সার্কের একটা প্রতিষ্ঠান আছে বাংলাদেশে। সেখানে সার্ক সদস্য দেশগুলার কৃষি বিষয়ে নানা তথ্যের ডেটাবেজ তৈরি করা ও ছাপানো হয়। সেখানে আইটি বিষয়ে প্রধান ছিলেন বার্কের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দবির সাহেব (সঠিক নাম দিলাম না)। তো একদিন একজন কম্পিউটার অপারেটরের ৫০০ টাকার নোট হারাইল। দবির সাহেব মিটিং ডাকলেন।
সেখানে নানারকম প্রস্তাবের মধ্যে একজন বলল চানখার পুলে ফকিরের কাছ থেকে চালপড়া আইনা সবাইরে খাওয়াইতে। আরেকজন বলল বাটি চালান দিতে। সেজন্য তুলারাশির জাতক আর কাঁসার বাটি দরকার। পরে অবশ্য ঘটনা আর আগায় নাই, কারণ আমি হেভী টিটকারি মারছিলাম।
রাত্রের খাওয়া সেরে মাইক্রোবাসে উঠে রওনা দিতেই একটা কুচকুচে কাল বেড়াল সামনে দিয়ে চলে গেল।
ভারতীয় আর নেপালীগুলা চেঁচিয়ে উঠলো- কার রোখো, বিল্লি মে কাট দিয়া! মাইক্রোবাসকে তারা বলতো কার। গাড়ী থেকে নেমে তারা রাস্তা থেকে পাথর কুড়িয়ে দূরে ছুঁড়ে মারল। এভাবে কুফা কাটানোর পর আবার রওনা দিলে আমি বললাম, ঐটা নির্ঘাত ডেভিল ছিল, আজ রাত্রে কারো ঘাড়ে চাপবে! কিভাবে জ্বলজ্বল করে তাকাইছিল, দেখছো তোমরা? মেয়েগুলা ভয়ে শিউরে উঠলো। ডিফেন্সের সায়েন্টিস্ট অজয় বললো, তা হইতে পারে! ইসরোর জুনিয়র সায়েন্টিস্ট হিমাংশু বললো, ভয়ের কিছু নাই, পাথরে কাটাকাটি হয়ে গেছে!
একবার আউটিং এ গিয়া এক হাবলু মঙ্গোলিয়ান দুগারচুলুনের মাথায় দিলাম টোকা। দুগারের সাথে আমার সম্পর্ক ভালই ছিল, কিন্তু এইবার সে খেইপা গেল।
আমারে মারে আর কী! শেষে কয়, জানো না, মাথা হইল সবচেয়ে দরকারী (যদিও তার মাথা কোন কামে লাগাইতে দেখি নাই), মাথারে সন্মান করতে হয়। পরে অন্যরা আইসা ঠেকাইল। আরো জানলাম, কোন খালি কাপ, পাত্র বা টুপি কাউরে দেওয়া মানে অপমান করা। এই ঘটনার পর ঐ ব্যাটার সাথে আর কখনো কথা বলি নাই, যদিও সে অবাক হইছিল, কথা ক্যান বলি না।
এক সন্ধ্যায় পার্টি হচ্ছে।
কথা উঠলো ভূত নিয়ে। সবাই নানা অভিজ্ঞতা বলতে লাগলো। কোর্স ডিরেক্টর দিপ্তী চোখ বড় বড় করে শুনতেছিল। আমি মাঝখানে টিপ্পনি কাটলাম, ম্যাডাম, কিছু ভূত যদি আমরা ট্রেনিং দিয়ে আকাশে পাঠাই, তাইলে স্যাটেলাইটগুলা দরকার মত মেরামত করতে পারবে! তখন সবাই মিলা আমারে চাইপা ধরলো। দিপ্তী বললো, তুমি বিশ্বাস কর না এসব? তোমাদের ধর্মে নাই? আমার দেশী ভাই কইল, ম্যাডাম, ওরে বইলা লাভ নাই, ও বড়ই অবিশ্বাসী।
সবাই আমার ভবিষ্যত দূরবস্থার কথা ভাইবা চুকচুক করতে লাগলো।
প্রথম আলোয় কয়েকমাস আগে বড় বড় ছবি দিয়া নিউজ করছিল যে এক পীর বাচ্চাদের পা ধইরা ঘুরাইতাছে, পেটে পাড়া দিতাছে। এই নিয়া অফিসে কথা হইতাছিল। পিআরও সাহেব কইল, এইসব ভন্ড পীর, এগো শাস্তি হওয়া দরকার। আমি কইলাম, ক্যান, পীর-ফকির বিশ্বাস করেন না? হজরত খিজিরের ঘটনা জানেন না? পিআরও কইল, হ্যা, আমারো তা মনে হইছে।
কিসের মধ্যে কি কুদরত আছে কে জানে? একবার একজনরে দেখছিলাম এইরকম পাড়া দিয়া চিকিৎসা করতো, অনেকেই ভাল হইছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।