ভালো থাকতে চাই..। যা কিছু ভালো সেদিকে সবাইকে আহবান.।
অফিসে কিছুদিন আগে eye-camp হল, বিপুল উৎসাহে সকাল সকাল গিয়ে হাজির হলাম। কিন্তু এ কি...। দেখি বিরাট লাইন।
বুঝলাম চোখের ব্যপারে সবাই খুব সচেতন। চশমা ছাড়া এই পৃথিবী কি এখন কল্পনা করা যায় !! একবার যদি জগতের সবার চোখ থেকে চশমা খুলে নেয়া হয় তাইলে কি অবস্থা হবে ভাবতেই ভয় লাগে। আশেপাশে একটু তাকালেই বোঝা যায় দিন দিন চশমা ব্যবহারকারী কতো বাড়ছে। এখন ছোটো ছোটো বাচ্চাদের ও দেখা যায় খুব মোটা মোটা চশমা পরতে হচ্ছে।
এক লোক এক চোখের ডাক্তার এর কাছে গেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, “ডাক্তার সাহেব, আমি কি চশমা পরলে বই পড়তে পারব ?”
“অবশ্যই পারবেন” ডাক্তার উত্তর দিলেন।
“আহা! কি সুন্দরই না হবে আমি এখন পড়তে পারব...আমি এতদিন ধরে অশিক্ষিত ছিলাম” রোগীর উচ্ছ্বসিত উত্তর।
কলেজে ভর্তি হবার আগে আমি প্রথম চোখের ডাক্তার এর কাছে গেলাম। ডাক্তার এর রুম এ ঢোকার পর তিনি আমার দিকে তাকালেন এবং গম্ভির মুখে জিজ্ঞাসা করলেন, “কিহে, ক্রিকেট এর স্কোর টিভি তে দেখতে সমস্যা, তাই না ?” আমি’ত ডাক্তারের দূরদর্শিতায় অবাক !!! আরে আমিতো একারনেই তার কাছে এসেছি। পরে অবশ্য বুঝেছি এটা খুবই প্রচলিত সাধারন পর্যবেক্ষণ।
ছোট বেলা থেকেই চশমা পরার ব্যপারে ব্যপক আগ্রহ ছিল।
নারকেল পাতা দিয়ে চশমা তৈরি করে কতই না দুধের সাধ ঘোলে মিটিয়েছি । আর এখন যখন আসল চশমা সারাক্ষন পরে থাকতে হয় তখন সেটাকে নেহায়েত বোঝা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। এখন আমার সানগ্লাস টাও পাওয়ার যুক্ত। বড়ই দুঃখ। ছোটবেলা থেকে ব্যপক মলা-ডেলা মাছ আর শাকসবজি খাওয়ার পরও চোখের বারোটা কেমনে বাজলো সেটাই আমার কাছে রহস্য ।
প্রথম জামানার আমাদের পূর্বপুরুষ গনের কিন্তু এত চশমা লাগত না , কারন চশমা আবিস্কার হয়েছে বেশ পরে, তার মানে তাদের দৃষ্টিশক্তি বেশ প্রখর ছিল সেটা বোঝা যায়।
১২৬০ সালে প্রথম ইতালী তে চশমা উদ্ভাবিত হয় , কিন্তু সে চশমা কিন্তু এখনকার মত এত সুন্দর ছিল না। সে চশমা ছিল দুই খণ্ড গোলাকৃতি লেন্স যা একটা নাসিকাবন্ধনি দ্বারা যুক্ত । ছিল না কানের সাথে লাগানোর কোন ব্যবস্থা, তাই এটি ব্যবহারে বেশ বেগ পেতে হত। একটু নড়া চড়া করলেই এটি অবস্থান পরিবর্তন করে এদিক সেদিক দৌড় দিত।
এই কানের সাথে লাঠি লাগানোর ব্যবস্থা করতেই দীর্ঘ ৫০০ বসর লেগে গিয়েছিল। ১৭৮০ সালে লন্ডনে, কানের সাথে বাধানোর লাঠিসহ চশমার ফ্রেম আবিষ্কৃত হয়। যা এখন ব্যপক জনপ্রিয়।
উন্নত বিশ্বে এখন ৬০ শতাংশ লোক চশমা ব্যবহার করে , আর উন্নয়নশীল দেশগুলতে ব্যবহারের সংখ্যা বেশ কম। তার মানে উন্নয়নশীল দেশে মানুষের চক্ষু বেশি ভাল এমন মনে হয় না, আসলে আমাদের দেশে অনেকের প্রয়োজন থাকলেও হয়ত সচেতনতার অভাবে আথবা টাকার অভাবে চশমা নিতে পারছে না।
দিন দিন কিন্তু পঞ্চইন্দ্রিয়ের এই ইন্দ্রিয়ের বারোটা বেজে যাচ্ছে , কারন এখন এই চক্ষু ইন্দ্রিয়ের উপর আমরা অত্তাধিক চাপ দিয়ে ফেলসি...সারাদিন ল্যাপটপ, ট্যাব, টিভি আর কতো কি, চোখ বাবাজি আর কতো সহ্য করবে...
Your eyeball weighs around 1 ounce. Think of all the work it does!!!! আল্লাহ্ মেহেরবান । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।