রাশিয়ার ৩২ বছরের ধনকুবের দিমিত্রি ইতস্কভ এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আর এই পরিকল্পনায় মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে সাইবর্গের আদলে। সাইবর্গ হলো মানুষ এবং মেশিনের একটা মিশেল। সাইবর্গ পরিচালিত হয় নির্দিষ্ট একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। হুস্ করে উড়ে যেতে পারে আলোর চেয়ে বেশি।
এই মেশিন-মানব কিংবা মানুষ-মেশিনের মহাকাশে হাঁটা একেবারেই বাম হাতের খেলা। দিমিত্রি ইতস্কভ বর্তমানে মানুষের স্মৃতিশক্তি এবং ব্যক্তিত্ব অটুট রেখে মস্তিষ্ককে মেশিনে প্রতিস্থাপিত করতে চাইছেন তিনি। কয়েকটি ধাপে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে ভাগ করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে 'অ্যাভাটার'। এর প্রথম পর্যায় অ্যাভাটার-এ।
এই পর্যায়ে ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেস (বিএমআই)-এর মাধ্যমে রোবট-মানুষের একটি প্রতিকৃতি পরিচালনা করবে একজন মানুষ। এই প্রযুক্তিতে বাইরে থেকে একটি যন্ত্র মস্তিষ্কের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। পরের পর্যায় অ্যাভাটার-বি। এই পর্যায়ে মৃত্যুর পর মানুষের মস্তিষ্ক কৃত্রিম একটি শরীরে প্রতিস্থাপিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়, মানুষের ব্যক্তিত্ব অক্ষুণ্ন রেখে হিউম্যান-মেশিন ব্রেন ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ মানুষের মস্তিষ্ক এবং মেশিন একযোগে কাজ করা শুরু করবে।
তিনি আশাবাদী, আগামী ২০৪৫ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যে পেঁৗছে যাওয়া নিশ্চয়ই সম্ভব হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।