আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসুখের ডায়েরী


১. মন যখন একটা মার্সিডিজ বেঞ্ছের আশায় স্বপ্নের বদলে তার শুণ্যতায় ডিজেলে পরিপুর্ন হয়. তখন আমি প্রজাপ্রতি-কে তেলাপোকা নামে ডাকা শুরু করি আর রোবট গুলোকে পথ দেখিয়ে দিই ইডেনের দিকে ATM বুথে দেখি গন্ধমের চাষাবাস হঠাৎ একটা গন্ধমের পতন হল তোমার হাতের তালুতে আমি শুনতে পেলাম মুদ্রার টঙ্কার মনে হলো আমি আজ পেয়ে গেলাম প্রেমের যথার্থ নাম তার নাম " রক্ত ভরা একটা তেলের ট্যাঙ্ক আর তার ভেতর ডুবছে একটা গিনিপিগ ২. ব্রেসোর "পিকপকেট" এর সেই পকেটমারের পকেটের ভেতর একটা অচল মুদ্রা হয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে আছি পকেটের ফুটো দিয়ে ক্ষুধার শেকলে বাঁধা পড়ে আছে আজ সকালের রাজধানী কেন্দ্রীয় কারাগারে কার চুরুটে রাষ্ট্রদ্রোহের অগ্নিদাহ।!!! তবু তার কুন্ডুলী পাঁকানো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে উত্তর-আধুনিক মানুষের কেরানী হৃদয় পকেটমারটা এখন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কোষাগারে আর সেই আনন্দে সোনায় বাধানো দাঁতে হাসছে বস্তির বীর্যর দলার মত শিশুরা ৩. আজ রাতেই তোমাকে বলে ফেলা যায় এই তুমি যাকে ( আমাকে ) ভালবাসো তার কোন অস্ত্বিত্তই নেই আসলে সে আসলে এক অস্ত্বিত্বের বিকল্প মাত্র মানে আমি বাতাসে মিলিয়ে গেছি তোমার গানের সুর অন্ধকারে তার পাখিগুলোর কন্ঠ খুজে পাওয়ার আগেই ৪. আমার ম্যাচবক্সের বারুদের ভেতর একটা শ্মশানের গন্ধ পাই , যেখানে পুড়ছে সব শিল্পাঞ্চলের এলিট শিল্পী অথবা বলা যেতে পারে এলিট অঞ্চলের শিল্পী আর শিল্প শিক্ষকদের মড়া লাশ আর সেই গন্ধের মাদকতায় আর পোড়া লাশের নিভু নিভু আগুন দিয়ে আমি আমার সিগারেট ধরাই আহ কি!!!! আনন্দ !!!!আমার আঙ্গুলের ফাঁকের সিগারেট থেকে যে ছাই উড়ছে তা যেন ওইসব গাধাদের পোড়া লাশ থেকে কুন্ডুলী পাকিয়ে ওঠা নিঃস্ব অভিজাত ধোয়া ৫. প্রেম ও ঘৃণা দুটোই মানুষের কাছে থাকার উপায় তাই যদি তুমি আমাকে না ভালবাসো তাহলে তোমাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে হলেও তোমার পাশে থাকবো এই কাছে থাকা "কাছে থাকুন গ্রামীণ ফোন" না এই কাছে থাকা ওই ব্যবসায়ী "কাছে থাকুন গ্রামীণ ফোন" থেকে অতিদূর চল যাওয়ার জন্য দুজনের হাত ধরা ৬. পালেপালে গরু ঝাকে ঝাকে মৌমাছির পেটে খেয়ে যায় ফুল , চরে যায় ঘাষের অভাবে ফুলের ক্ষেতে সুর্যমুখী সে ফুলের নাম অথচ দেখতে চন্দ্রমুখী, সুর্যের আলোয় ঢলে পড়ে চাঁদের দিকে এই অবাস্তব বাস্তবের কালে তাই মধুরা আশাবাদী, মধু তার মধুরতায় তোমার আমার প্রেমের মৃত্যু প্রত্যাশী ৭. কোন একটা শিশুর কোলের ভেতর শুয়ে ওর আগামাথাহীন ভাষায় পরীদের রুপকথা শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে খুব. অন্ধকারে