আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবারে 'বাংলা' শব্দটির উৎস উদ্ধারে

আমার আগের হেডিং টা সরাই দিছি

বিশিষ নুটিস: বিরাট গিয়ানি পোস্ট -- খুব খেয়ালের সাথে পড়িবেন -- পড়িয়া চেয়ার থেকে পড়িয়া গেলে অথবা গিয়ান বিরিদ্ধি না ঘটিলে লিখোক কে ধাওয়া দিবেন না। --------------------------------------------- দিনরাত বাংলা ভাষা ভাশা করি তো সেদিন চিন্তা করছিলাম "বাংলা" বা "বঙ্গ" শব্দের উৎস কি। তো সেদিন স্বপ্নে দেখছিলাম আজ থেকে হাজার/বারোশো বছর আগে পাল সম্রাটদের আমলে একবার নাকি এই নিয়ে খুব তুমুল বাক্য চালাচালি হচ্ছে। তখোনো এই কাদার ঢ্যালা সমগ্র অন্চলের নাম ছিলো "বাঙ্গলা"। একদল পন্ডিত বললেন যে "বঙ্গ" শব্দখানা এসেছে তারো হাজার দুইবছর আগেকার "মহাজনপদ" আমলের একটা জনপদ(শহর) ছিলো "বঙ্গ"।

সেই শহরে পাওয়া যেতে "বঙ" বা "ছিলিম"। তাই ঐ শহরের নাম হয়েছিলো "বঙ্গ"। আরেকদল বললেন যে আসলে "ভঙ্গ" শব্দ থেকে "বঙ্গ" এসেছে। কিন্তু শুরুতে "ভঙ্গ" হলো কেমনে? কারন এ এলাকা হলো নদি ভাঙ্গনের দেশ। খালি মাটি ভেঙ্গে যায় আর চর গজায়।

তাই এটা হলো "ভঙ্গ" দেশ। কিছু গুনি এবার একটু একমত হলেন। বললেন "ভঙ্গ" থেকেই "বঙ্গ" এসেছে। তবে ভঙ্গ নামের কারন আরো গভির। এইটা খালি প্রাক্রিতিক কারনের জন্য না এটা হলো এই এলাকার লোকজনদের চরিত্রের প্রকাশ।

ঐ অন্চলের লোকজন কখোনোই একসাথে থাকতে পারে না। খালি দলাদলি করে। ভাইয়ে ভাইয়ে দলাদলি, শ্বাশুড়ি বউয়ে দলাদলি, রাজা মন্ত্রির দলাদলি। এরকম আরো কত কায়দার দলাদলি যে আছে সেটা এই অন্চলের লোকদের না দেখলেই নয়। তো তারা এরকম দলাদলি করবে আর শেষে যেয়ে সব ভাঙ্গচুর করবে।

তাই ঐ এলাকার নাম "ভঙ্গ"। এমনকি এই এখানেও এই আলোচনার টেবিলে আজকে চলছে পন্ডিতে পন্ডিতে দলাদলি! এই কথা বলার সাথে সাথে দেখা গেলো বাকি পন্ডিতরা খুব খেপে গেলেন। "কি বলতে চান আপনি??", "আমরা দলাদলি করি?", "মিয়া দলাদলি কি জিনিষ বুঝেন সেইটা?", "আপনে নিজে করেন দলাদলি আর দোষ দেন আমাগো" এরকম কথা বার্তা চালাচালি হতে লাগলো। এবার এলেন কিছু গিয়ানি লোক। তারা আবার প্রিথিবির নানান ভাষায় সিদ্ধ, নানান খাবারে পোক্ত, নানান দেশের চলনে রপ্ত।

তো তারা বললেন বন্ধুরা আপনারা শান্ত হউন। শান্ত মাথায় চিন্তা করুন। মাথা শান্ত করার জন্য কদিন ভাত খাওয়া বণ্ধ রাখেন। পেপে আর মাছ খান। কাচা কলার তরকারিও চলবে।

কচুভর্তা হলে তো আরো ভালো। খালি ভাত খাবেন না। তারপর আসেন আলোচনার টেবিলে। তো এই কথা শুনে রাজা বললেন আচ্ছা ঠিকাছে তবে তাই হউক। যান পন্ডিত বাবারা আপনারা এখন যান।

একসপ্তাহ পরে আবার আসবেন। আর একদিন ভাত খাবেন না। তো পন্ডিতরা প্রস্হান করলেন। এক সপ্তাহ পর। পন্ডিতদের মুখচোখ খুব শুকনো।

ভাত না খেয়ে একেকজনের চোখ বসে গেছে। চেচামেচি করার শক্তি নেই কারোর। মহাশয়েরা সবাই তখন শান্ত। তখন গিয়ানি লোকজন বললেন আপনারা সবাই ভুল করছে। "বাঙ্গলা" শব্দের অর্থ বের করতে যেয়ে আপনারা "বঙ্গ/ভঙ্গ/বঙ" নিয়ে এসেছেন।

কিন্তু একবারো চিন্তা করলেন না যে "লা" শব্দটা শেষে এসে লাগলো কেনো। আসলে "বাঙ্গলা" শব্দটি "বঙ্গ/ভঙ্গ/বঙ" শব্দ থেকে আসে নি। এটার মানে হলো: "বাঙময়্" + "গলা" বা "বাঙময় গলা"। মানে হলো এই এলাকার লোকদের গলা থেকে নানান ধরনের ধ্বনি বের হয়। এই অন্চল হলো ধ্বনি বহুল অন্চল।

আমরা বিশ্বের অনেক দেশ ঘুরে দেখলাম কোনো অন্চলের লোক যদি "র" উচ্চারন করতে পারে তাহলে তারা "ড়" উচ্চারন করতে পারে না। যদি "ড়" পারে তো "র" পারে না। চন্দ্রবিন্দুর নসিকাটান পারলে তো "জ" আর "ঝ" এর তফাত পারে না। একদেশে "ক্ষ" উচ্চারন করতে পারলে তাকে সে দেশের সেরা বীর উপাধি দেওয়া হয়। এরোকোম আরো কতো কি।

এই ভাষা শিখলে বিশ্বের বাকি সব ভাষায় কথা বলা একদম সহজ। তাই এই এলাকার নাম হয়েছে "বাঙ্গলা"। এটা শুনে বাকি পন্ডিতরা কিছুই বললেন না। সপ্তাহ খানিক ভাত না খেয়ে তাদের "বাঙময় গলা" দিয়ে চি চি রব ছাড়া আর কিছুই বের হচ্ছিলোনা। তাই তারা যে যার মতো বাড়ি চলে গেলেন।

বাড়ি যেয়ে মহা সুখে ভাত খেয়ে ঘুম দিলেন। তো হে পন্ডিতেরা আপনারা কি বলেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.