আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেলখানায় ছুটির আমেজ

আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।

রবিঠাকুরের "মেঘের কোলে রোদ হেসেছে" গানটা শুনলেই আমার মধ্যে ছুটির আমেজ চলে আসে, জানিনা গানটার মধ্যে কি জাদু আছে! ছোটবেলায় পড়েছি, পরিশ্রম না করলে নাকি বিশ্রামের আনন্দ পাওয়া যায় না, মাঝে মাঝে অবশ্য এটাকে আমার মিথ্যা মনে হয় আবার মাঝে মাঝে মনে হয় চরম সত্যি। জানিনা কোনটা ঠিক! College a থাকতে আমার সবচেয়ে প্রিয় দিন ছিল কোনটা বলতে পারবেন? হ্যাঁ,শুক্রবার। কোন class নেই, পড়ালেখা নেই, খালি মাস্তি আর মাস্তি। শুক্রবার আসলেই মনটা খুশিতে নাচতো।

সকালে উঠে নাস্তা করেই বন্ধুর বাসায় আড্ডা দিতে যেতাম, ফিরতাম সেই বারোটায়। গোসল করে জুম্মার নামাযে যেতাম, সেখানেও সেই বন্ধুদের সাথে আড্ডা। দুপুরে টিভিতে শুরু হতো বাংলা সিনেমা। আমি আবার বাংলা সিনেমার ভীষণ পোকা ছিলাম। বিটিভিতে সেসময় দেখানো অনেক বাংলা সিনেমাই আমি দেখেছিলাম।

বিকালে আবার যেতাম বাইরে খেলতে অথবা আড্ডা দিতে। কলেজ লাইফটা আমার বড়ই সাদামাটা কেটেছে। মন খারাপ এটা নিয়ে মাঝে মাঝে আফসোসই হয়। ইউনিভার্সিটিতে উঠে আবার ছুটির দিনের মজা পাওয়া শুরু করলাম। 3 days করে ছুটি- বৃহস্পতি আর শুক্রবার,Sat।

বৃহস্পতিবারতো বেশিরভাগ সময় সারাদিন মুভি দেখেই কাটিয়ে দিতাম। তাই Parents day আসলেই বাসায় যাওয়ার জন্য মনটা আকুলিবিকুলি করা শুরু করতো। College a অখাদ্য খেয়ে খেয়ে বাসায় মায়ের হাতের রান্না খাওয়ার জন্য যেন ক্ষুধা লেগে যেত। College a vacation hole বাসায় দৌড় লাগাতাম। বাসায় গিয়ে শুধুই খাওয়া আর টিভি দেখা।

আমি বাসায় গেলেই আমার ছোটভাই বুঝতো টিভির রিমোটটি ছেড়ে দিতে হবে কেননা রিমোট হাতে না থাকলে আমি আবার টিভি দেখতে পারি না। দেঁতো হাসি যদিও প্রতিবারই দু-একটা বই নিয়ে যেতাম পড়বো বলে, সেটা যেভাবে যেতো সেভাবেই ফেরত আসতো, তবুও নিতাম। বাসায় গেলে এলাকার বন্ধুদের সাথেও আড্ডা দিতাম প্রচুর। College theke ফিরে আসার সময় প্রতিবারই মনটা খারাপ হয়ে যেতো সেই বিরক্তিকর ক্লাস, সেশনাল আর হলের বিশ্রী খাবারের কথা চিন্তা করে। এই রুটিন পুরো College লাইফ জুড়েই ছিল যদিনা খুব ইম্পর্টেন্ট কোন ক্লাসটেস্ট অথবা ঝামেলার না থাকতো।

তবে বেরসিক স্যাররা প্রায়ই Fortnightly পরিক্ষা দিতো শনিবারে। আমি ছুটির দিনের আসল মজা পেয়েছি Dhaka এসে। এখানেতো কাজ থাক আর না থাক ইউনিভার্সিটিতে যেতেই হয় সপ্তাহের পাঁচদিন, ছুটির din gulo তাই মধুর মত মনে হয়। উইকএন্ডে এজন্য কোন কাজই করিনা যত কাজই থাকুক না কেন। এখানে শুক্রবার আসলেই মনে হয়, আহ! সামনের দুইদিন কোন কাজ নেই (সপ্তাহের রান্না ছাড়া হাসি ), কি মজা।

আমি শুক্রবার রাত থেকেই মুভি দেখা শুরু করে দেই যা শেষ হয় রবিবার রাতে গিয়ে। মাঝে যদি কোন দাওয়াত থাকে তাহলেতো ভালৈ, খাওয়াদাওয়াটা চমৎকার হয়। আর দাওয়াত না থাকলেও কুচপরোয়া নেহি, নিজের যা রান্না সেটা দিয়েই ভুরিভোজ চলে। তবে ছুটির মজা সবচেয়ে ভালো জমে যদি সেটা লঅঅঅং উইকএন্ড হয়। সেটার সাথে অন্য সপ্তাহের ছুটির তুলনা চলে না।

ছুটির দিনের আরেকটি মজা হচ্ছে ইচ্ছেমত ঘুমোতে পারার মজা। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে না হওয়াটা আমার কাছে ছুটির দিনের ইউনিক গিফট। আমার প্রায়ই উঠতে অনেক বেলা হয়, ব্রান্চ করি একবারে, এরপরে শুরু হয় মুভি দেখা পর্ব। আজ ছুটির দিন নিয়ে এত প্যাচাল পারার কারণ হল, কাল আমার Varsity er ছুটির দিন, মনটা বেশ ভালো। তাই অনেকদিন পরে কিছু একটা লিখে ফেললাম সাহস করে।

কালকে কয়েকটি মুভি দেখতে হবে সেটার একটি লিস্ট মনে মনে তৈরী করেছি, দেখা যাক কয়টা শেষ পর্যন্ত দেখতে পারি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.