আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের পথে আওয়ামী লীগের রথ যাত্রা ।

আগামী প্রজন্মের জন্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই।

২০০৮ এর জানুয়ারি ক্ষমতায় আসে দেশের অন্যতম বৃহ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। রথ যাত্রার নির্বাচনে মনোনয়ন দান শুরু হয়। মনোনয়ন প্রাপ্তদের ছিল দুই তৃতাংশ নবীন ও সদ্য দলে যোগ দেয়। সদ্য নির্বাচিত এ দলটি সরকার গঠনের শুরুতেই বাদ দেয় একের পর এক লীগার।

যুগের পর যুগ লীগ করা অসংখ্য যোগ্য ও পরিক্ষিত লীগার থাকার পরও মন্ত্রনালয় জুটেনি এদের প্রায় কারো ভাগ্যেই। দু একজনের উল্লেখ না করলেই নয় আসাদুজ্জামান নুর (সংকৃতি), মখা আলমগীর, ওবায়দুল কাদের, ব্যা. রুকনুদ্দিন। এদের বাদ দি্য়ে যাদের যাদের নিয়ে মন্ত্রীসভা ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হল যোগ্যতা যাই হোক পাবলিক সেন্টিমেন্ট বু্ঝার ক্ষমতা শুন্যে নিচে। আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ এর জন্মস্থান কুমিল্লার ব্রাম্হনপাড়া উপজেলায় অর্থাৎ কুমিল্লা ৫ আসন। এখানকার ৬০% মানুষই জানে না ইনি কে অর্ধবার্ষীক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হয়ে এলেও এর বাইরে তাকে পাওয়া যায়নি কখনই।

ইট কাঠের মা্ঝে বাস এ মানুষটি কিভাবে বুজবেন জনগনের চাহিদা। ইনি কিভাবে বুজবেন কি করার জন্য বা কি পাওয়ার জন্য মানুষ নৌকায় সিল মেরেছে। সারাজীবন কম্যুনিস্ট রাজনীতির করে আসা এই ব্যাক্তিই হলেন আওয়ামী সরকারের আইন মন্ত্রী কপাল পুরলেন আ.ম খসরু, ব্যা. আনিসুল হক, ব্যা. রুকনুদ্দিন, ব্যা. আমিরুল ইসলামের মত পরিক্ষিত লীগারদের। মন্ত্রীসভার প্রায় অর্ধেকই নব্য লীগার ব্যা. সফিকের মত। আর এদের দাপটেই কাপছে প্রশাসন দেশ চালাচ্ছেন পুরো কম্যুনিষ্ট পন্থায়।

আওয়ামী না কম্যুনিস্ট কোন আদর্শে দেশ চালাবেন এ তটস্থ থাকতে হয় সরকারী কর্মকর্তাদের। ফলাফল হাতে হতে প্রশাসনে স্থবিতা। অন্য একটি জঘন্য সমস্যা অনভিজ্ঞ মন্ত্রীপরিষদ। পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুজে সরকার পরিচালনা করতে পুরাতন ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মন্ত্রি সভায় স্থান দেয়া হ্য়। আর এ জায়গায় জননেত্রী রীতিমত নতুনকুড়ীর আসর বসিয়ে দিয়েছেন।

আর এ কান্ডের ফলাফল বিশ্লেষন করতে গিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রসগোল্লা আখ্যায়িত করেন। এতো গেল প্রশাসনে রাজনৈতিক যোগ্যতা এবার রাজপথ সমাচার। সরকার গঠনের পর নতুন ভাবে উজ্জিবিত হয়ে বিশ্বে প্রতিটি দেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দল শুরু করে কর্মী ও সমর্থক সংগ্রহ অভি্যান। এ কাজের জন্য কোন দলকে নেতিবাচক ভাবে দেখার সু্যোগ নাই। এ কাজ কর্মীদের উৎসাহ দিতে গিয়ে এম.পি মন্ত্রীরা যেভাবে হুমকি ধামকি দেন।

পাচাটা মিডিয়া সেগুলোর সমালোচনার বদলে প্রচার করে এ কুকর্মের অংশীদার হয়েছে। বিরোধীদের দলে বেড়ানো এ প্রতি্যোগীতায় বাহবা পেতে দলীয় নেতারা বিচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসীদের সাহা্য্য নেয়া থেকে শুরু করে সাধারন সমর্থক হাতে তুলে দেয় লগি, বৈঠা, ব্ল্লম ও দেশীয় অস্ত্র। অদুর ভবিষ্যতে হয়তো সরকারী চাকুরী পেতে প্রকাশ্যে খুনের যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। নীতি আদর্শে জলান্জলী দলে বেড়ানো হয় সম্পূর্ন বিপরীত আদর্শে লোকদের। আর দলীয় নেতাকর্মীদের ভিন্নমত দমন, লুটপাট, অধিপত্ত বিস্তার, টেন্ডার ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লেলিয়ে দিয়ে ছাত্র ও যুব লীগকে পরিনত করা হয়েছে সয়ংসম্পুর্ণ দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনে।

আর মুল দল আম্বা লীগ দখল করতে সয়ং সভানেত্রী ধরে আনছেন একের পর এক কম্যুনিস্ট (বানর ছানা)। গুতা দেন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.