অনেক কে দেখি কিছু পড়তে হলে খুব কাছে নিয়ে পড়ছেন। কাউকে দেখি ভুরু কুঁচকে পড়ছেন। কারু ভংগীমাই বলে দেয় পড়তে আরাম পাচ্ছেন না। তখন জিজ্ঞস করি, চশমা কোথায়। বলেন যে, আনিনি, সংগে নেই, পড়তে ইচ্ছা হয় না।
এমন অনেকে আছেন- চশমা পড়ার কথা কিন্তু পড়েন না। বিশেষ করে নতুন যারা চশমা নেন। আবার কারো চশমা পড়া এত ভাল লাগে যে শূণ্য পাওয়ারের চশমা পড়েন।
বাচ্চাদের চশমার ওপর আকর্ষন খুব বেশী। চশমাধারীর কোলে গেলে থাবা মারবে, চশমা নেবেই, নেবার চেষ্টা করতে থাকবে।
আর যদি হাঁটতে পারে এমন বাচ্চা হয় তাহলে চশমা চোখে দিয়ে ঘুরে বেড়াবে।
দেখেছি যারা বেশ সচেতন তারা দুজোড়া চশমা রাখেন। বিশেষ করে যারা চশমা ছাড়া অচল। যদি একটা কোন কারনে ভেংগে যায়, তাহলে? সেই ঝুঁকি এড়াতে দুইজোড়া।
ভুলো মনের যারা তারা চশমা রাখেন জোড়া চেইনের সাথে ঝুলিয়ে।
বাসের বাহিরে মাথা রেখে বসে দৃশ্য দেখার সময় চশমা ছিনতাই শিকার হয়েছেন কেউ।
কেউ চশমার ফ্রেম কেনেন বেশ দামী।
দামের জন্য এখনো অনেক প্লাস্টিকের বদলে কাচের চশমা বানান।
চশমা কেউ রাখেন এর খাপে/বাক্সে বা ব্যাগে। কেউ কোথায় যে রাখেন, অনেকসময় খুঁজে পান না।
মাথার ওপর চশমা তুলে রেখেও চশমা খোঁজেন কেউ। আবার চশমা পরেও চশমা খোঁজেন কেউ।
চশমার দোকানদার বলছিলেন, চশমা খুলতে হয় দুহাতে ধরে।
সিনেমায় নায়ক নায়িকার চশমা পড়া হয় ভারিক্কী বাড়াতে। ফ্যাশন হিসেবে।
সেখানে চশমা খোলার স্টাইল যেমন, আর পড়ারও (রজনীকান্ত)। বুলবুল আহমেদ চশমার কোনায় টোকা দিয়ে তা' ঠিক রাখতেন।
অফিসে, চলার পথে, এক স্যারের কাছে যেয়ে বললাম- স্যার একটা কথা আছে। উনি বললেন, দাঁড়ান আগে চশমা পড়ে নেই। পকেট থেকে চশমা বের করে পরলেন এবং আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, এবার বলেন, কি বলতে চান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।