১.........
স্বপ্নে দেখলাম তোমার চেহারা এখন দুঃস্বপ্নের মত হয়ে গেছে
তোমার শরীরের সংবেদনে
আমি ট্যাগ হয়ে ছিলাম বহুদিন
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি Remove হয়েছি
সকালেই এই প্রত্যাখান আর উপেক্ষা
আমার চোখে রাতের অন্ধকার হয়ে নেমে,
আমার শরীরে নক্ষত্রদের ধীরে ধীরে জ্বালিয়ে দিচ্ছে
যা তোমার Like আর comment এর
অতীত আমার এক আত্মপ্রেমে জ্বলে ওঠা
২...........
পুরোটা সমুদ্র যেন মদে টইটম্বুর
সমুদ্র সৈকতের বালি যেন হেরোইনের দানা
উড়ে যাওয়া আলবাট্রসের ডানা যেন কুণ্ডুলী পাকানো গাঁজার ধোঁয়া
চাঁদটা যেন একটা হলুদ ঘুমের ট্যাবলেট
ওই তো পাহাড় থেকে নেমে আসা ফেনসিডিল এর ঝর্ণা
আর প্যাথাড্রিন এর মত করে নীল আকাশ পুশ করেছি আমার শিরায়
এবার আমি যথার্থ পর্যটক
৩...................
জীবনকে খুব ছোট মনে হয় আকাঙ্খার কাছে
তাই কারো জন্য বসে থাকা কারো জন্য অপেক্ষা
অপেক্ষার প্রহর গুলো দীর্ঘ হয়
তার ঘোরে জীবনও দীর্ঘ হয়ে ওঠে
আর পেয়ে গেলে প্রহর হয়ে যায় মুহুর্তেই ভ্যানিশ ,
আনন্দের আতিশয্যে জীবনের বিনাশ
তোমার অপেক্ষায় তাই যখন আমি বাড়িয়ে ফেলছি আমার জীবনের আয়ু
তখনই আমি আবার জীবনহীন হয়ে পড়ছি কিছু না পাওয়ার শূন্যতায়
এখানেই বাজে " হুদাই" বাশী
আমার পাজরের হাড় দিয়ে বানানো বাশীর ভেতরে রক্তশূণ্য সুরে
৪...........
এইসব জ্যান্ত মানুষ যারা শ্বাষ নিচ্ছে নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে
তার চেয়ে মরা, গলিত , পচা লাশ গুলোও আকর্ষনীয়
অন্তত মড়াগুলোও তাদের ইচ্ছার গানে নগ্ন আর ব্যাথাহীন স্বচ্ছ
৫............
আমি তোমার সামনে নগ্ন হতে পারি দৈহিক বা মানসিক ভাবে আলাদা আলাদা
কিন্তু আমি তোমার সামনে তখনি নগ্ন হব যখন আমি শুধু নগ্নই হতে পারি ,
শুধু নগ্ন হয়েছি সেটাই যেখানে বিষয়
দৈহিক বা মানসিক ভাবে আলাদা আলাদা নয়
আমি পুরোপুরি নগ্ন সেটাই যেখানে তোমার নগ্নতাকে অনিবার্য করছে
৬...............
আমি কাঁদতে পারি না বলে আমার হয়ে কান্নার দায়িত্ব
আজ মেঘ নিল কেন!!!!!!!!!!!!!!
আমার চোখের মত এক সমুদ্র আজ মেঘের হল কেন !!!!!!!!!!!
কাদায় প্যাচ প্যাচ করছে শহর আমার না কাঁদা চোখের জলে
ড্রেন ড্রেন ভরে গেছে আমার প্রেমহীন বিরহের মেঘমল্লারে !!!!
আমার দেহ ভিজে যাচ্ছে নিজের কান্না অন্যের চোখ থেকে ঝরে!!!
ধুত্তরিকা মনে হচ্ছে এই বৃষ্টি তোমাকে ভেজাবে অজায়গায় ,
তোমার ঢেকে রাখা নরম উর্বর গোপন মাটি
আমার সুপুরূষ লাঙ্গলের কর্ষনে, আমার মরুভুমি হতে থাকা ঝড়ে
৭...............
আমি বিশ্বাষ করি না যে আমি জন্মেছি,
আমার কোন বয়েস বলে কিছু আছে আর আমার মৃত্যু বলে কিছু আসছে
আমি যে কোনভাবেই নেই তাই আমার অস্বিত্বকে প্রবল করে দিচ্ছে
আমার না থাকাটা তোমাকে প্রকট করে দিচ্ছে
তোমার কাছে তোমার অস্তিত্বহীনতা
৮..............
