আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চশমা

ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি

ছোটবেলায় চশমা পড়ার খুব শখ ছিল। ওই ফ্যাশন আর কি। আব্বার চশমা, নানুর চশমা পড়ে বসে থাকতাম। আয়নার সামনে বিভিন্ন এঙ্গেলে দাড়িয়ে ট্রায়াল দিতাম। চশমা কপালে তুলে রাখাটা খুব স্টাইলিশ মনে হোত ,চশমার ফাক দিয়ে তাকানোটা মনে হোত পন্ডিত মশাই স্টাইল।

সবাই ডাক দিত হাই পাওয়ারের চশমা পড়ো না চোখ খারাপ করবে। আমি ভাবতাম যারা চশমা পড়ে তারা কত জ্ঞানী, কত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। আবার আরেক দল মানুষ যারা, চশমা পরা মানুষ দেখলে বলত ওইতো ওইতো কানা যায়। যেন চশমা পরাটা একটা দূর্বলতা। তারপরও মনের কোনে চশমার প্রতি আকর্ষন রয়েই গেল।

আম্মাকে বলতাম আমার মাথা ব্যথা করে চোখে কম দেখি। আম্মা বলতেন অনেকেরই এই বয়সে চশমার প্রতি দূর্বলতা থাকে শুধু শুধু চশমা নিয়ে ভাল চোখটাকে খারাপ করো না। স্কুল জীবনে অনেক কষ্ট করে কিনলাম কালো মোটা ফ্রেমের একটা রোদ চশমা। সেটা পরে ভাল মন্দ দুই রকম কমেন্টসই পেলাম। সবচেয়ে মজা লাগছে যে কমেন্টসে তা হল বিদেশী স্মাগলারদের মত দেখতে লাগছে।

তখনকার ইংলিশ মুভি গুলোতে ফর্সা, কমপ্লিট পরা সানগ্লাস চোখের স্মাগলারদের বেশ হ্যান্ডসাম লাগতো। পরার পরতো দেখি সব অন্ধকার লাগে। নাকে কানে কি যেন চেপে বসে আছে। রিতীমত মাথা ব্যথা করে। ভাবলাম মানুষ কিভাবে এটা রাত দিন পরে থাকে।

???চশমা আর ভাল লাগে না আমার। আজ মানসিক প্রেসারে সত্যিই আমার চোখ খারাপ করেছে। ডান চোখে কিছুটা অন্ধকার দেখি। ডাক্তার অবশেষে চশমা দিলেন। কিভাবে যে এটা পরে দিন কাটাবো ভেবে পাই না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।