আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রজেক্ট এক্স ঃ- মানবজাতির ঐতিহাসিক ফরম্যাশন

দৃষ্টির সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রচেষ্টাঃ দর্শন

যা দেখি না তা বিশ্বাসও করি না!...হুক কথা । কিন্তু atheist মামারা আল্লাহ কি কোনো কঠিন বস্তু যে আলোকরশ্মি কোনো উৎস হতে উৎপন্ন হইয়া আল্লাহর উপর প্রতিফলিত হয়ে মানুষের চোখের লেন্সের ভিতর দিয়া গিয়া রেটিনায় আঘাত করলে তবেই আল্লাহকে দেখতে পাওয়া যাবে!!!!...এ দেখি সনাতন মুর্তিপূজকদের মতো অবস্থা , তারা আল্লাহকে দেখতে পেতোনা বলে নিজেই আল্লাহ বানিয়ে নিয়েছিল!...তবে পার্থক্য আপনারা না দেখে কোনো supreme existence এর কথাই বিশ্বাস করছেননা। চোখের উপর আপনাদের এতোই আস্থা?...তবে খেয়াল করুন illusion এর কথা……আপনারা ডেভিড কপারফিল্ড কিম্বা ক্রিস এঞ্জেল এর জাদু বা magic হয়তোবা অনেক দেখেছেন……কিন্তু এখানে আপনারা এখানে যা দেখছেন তাই কিন্তু হচ্ছে না!...... যেহেতু আপনারা যৌক্তিক মন-মানসিকতার মানুষ তাই আপনারা অবশ্যই বলবেননা তারা আকাশে সত্যিই উড়ে……কিম্বা অন্যান্য আজব কাহিনী করে! এই ম্যাজিশিয়ানরা কিন্তু আপনাদের চোখের দৃষ্টিতে উড়ছে……এবং এর কোনো ব্যাখ্যা আপনারা দিতে পারবেননা…কারণ আপনাকে বললে আপনি নিশ্চয় তাদের মতো উড়তে পারবেননা। এখানে কি হচ্ছে? আপনাদের দৃষ্টিশক্তির পরাজয়…… কোনটা illusion আর কোনটা illusion না তা আমরা কখনই sure হতে পারব না......need 6th sense …and just like ‘illusion’ আপনার চারপাশের জগতটা আপনি শুধু চোখ দিয়েই অনুভব করতে পারবেন না। আপনার চোখের দৃষ্টি সবসময় আপনাকে ঠিক পথে পরিচালিত করবে না… প্রাচীন কাহীনি…এরিস্টটল বলেছিল আমাদের বিশাল ফ্ল্যাট এই পৃথীবিটাকে কেন্দ্র করে ছোট্ট সূর্যটা আর অন্যান্য জিনিস অনবরত ঘুরছে ।

তার এই কথা শুধু ঐসময়ের জন্যই নয় চিরকাল পৃথীবির সকল মানুষের জন্যই সত্য…কারন কেউ এইখানে বসে কেউ বুঝতে পারবেনা যে সূর্যটা এতো বড় আর সৌরজগত এমন এখানে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ভুল তথ্য দিবে…and…ঐ সময়ের বিজ্ঞান এই লজিককে বোঝার জন্য তৈরী ছিল না । বিজ্ঞান শব্দটাই আপেক্ষিক এক্সময় যা সঠিক পরে তা ভুল হয়ে যেতে পারে । তাই আল্লাহর অস্তিত্ব বোঝার জন্য এই নড়বড়ে বিজ্ঞান যথেষ্ট না । দরকার এমন এক ইন্দ্রিয় যা দূষিত সমাজের কবলে পড়ে অনেক মানুষই হারিয়ে ফেলেছে । আমি মনে করি পৃথীবির যতো অশান্তি এর মুলে হচ্ছে atheist. আপনারা ইতিহাস টেনে বের করতে পারেন ।

কিন্তু আমার চিন্তা ভিন্ন , পৃথীবিতে আপনারাই সংখ্যায় বেশি । ধর্ম কী?.........এটা হচ্ছে সৃষ্টির শুরু থেকেই এমন একটা আইন যা মানুষের ভিতর থেকে সত্যিকারের humanity বের করার চেষ্টা করে , মানুষের ভিতর নৈতিকতাবোধ তৈরী করে । আর সমাজকে নৃশংস চারিত্রিক অধপতন ,total destruction হতে রক্ষা করে । এটাই ধর্ম। যারা ধর্মীয় লেবাস পরে অপরাধ করে তারা নাস্তিক ।

তারা যদি চিনত supreme existence কে আর ধর্মকে তবে তারা অপরাধের ধারে কাছেও ঘেষতনা। আর ইতিহাস বলে অপরাধীর সংখ্যা অনেক ব্যাপক । কি? আপনাদের মনে হয় আপনারা growing community? absolutely wrong. আপনারা অনেক আগ থেকেই ছিলেন , থাকবেন । আমি বলতে চাই পৃথীবির প্রত্যেকটা অপরাধী , খুনি -নাস্তিক(হোক সে তথাকথিত ‘ধার্মিক’) কারণ সে আল্লাহকে স্বীকার করে না……সে আল্লাহকে চিনে না । যে একবার আল্লাহকে চিনে তার দ্বারা কোনো bad কাজই সম্ভব না ।