ওর সুর্যমুখে আমি হারাতে চাই আমার সব খররোদ্রের দিন ৮. বেশী করে সস দিয়ে, লবন মাখিয়ে, মেয়েনোস লাগিয়ে কাচা মরিচের গুড়া দিয়ে নিউক্লিয়ার বোমা খাইতে ইচ্ছা করতাছে । কাল রাতে আমার এই আদিগন্ত বিরাট জেলখানার বিছানায় ঘুমে আমি একি স্বপন দেখিলাম !!!!!! স্বপ্নে ঈশ্বর আমাকে একটা ছড়া শোনাচ্ছিল ছড়াটা এমন "হোমসেপিয়ান ,হোমসেপিয়ানস, নিউক্লিয়ার বোমা তুমি খাও ???? ...ধর্মযুদ্ধের নামে খণিজ তেলে ভাঁজা মানুষের লাশ খাও ???? " ৯. হাঙ্গর, লবণ, ভেঙ্গে পড়া মাস্তুল, মনের মত আকারের এক জেলী ফিশ, তিমির পাজরে আমার বেহাত নিঃশ্বাষ সব কিছু কেমন সামুদ্রিক আর গন্ধটা নোনা আমার শহর ঘরে এসব কি হচ্ছে!!!! দেয়ালে দেখি শৈবাল লেগে আছে, পায়ের তলায় রোদের সাথে সংগম রত সৈকত আমি যেই সুর্যটাকে কোনদিন অস্ত যেতে দেইনি তুমি সমুদ্র স্নান করে উঠে এলে তো্মাকে দেখার জন্য সেই সুর্যও দেখি আমার আয়নার ভেতরে যদিও আমার এই ঘর সমুদ্র থেকে অনেক দূরে তার মাস্তুল খাটিয়েছে ১০. আমার কি-বোর্ড কলম , তুই কবে অসুন্দরকে লিখতে পারবি বিভৎসতার ছন্দে!!!!!!!!!!! ????? সুন্দরকে হত্যা করে যে তার রক্তে নিজের প্রতিবিম্ব দেখেনি সে আবার কোন অস্বিত্ব নাকি !!!!!!!!! ১১. প্রেমিকা আমার তাড়াতাড়ি করো, দেরি করোনা শুনেছি সাগর শুকিয়ে যাচ্ছে ওখানে নাকি মরুভূমি জেগে উঠছে ঢেউয়ের ফণায় আমাদের সুর্য-গরম মধুচন্দ্রিমা আর চুমাচাট্টি শেষমেষ কি মরুর বালুতে খুজে নেবে বিছানা!!!!! আমার মাথা বেঁচে যদি সেই টাকায় তোমার মনের অসুখের চিকিৎসা করতে হয় তাও রাজী তবু সবুর করতে আর রাজ়ী নই কারণ সবুরে এখন সাগরের মাঝে মরুভূমি ফলে ১২. জ্বরের দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ী, বিল্ডিং আর পাতায় মোড়ানো আসবাব কপালে তুমি লেগে আছো বৃষ্টির দাগ হয়ে আমি মেঘ এনেছিলাম তোমার জন্য আমার আকাশরঙ্গা চোখ ভরে, মৃত পশুদের তৃষ্ণা মেটে যে মেঘের জলে আমার হাতের ভেতর একটা পৃথিবী বিস্ফোরণের অপেক্ষায়, তোমার পায়ের নিচে একটা মরুভুমি পৃথিবী ঢেকে ফেলার পায়তারায়। ১৩. গতকাল রাতে আমি ঈশ্বরের সবচেয়ে আদরের মেয়েকে অপহরণ করেছি সেই দুঃখে ঈশ্বর গলায় দড়ি দিয়ে মরেছে মরিনি আমরা তার মরার দুঃখে এখন আমি সেই মেয়েকে নিয়ে সমুদ্রতীরের বাতাসে ভাসিয়ে দিয়েছি যৌথ পাঁজর্ , চুমু খাচ্ছি তার নীল গালে জানি জীবন আর কিছুই না সে শুধু এক মৃত্যুর শুরু ১৪. তোমার চোখের অস্থির পাতার মত যদি তুমি সপ্রতিভ হতে.!!!! তোমার পায়ের আঙ্গুলের মত যদি মনের জানা থাকতো কোন অচেনা পথ!!! তোমার ঠোটের নিচে চাপা পড়া দীর্ঘশ্বাষ যদি হত মরুভুমিতে সবুজ ঘাষ তাহলে হয়তো আমি আবার প্রেম কে নিয়ে বাজ়ী ধরতাম তোমার দেহ থেকে আসে লাশের গন্ধ আমার দেহ যেন তোমার কবরের অন্ধকার এই লাশে লাশে প্রেম করার চেয়ে বরং চলো