আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট হায়রে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি-বিচার পতি!!!!

মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে

আজকের টেলিভিশন সংবাদ এ দেখলাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৪জন বিচারপতির শপথ পাঠ করিয়েছেন প্রধান বিচার পতি। যার মধ্যে ২জন বিচার পতি গত চার মাস যাবত শপথের অপেক্ষায় ঝুলে ছিলেন এবং ২জনকে নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবিদের প্রথা অনুযায়ী যথারীতি অনুপস্থিত ছিলেন সরকার বিরোধী আইনজীবি প্যানেল। তাঁরা শুধু অনুপস্থিত ই থাকেন নি-নজির বিহীন ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে প্রধান বিচার পতির সাংবিধানিক কাজে বাঁধারও সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের বিশৃংখলার কারনে প্রধান বিচার পতি কে পুলিশের সহায়তায় তাঁর কাজ সম্পন্ন করতে হয়।

আমি আইনজ্ঞ নই-তাই জানিনা এ রকম আচরন করার অধিকার আইনজীবিদের আছে কি না। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন একজন প্রধান বিচার পতির অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বলেই জানি। সেই দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা আইনজীবিগন ই ভালো বলতে পারেন। আমার কাছে যেটা দৃষ্টিকটূ মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে-দেশের সর্বচ্চ আইন প্রতিষ্ঠানে রাস্তার রাজনৈতিক ক্যাডারদের মত উচ্ছৃংখল স্লোগান দেওয়া,যা বিচার বিভাগের প্রতি এক প্রকার তাচ্ছিল্যতায় প্রমান করে। রাজনৈতিক অধিকার সকলেরই আছে।

একজন আইনজীবি যে কোনো দল ও মতের প্রতি অনুগত হতেই পারেন। কিন্তু তাঁর পেশাগত প্রতিষ্ঠানের প্রতি সামান্যতম সম্মান প্রদর্শন না করে অন্ধ রাজনৈতিক সমর্থকের ভুমিকা পালন করবে সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক!! সরকারী একটা সিদ্ধান্তকে বিরোধীতা করতে গিয়ে উনারা যেভাবে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমুর্তি ধুলায় মিশিয়ে দিলেন, এর পর সেই সুপ্রিম কোর্টের আইন জীবি হিসাবে পরিচয় দিতে তাঁদের লজ্জা করবে কিনা তা তাঁরাই ভাল জানবেন। যে অভিযোগ এনে একজন বিচার পতিকে শপথ পড়ানোর বিরোধিতা করা হচ্ছে-(প্রধান বিচার পতির কক্ষের দরজায় লাথি মারা) আজকের আইন জীবিদের আচরন কি তার চেয়ে কোনো অংশে কম?? আজকের এই ঘটনার সাথে যাঁরা সম্পৃক্ত তাদের মধ্য থেকেও যদি আগামীতে কাওকে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়-তখনো কি এভাবেই প্রতিবাদ করা হবে? যদি করা হয়-তাহলে কি তা অন্যায় হবে? কারন-দরজায় লাথি মারা আর প্রধান বিচারপতির সম্মুখে বিক্ষোভ করে-তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ফাইল ছোড়া-তাঁর কাজে বাঁধার সৃষ্টি করার মধ্যে কোনো ব্যাবধান আছে কি??যেখানে আইন,আদালত ও বিচারপতিদের সম্পর্কে কোনো কথা বললেই আদালত অবমাননা করা হয় এবং কঠিন শাস্তির মুখোমুখী হতে সেখানে এ রুপ কর্মকান্ড কি আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে না? না কি আইনজীবিরা আদালত অবমাননার আওতায় আসেনা??ক্লিক করুন---- বাংলাতে একটা প্রবাদ আছে-ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না-ঠিক তেমনি আমাদের দেশের আইনজীবিদের ও টাকা দিলে দল পাল্টাতে সময় লাগে না। টাকার বিনিময়ে তাঁরা যে কোনো মক্কেলের পক্ষে আইনি লড়াই করতে একটুও দ্বিধা করেন না-বলে থাকেন এটা তাঁর পেশা!! সত্যকে মিথ্যা-মিথ্যাকে সত্য বলে নির্লজ্জের মত কথা বলতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধে না, অথচ-সেই পেশাগত প্রতিষ্ঠানে উন্মত্ত আচরন করে সেই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত প্রমান করতে ঐ প্রতিষ্ঠানেরই আইনজীবিরা কত কষরত করলেন। এক পক্ষ হাতে তালি দিচ্ছে আর এক পক্ষ মানি না মানবনা বলে স্লোগান দিচ্ছে,http://www.prothom-alo.com/detailvoid(1);/date/2010-11-04/news/106705


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.