উন্মাদ খুলির পৃষ্ঠাগুলি
অনেক টিয়ে পাখি
কাউকে টপকাতে পারি না, মধুরিমা এসে হাতের ভেতর গুজে দেয় পাতার মৃদু শব্দ, গভীর রাতের নিঝুম নিরবতা ভেঙে সে জন্যে উপরে উঠার চেয়ে নিচে নামি, তলাতে ভাল লাগে, ঝরে যাওয়া ফুলের মতো চুপ করে বসে থাকলে জানালা খোলার কথা মনে পড়ে, অন্ধকারে চিরুনি হাতে বসে থাকি, তখন একটা দুইটা চুলের সাথে শুয়ে থাকতে ভাল লাগে, কাউকে টপকাতে ইচ্ছা করে না, তলাতে ভীষণ ভাল লাগে, মধুরিমাও সেসময় কপাট খোলে।
খিলের সাথে জড়িয়ে থাকে যে গোপন বার্তা, তা উড়ে উড়ে হাওয়ার সাথে কাশফুলের সাথে ঘুরে ঘুরে আবার ফিরে ফিরে আসে, আমার আশপাশ তখন নির্জনতার পাখিগুলি, পুরোহিতের হাত থেকে ছিটকে পড়া পানির
মতো তুমিও ঘুরঘুর করো, আমি তলিয়ে যায় একাকিত্বের নদে, গাঁদা ফুলের দুঃখ এসে কাছে ভেড়ে, আমাকে কোলে তুলে নেয়, আদর করে, আমি তাঁর কথা ভাবি, অনেক টিয়ে পাখি ভেসে ওঠে পুরনো আয়নার কাচে।
মায়ার দমকা হাওয়ায়
মায়ার দমকা হাওয়ায় সুপ্রস্তুত মৌন প্রাচীর আমার
নিমিষেই উড়ে গেলো, কত দূর থেকে নীল যাদুকর
ইশারায় তোমাকে ছিনিয়ে নিলো, আর আমার বসন্ত
সিক্ত রুমাল ঠুনকো হাওয়ায়ও আজ ছটপট করছে।
একটা পাতার মতো আজকে তোমার পথ চেয়ে আছে
রুগ্ন ঘড়ার গলা, নিশ্চুপ বটির শরীরে জমছে আকাঙ্খা
মেঘ ভালুকের থাবার ভেতর আমি লুকিয়ে ফেলছি হাত
সহস্র বারুদ বর্শা আজ আনন্দে উড়ে যাচ্ছে ঘুমন্ত বনে।
দ্বীপান্তর
সারাক্ষণ স্বপ্নের ভেতর সবুজ প্রাচীর
টোপ খাওয়া ইট সুরকির ভেতর চজ্ঞ্চলতা তোমার উন্মুক্ত দ্বীপ
ছুঁতে চায়
ভেজা ফুল গাছে গভীর রাত ফোটে
ঘন কুয়াশার পীঠের উপর উত্তাল – উদ্দাম হাওয়ার সীমানা
ধূসর অচেনা ফলগুলি বালুর প’রে প্রতীক্ষা করে
আমি মাটি ঘনিষ্ঠ প্রহরীদের
হাড়গোড়
নিয়ে বসে থাকি বাহুতে সদানন্দ কাছে পেতে চায় দ্বীপান্তরখানি
গোপিনীর পাশে রেখে আসা সন্ধে বেলা
গোপিনীর পাশে রেখে আসা সন্ধে বেলা
আর কার কাছে পাবো? শতচ্ছিন্ন নেশার স্ফুলিঙ্গ ওড়ে
প্রফুল্ল স্নানদৃশ্যের ভেতর যখন হরিণী নামে যখন
উড়োচিঠির প্রাপক আর ফেরেনা তখন শয়নঘরে তার
ব্যথিত চাবুক পড়ে থাকে
স্মিত পত্রবাহকের চোখ আর নথিবদ্ধ তৃষ্ণা
আমাদের চৌকাঠে রাত জেগে জেগে আবার ঘুমিয়ে পড়ে
তারে মনে পড়ে না আর যে সন্ধ্যা তারা চেনেনি
বুকের পাশে বই ঘুমিয়ে আছে
ঢেউয়ের পৃষ্ঠাগুলি উড়ে গেছে কাশফুলে
কালো কফি মগ
কালো অন্তর তোমার পুষ্প পাতায় নীল সীমানা জুড়ে নদী স্রোত আমার কফি মগের ছায়া আজ এসেছিল ম্যাচবাক্সের ফুল যাকে তুমি ঘড়ি থেকে সামান্য দূরে সরিয়ে রেখেছিলে, সে এখন ময়ূর পাখায় বেড়াতে যায় ঘুমের ভেতর পায়ের কাছে এসে চুপ করে বসে থাকে।
গভীর রাতে সুরের ভেতর খণ্ডখণ্ড দেহ টুকরো টুকরো স্তন কাঠের বুদ্ধমূর্তি পিতলের বাঁকা দেহখানি খুব ভোরের বাতাসে জেগে উঠে অসংখ্য পাতার সাথে ভেসে যায় দূরে যেখানে তোমার নিদ্রামগ্ন মুখ আর হলুদ কাঁটা পাশাপাশি জাহাজের অপেক্ষায়।
আমি আজকে মাংসের ঘ্রাণ উড়িয়ে দিয়েছি কলতলা মনে পড়েছে সুপারি বাগানের কাছে চোখাচোখি এক হয়ে মিশে গেছে যেইখানে সেখানে আজ ধূপ উড়ছে কয়লার স্তূপে তবু আয়নার ভাঙামুখগুলো সারি হয়ে পড়ে আছে।
কালকে তোমার সাথে মিশবে এই কালো কফি মগ ঘড়ির দাগ তবু থেকে যাবে কবজিতে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।