আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এদের সনদ এক্ষুণি বাতিল করা হোক



বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। একাধিক শিক্ষক কলেজে যোগদান করেও কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকছেন না। শিক্ষকসংকটের কারণে চারটি বিভাগের ক্লাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। নিয়মিত শিক্ষকদের মধ্যে দুজন বেতন-ভাতা নেওয়া ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আসেন না।

আরও কয়েকজন নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। এই অবস্থায় শিক্ষকশূণ্য হয়ে পড়েছে নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, নেফ্রোলজি ও রেডিও থেরাপি বিভাগ। কলেজ প্রশাসন জানায়, একাধিকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় মানসিক রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শফিউল হাসান ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের রফিকুল ইসলামকে গত অক্টোবরে তাৎক্ষণিক বদলী করা হয়েছে। একই কারণে নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম এম এহসানুল হক ও চক্ষু বিভাগের কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৭ নভেম্বর মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠেনো হয়েছে। মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে বিভাগের মাহবুব জাহান আহাম্মদ ও চর্ম ও যৌন বিভাগের অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী মোল্লাকে।

এম এম এহসানুল হক নিজের কর্মস্থলে গরহাজির থেকে বরিশালের এ্যাপোলো ডায়গনস্টিক সেন্টারে প্রতি রোববার বসেন বলে জানিয়েছেন ঐ প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনাকারী ফরিদউদ্দিন। এই সকল অর্থপিশাচ রক্তচোষা বাদুরগুলোর সনদ অবিলম্বে বাতিল করে সৎ চিকিৎসকদের নিয়োগ দানের মাধ্যমে সমাজকে আবর্জনা মুক্ত করার মাধ্যমে দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষা দানের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এক্ষুণি পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না পারলে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানে মানে সরে গিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে তার পদে আসার সুযোগ দেবেন, এটাই জাতির প্রত্যাশা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.