প্রেমের খুনীর সাথে বসে সবুজ রক্তে আকাশ রাঙ্গায় ১৫. আল্লার কিরা করে বলছি প্রেমরে ছাইড়া দাও ইহাভুত যে কান্নাকাটি উৎপাদিত হয় তাহা আমার কাছে এখন এক সুদর্শনা প্রেত্নী ছাড়া আর কিছু মনে হয় না আল্লার কিরা প্রেম tired খাইছে আমাগো স্বপ্নের দোষে আর ওর নিজের রক্তের বধহজমে প্রেমরে কোপাও লাগলে আমি কুড়াল দিমু ঊহার নানীরে বরং মরা ভগবানের সাথে বিচ্ছেদ-বিবাহ দাও ১৬. মন নিয়ে তুমি উড়ে যেতে পারো অমরায় কিন্তু দেহ পড়ে থাকে কামে ,ক্লেদে মন চিরকাল এক সংশয় তাই অজান্তেই প্রতারণাময় দেহ শুধু সত্য কারন তার জন্ম আছে,আছে জ্বরা,আছে তার দারুন মৃত্যু তাই সে এত জীবন্ত এত সত্য আমার দেহের ক্লেদে যে তুমি নামোনি অজানার খোজে তার মনের প্রেম, চেনেনা প্রেম শুধু জানে অহেতু জীবনযাপন আমি মনকে বলছি সে মেঘ তাই ভেসে যেতে পারে শুধু,তাই ভুলে যাই তাকে এর চেয়ে এসো আমার দেহের শিরায় হও প্রচন্ড বিদ্যুৎ ঝলক ১৭ . পাবলিক একটা চরম গোলমেলে বিষয় তাদের পাল্লায় নিজেকে মাপতে গেলে দেখি এ পাল্লায় আমার ওজন একটা জলহস্তীর সমান আবার ও পাল্লায় এক ছটাক আবার দেখি সেটাও উলটে যায় ক্ষনে ক্ষনে আবার আছে আরেক শ্রেণীর আর্তইস্ট (artist বসবাস পাবলিক টয়লেটের ছাদে ) যাহারা আমকে মাপিয়া কোন ওজনই পাইনা কোনদিন বলে আমার শিল্পের ওজন মোটামুটি .০০০০০০০০কেজি যাহাতে পাবলিকের পেটতো ভরবেই না বরং তাদের সময়ের হাতের ভর শূন্য হইবে আমার আকারহীন অবয়বময় শিল্পে ১৮. নিজেকে "সুন্দর" বলা শিখো, না হলে তুমি অন্যকে "সুন্দর" বলে ডাকতে পারবে না কারণ নিজেকে সুন্দর না বলতে পারলে যখন তুমি অন্যকে সুন্দর বলবে সেটা সৌন্দর্যের স্তুতি বা তার প্রতি মুগ্ধতা নয়, সেটা হবে তোমার নিজের সম্পর্কে কম জানার ফলাফল মানে নিজের অপুর্নতায় ঈর্ষায় কারো দিকে তাকানো আর নরকের আগুনের গানের মত গুনগান যা দুজনের(যে তুমি নিজে আর যাকে তুমি সুন্দর বলছো) সৌন্দর্যকে নষ্ট করে জন্ম দেয় এক কুৎসিৎ অবয়ব ১৯. ঘুম থেকে উঠে আমি জানালায় দাড়িয়েছিলাম আর সুর্য তাকিয়ে ছিল আমার দিকে আমাকে কি কোন ফুলের মত দেখাচ্ছিল!!!!! রোদ চুরি করে রঙ হওয়া অজান্তে বেড়ে ওঠা কোন বুনো ফুল অথবা মাটির গভীরে বেহালা হাতে কোন সুর্যমুখী????? কারন একটা প্রজাপতি এসে বসেছে আমার চোখে একটা ডানার গান আমার হৃদয় এর ভর বাড়িয়ে দিচ্ছে অজস্র মহাবিশ্বের ভারে কিন্তু প্রজাপতি, তুই টের পাস না যা আমি পাই , আমাদের দুজনের ভেতর একটা মসৃন মখমলের মত কাঁচ ২০. হুমমমম.. তোমাদের রক্ত খেলাম সারাদিন দারুন সুস্বাদু তোমাদের অত্যাধুনিক-উত্তরআধুনিক সভ্য হাড়িতে আদিম শিকারী মনের ঝাঝালো মশলা বেশী বেশী জোস তোমাদের রক্তপ্রীতি আমাকে অভিভুত করে কারন আমি তো আবার রক্তখেকো মানুষের রক্তই পান করতে ভালবাসি. ধন্যবাদ হে রক্তচোর সভ্য মানুষগণ ২১. শরীরের