জাগ্রত তারুণ্যের জয় হোক
সমূহ বিতর্ক-প্রশ্ন উপেক্ষা করে শাহবাগ আন্দোলনকে তারুণ্যের জাগরণ হিসেবে দেখতে চাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অভিযুক্তরা ছাড়া দেশের সকল মানুষের চাওয়া। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিতর্ক-বিরোধীতার কোন অবকাশ না থাকা সত্ত্বেও বারবার তা-ই হচ্ছে। এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে কোন অবস্থাতেই এর দায়ভার থেকে বর্তমান সরকারও মুক্ত হতে পারবে না।
জামায়াতে ইসলামী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা-অগ্রহণযোগ্যতা পর্যবেক্ষকমহল এতদিন এড়িয়ে যেতে পারলেও আব্দুল কাদের মোল্লার রায় ঘোষিত হওয়ার পর সে প্রশ্ন আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আব্দুল কাদের মোল্লার ঘোষিত রায় নিয়ে প্রকাশ্য সংসদ-রাজপথ এর বাস্তবতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
যুদ্ধাপরাধ মামলায় একটি ইসলামী সংগঠনের কিছু নেতা অভিযুক্ত হয়েছেন, তাদের বিচার চলছে। আমরা একে অন্য আরো অনেকের মত ইসলামী কিংবা রাজনৈতিক দলের উপর বর্তমান সরকারের জুলুম-নির্যাতন হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই না।
আমরা শুধু চাইব বিচারপ্রক্রিয়াটি হোক সুষ্ঠু-ন্যায়ানুগ। এতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত একটি বিষফোঁড়া কোন বিতর্ক ছাড়াই উপড়ানো যাবে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু যদি এ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতার রাজনীতির মারপ্যাচে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকে বান্ধবহীন করার কূটচাল-মতলবে অঙ্ক কষেন তাহলে শাহবাগ স্কয়ার-প্রজন্ম চত্বর এর চেতনা কাংখিত সময়ের নিরব বিপ্লব নিজেদের অনুকূলে-দখলে নেয়ার পায়তারা বুমেরাংও হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সাধু সাবধান।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবী ক্রমে জোরালো হয়ে উঠছে।
আমাদের কাছে স্পষ্ট নয় যারা নিষিদ্ধের দাবি তুলছেন তারা কেন জামায়াত নিষিদ্ধ হোক চাচ্ছেন। এটা কি এজন্য যে জামায়াত একটি ইসলামী সংগঠন- না জামায়াতের একাত্তর এর ভূমিকার জন্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতা-সময়ের রাজনীতি ধারণ করতে ব্যর্থ এ সংগঠন ৪২ বছর টিকে থাকা বিস্ময়ের হলেও এ জন্য বর্তমান স্বাধীনতার সপক্ষের রাজনৈতিক দল-ব্যক্তিরাও কম দায়ী নয়।
সময়ের দাবী-দেশের মাটির স্পন্দন যারা বুঝে উঠতে পারে নাই, তারা বিগত ৪২ বছর রাজনীতি করলো বাংলাদেশে- আমরা আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক কোনভাবেই জানতে পারলাম না- তারা তাদের ‘ভুল’ (যদিও এটা এখন আর ভুল নয় অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে) শুধরিয়ে এই দেশ, এই দেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করেছে কি না?
তবে জামায়াত নিষিদ্ধের আড়ালে আড়ালে অন্যান্য ইসলামী সংগঠন কিংবা ইসলামী রাজনীতি বন্ধ করার কোন হীন মতলব যদি কারো থেকে থাকে; তাহলে সেই বিশেষ গোষ্ঠিকে আমরা আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখতে চাই যে এটা হিতে বিপরীত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।