এই পৃথীবিতে আস্তিকদের সঙ্খ্যাই কম……নাস্তিকরাই সঙ্খ্যাগরিষ্ঠ। যদিও অনেক বড় একটা অনুপাতই নিজেকে আস্তিকতার বেশে রাখতে চায় । আল্লাহর উপাসকরা কখনই কোনো খারাপ কাজের দিকে ধাবিত হতে পারে না । নাস্তিক হওয়াটাই সোজা যেখানে আস্তিক হওয়াটা সাধনার ব্যাপার। একজন আস্তিকের জন্য প্রত্যেকটা খারাপ কাজই নিষিদ্ধ , যেখানে নাস্তিকদের কোনো সীমাবদ্ধতা নাই……দেখাতে পারবেন একজন নাস্তিক কেনো নিকৃষ্ট কাজ করবে না?......কোনো কারণ নাই ।

মানবতাবোধের কথা বলবেন……আরে সেটা তো ধর্ম থেকে চুরি করা । পৃথীবিতে এমন কোনো মহাপুরুষ দেখাতে পারবেন যারা ধর্ম ছাড়া মানবতার কথা বলেছেন? Allah is everywhere. সবখানে আল্লাহ । পরমাণুর ভিতরে নিউক্লিয়াস আর ইলেক্ট্রনের মাঝে যে বিশাল শুন্যতা আছে সেখানেও আল্লাহ আছেন। কোথায় আল্লাহ নেই? নিউক্লিয়াসের ভিতরে আল্লাহ বাইরে আল্লাহ …প্রত্যেকটা পদার্থ আল্লাহ। প্রত্যেকটা মানুষ আল্লাহ…প্রকৃতি, শুন্যতা, মহাজগত……পুরো জগতটাই এক জলন্ত আল্লাহর অস্তিত্ব………কিভাবে আল্লাহকে দেখতে চান? আপনার সামনের কম্পিউটার স্ক্রিনও আল্লাহর নিদর্শন……আমি আপনাদের কিভাবে আল্লাহকে দেখাব ? আল্লাহ তো আমাদের থেকে separate কোনো অস্তিত্ব না আল্লাহকে দেখতে চাইলে অনুভব করুন নিজেকে……আপনার অস্তিত্বই আল্লাহর দর্শন ।

আল্লাহ হচ্ছে পরম অস্তিত্ব । কিভাবে একে অস্বীকার করবেন? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন কোনো বানরের বংশের লোক আপনি না । আর যদি সেটা মনে করেন তবে তা হবে মানবতার চরম অপমান । আপনার সৌন্দর্য অনুভব করুন , এই প্রকৃতিকে feel করুন অবশ্যই kingdom animalia থেকে আপনি আলাদা । “অশেষ চেষ্টা এবং গুরু ইব্লিসের সহায়তায় ডারউইন সাহেব আর আইন্সটাইন সাহেব অবশেষে ‘ the law of আলোর কাপঝাব’ সুত্র অনুসরণ করিয়া সূদুর অতীতে যাওয়ার বন্দোবস্ত করিয়া ফেলিলেন।

তারপর তাদের গোপন ‘PROJECT-X’ এর সাফল্যের উদ্দ্যেশ্যে টাইম মেশিনে টিউন করিয়া লক্ষ লক্ষ বছর অতীতে চলিয়া গেলেন । তারা মানবহীন ঐ পৃথীবিতে গিয়া খানকয়েক বাদর আবিষ্কার করিলেন । তারা ঐ বান্দরদের পায়ে পড়ে কান্নাকাটি করিয়া লইলেন এবং পুর্বপুরুষ হিসাবে যথেষ্ট সম্মান দেখান । তারা একটি বান্দরের লেজ কাটিয়া লইলেন। তারপর তাদের প্রজেক্ট-x এর কাজ শুরু করিয়া দিলেন ।

তারা মহাসমারোহে বাদরদের ধরিয়া মহাজাগতিক এক অভুতপূর্ব টনিক- হরলিx খাওয়ানো শুরু করিয়া দিলেন,যার ফল হইলো অচিন্তনীয়। অতঃপর তৎকালীন বাদরসম্প্রদায়ের বান্দররা ডারউইন সাহেবের দেয়া অভূতপুর্ব বালুর ন্যায় সুঃস্বাদু horliX খাইয়া stronger , taller ,sharper এবং আরো নানাবিধ গুণে গুনান্বিত হইয়া মানব্যরূপে আত্মপ্রকাশ করিলেন । এবং এভাবেই তাহাদের বিবর্তনযজ্ঞ সমাধা হইয়া গেলো । অবশেষে ডারউইন সাহেব এবং আইন্সটাইন সাহেব পৃথিবীতে ফিরিয়া মানব্যজন্মের এই রোমাঞকর গল্প বলিয়া প্রমাণসরূপ ঐ কাটা লেজটা দেখান। বর্তমান সময়ের মানুষরা উক্ত লেজ দেখিয়া হতবাক হইয়া বলিল ‘হা, ইহাই তো উহা যাহা আমাদিগের পুর্বপুরুষরা পশ্চাৎদিকে ধারণ করিত।

হায় আমরা এতদিন কি ধোকায়ই না ছিলাম । কি কুক্ষণেই না আমরা এতোদিন আল্লা-বিল্লা করিতাম । ধিক এই ধর্মের প্রতি যা কেবল মানুষেরি সৃষ্টি। ” তো brothers ৬ লক্ষ বছর তো হয়ে গেলো, আর কতদিন? চলেন না সবাই মিলে আবার প্রজেক্ট-X শুরু করি stronger,taller এবং sharper একটা চতুষ্পদ next generation জন্ম দিয়ে ফেলি………যেখানে কোনো imaginative god থাকবে না ……সবাই হবে atheist !!!!………………

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।