কিছুকাল সময় কাটানোর জন্য আমরা কিছু কাজ বেছে নি
আর সে সব কাজের ঘাড়ে অনেক মাহত্ম্য চাপিয়ে দিই
তারপর ব্যস্ত হই যেভাবে মৌমাছিরা ঘুমায়
তারপর মধু জমে যার লাবন্য বিষের ঝাঝে ভরপুর
আর বোতলে বোতলে ভরে রাখি সেই বিষ
.সেই বোতলে ভরা সুধা কি নিরাময় করবে মহাকালের ঘন হয়ে যাওয়া অসুখ?
তারপর সেই পর্ব শেষ হয়
আবার আসে নতুন কিছুকাল
আসলে আমরা ছিড়ছি এক মরা মহিষের বাল
৯................
এই ফোটগ্রাফিক মুহূর্ত-বন্দীর যুগে ----
স্মৃতির পাহাড়ে ধুলো হয়ে যাওয়া বর্তমানহীন মান-হুশের ভীড়ে আমি সেইজন ,
যার কোন শৈশবের ফটোগ্রাফ নেয়
অর্থাৎ আমার কোন শৈশব বলে কিছু নেই
যাক বাঁচা গেল নস্টালজিয়া আর
আমার মেরুদন্ডের প্রগতি অবজার্ভেশন থেকে মুক্তি পাইলাম
১০............
আমার বুকের এক্সরে রিপোর্টে
আমার কোন পাজঁরের হাড়ের ছবি দেখতে পেলাম না
দেখলাম সেখানে বাসা বেধেছে অজস্র বাবুই পাখি
তবে সেখানে দেখলাম কোন পাখিও নেই
সেখানে অজস্র প্রজাপ্রতি তাদের রঙ দিয়ে একটা রংধনুর ডানা বানাচ্ছে
যা রাষ্ট্র , ধর্ম, সভ্যতার কাছে এক চরমপন্থীর বিস্ফোরক নিঃশ্বাস
১১.................
পৃথিবীর সব পরিত্যক্ত ডাকবাক্সে আমার প্রেমের চিঠিগুলো পড়ে আছে
আর সীলগালা করা সেইসব পোষ্টবাক্সের চাবিগুলো
সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে আমার এই সমসাময়িকতা
তুমি কি ডুবুরী হবে নাকি হাতুরি বানানো কামার???
১২.................
পুব আকাশে হারিকেন টিমটিম..
কেরোসিনে মিশিয়ে দেই আমার রক্ত ফোটা ফোটা .
তেজহীন তবু রোদ .মাটি প্রসুতিহীন.।
কোদাল থেকে খশে পড়া মরিচাই , বাড়ে শুধু মাটিতে জং
১৩.................
দেহব্যবসায়ী রাত এখানে শুরু হলো,
মনব্যাবসায়ী দিনের মগজের ঘাম দেহের রোমকূপে তিরতির করে কাঁপিয়ে
হেমন্তের রাত-বাতাসে শুকোচ্ছে আমার হীরক-মূল্যে বেচা দেহ-মাংসের চাড়
১৪....................
বাঙ্গালী মুসলমান যুবক
তার প্রেমিকার গ্রামে যেতে চায় নদীতে নৌকায় ভেসে ,
প্রিয়ার গাঁ-এর পাশের ছোট্ট নদীর ঘাটে
ডিঙ্গি কোনদিনো ভিড়তে পারে না ঘাটে বিবাহের সানাই এর ভণ্ডামী ছাড়া
তাই সে হাত মারে ..হাত মেরে মেরে নিজেই বানিয়ে ফেলে একটা গাড় ঘন নদী
তারপর সেই নদীতে সাঁতার কেটে সে ওঠে প্রিয়ার পেছন বাড়ির ঘাটে
১৫.............
বহুগামী রোদ ছুটেছে বিচিত্র ফুলে বিচিত্র দ্রাঘিমায় ,
হয়তো কোথাও সুর্যের আলো হয়ে নয় শুধু ,
হয়েছে কোথাও সেই নক্ষত্রের আলো ,
এসব হয়ে ছুটেছে সে বিচিত্র ফুলে বিচিত্র রঙ হবে বলে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।