সব লবণ শুষে নিয়ে বাতাস জন্ম দিচ্ছে এক জ়ারজ সমুদ্র সাবধান হও সব নাবিকেরা এই সাগরে ডুবে যাওয়ার পথ নেয় মানে তোমার পাল মৃত আর পাটাতনে তোমার প্রেম এক কঙ্ক্রিট সমুদ্র চিলের পিঠে বানাচ্ছে চিরন্তনের ডানা চিরন্তন তো তাই যার উড়ার মত কোন আকাশ নেই আমার প্রিয় সব রঙের খুব ঘুম পাচ্ছে কেউ কি আছে যে ঘুমপাড়ানী গান জানে?...??? তাদের ঘুম এনে দাও তাহলে আমি এনে দেব স্বপ্ন ২২. তারা বলে এটাই জীবন মেনে নেয়া আর ডুবে যাওয়া প্রেম, আমি তোমার দিকে তাকিয়েছি আমাকে আর অন্ধ বলে ডেকো না এখানে শীত,বাঘের ক্ষুধার্ত চোখের মত শীত, এখানে মরুভূমি এখানে তোমার উত্তাপে আমার বাঁচতে চাওয়া তোমার মাংস আর হাড় থেকে তুলে আনো ভোরের মত এক অরন্য যেখানে শিশুদের জন্য ডানা বানায় অজস্র ঈগল প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম প্রেম তুমি হও তোমার ,শুধু তোমার ২৩. এইরাত সব ভুলে যাওয়ার মানুষ আজ যেখানে এসেছে সমুদ্র ছেড়ে যতদুর মানুষ যতদুর যাবে মরুভুমির ওপারে ২৪. তুমি আমাকে বলতে পারো আমি কি চাই আমি তা জানি না আমি কুয়াশায় সাদা বকের সবুজ রক্ত খুজি এমন ধরনের অনেক কিছুই বলতে পারো আর আমি তা মেনেও নিচ্ছি যে আমি কি চাই তা আমি জানি না কিন্তু আমি নিশ্চিত যে আমি যা পাচ্ছি,যা দেখছি, যা চাকছি,যা ভুগছি ,যা শুনছি, যা ঢাকছি,যা মাপছি,যা বলছি যা শুনছি ,যা করছি, তা আর একবারেই চাই না এর চেয়ে আমার গোয়াড় মোটা মাথা ভর্তি চাওয়ার শুণ্যতাও ভাল ২৫. অধিকাংশ নারীদেরকে নিয়ে এই অভি্যোগ বা সমালোচনা প্রায়ই শুনেছি আর ক্ষেত্র বিশেষ এ আমি নিজেও করে এসেছি যে, যখন তাদের অল্প বয়স থাকে তখন প্রেম করার জন্য একটু উড়াধাড়া, কল্পনাবিলাসী, ক্যাডার ক্যাডার,প্রথাবিরুদ্ধ, আর অবাস্তব ভবিষ্যত স্বপ্নে উজ্জীবিত আর টইটম্বুর যুবকদের পছন্দ করে কিন্তু বিবাহের কালে ঠিকই তারা একটা কর্পোরেট রোবটকে বিয়ে করে অর্থাৎ তারা বিবাহ করে কিছু নাটবল্টু,এয়ারকুলার যন্ত্রপাতি,গাড়ির ইঞ্জিন আর নরম সোফার সাথে কিন্তু আশ্চোর্যের বিষয় ওই কর্পোরেট রোবট গুলো প্রায়শ নারীদের নিয়ে একি ধরনের অভিযোগ করে আর তাদের অক্ষমতা নিয়ে বিষন্ন হয়ে থাকে। তাহলে পুরুষের এই অভিযোগের... কারন কি? নারীদের উপর তাদের ছড়ি ঘুরাতে চেয়ে ঘুরাতে না পারার অক্ষমতা??? নাকি নারীদের পুরুষ কতৃক বন্দী থাকার অস্থিরতা বা প্রতিশোধ বোধ???? নাকি তাদের প্রেমের প্রতি আদিম সংশয়, অথবা বস্তুগুনে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবার প্রলভোন পুরুষকেই তৃপ্ত করতে??? নাকি দায়ি দুজনের কেঊই না ??? মানুষের আদিম ও অকৃত্রিম বহুগামীতা প্রবণতার উপর সমাজ ও রাষ্ট্র, ধর্মের, নৈতিকতার চাপিয়ে দেয়া অবদমন??? যার শিকার নারী পুরুষ উভয়েই
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.