপ করে
১২………
পোশাক খুলে মাংসে ফুল ফোটাও,
খুলে ফেল ,দেখ তোমার দেহের ভাজে খানা-খন্দ, একটা ডাহুকী নদী
নাভীমুলে প্রসবকাতর সুর্য আর তোমার সবচেয়ে নরম জায়গায়
আমার হৃদয় তোমার হৃদয় গড়ছে
১৩…………
মাঝখানে একটা দেবদারু গাছের চূড়োর দীর্ঘছায়া
অতীতের থেকে তোমার তৃষনার্ত , অতৃপ্ত ঠোঁটের নিঃসঙ্গতা নিয়ে ,
আমার এই বর্তমানের ভঙ্গুর দেহের উপর দিয়ে ছায়া ফেলে
গিয়ে পড়েছে ভবিষতের আমাদের মিলিত ঠোঁটের তুমুল শিহরণের চূড়োয়
১৪.........
প্রেম নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে ,
মাথা খাটানোর আরো অনেককিছু আছে দুনিয়ায় ,
এমনটা ভেবেই এগুচ্ছিলাম
কিন্তু যখন তুমি এসে দাড়ালে সামনে ,
মাথাটা ঘুরে গেল
আমার পথ গেল তোমার মাথায় থাকা হৃদয়ের দিকে
১৫...…………
আর দেরী সই না প্রিয়া, তোমারো দেহের মাঝে আমার দেহহীন ঝরা..
শুনিয়াছে মেঘ তোমাকে ছাড়িয়া গিয়াছে অলক্ষুনে অন্তরীক্ষে
তাই আমি ঝরিতেছি কুয়াশার বেশে
বৃষ্টি হয়ে তোমার হিয়ার আড়ালের মনোবৃক্ষে
১৬………….
প্রেম, প্রেম,প্রেম, প্রেম , প্রেম , কি চাও??
আমি তার চোখের কান্নার ফোটাকে সমুদ্র চিল বানিয়ে
উড়িয়ে দিতে মৃত্যুকে মৃত ঘোষণা করবো????
প্রেম, প্রেম,প্রেম
১৭………
প্রেম করবার মন চায়
কিন্তু তার চেয়ে বেশী মন চায়
আমার এই আবাল ইচ্ছাটারে গলা টিইপ্যা মারতে
ভূতে আমার সুখেরে কিলায়
১৮………..
সে ধন রাখি কোথায়, কেমনে ????
সে ধন খাড়ায়, জড়ায়, গড়ায় সুর্যের তীব্র আলোতে
আর হারায় অন্ধকারেতে
( কোন বানান ভুল হলে তার জন্য আমি দায়ী না ...নিজ দায়িত্বে ঠিক করে নেন)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।