দারিদ্রের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও লেখা পড়া ছেড়ে দেয়নি সানজিদা আক্তার শোভা। নিজে প্রাইভেট না পড়তে পারলেও প্রাইভেট পড়িয়ে লেখাপড়ার খরচ অনেকটা বহন করতে হতো শোভাকে। শোভা এবার যশোর বোর্ডের অধীনে গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ- ৫ পেয়েছে।
জোড়পুকুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম ও ফেরদৌসি খাতুনের ছোট মেয়ে সানজিদা আক্তার শোভা । বরাবরই ছাত্রী হিসেবে ভাল হলেও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোন প্রাইভেট পড়তে পারেনি।
অসুস্থ থেকেও অন্যকে প্রাইভেট পড়িয়ে নিজে কয়েক মাস প্রাইভেট পড়েছে সে। বাবার জমি জিরাত নেই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে কোন মতে সংসার চলে তার। তবুও ছেলে মেয়ের লেখা পড়া বন্ধ করেননি।
শোভার পিতা নুরুল ইসলাম জানান, নিজের কোন সম্পদ নেই তার পরও ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বন্ধ করা হয়নি। নিজেরা না খেয়ে ছেলে মেয়েদের খাবারের ব্যবস্থা করা হতো।
শোভার মা ফেরদৌসি খাতুন জানান, মেয়ে ভাল পাশ দিয়েছে এটা অত্যন্ত খুশির খবর তার পরও বড় কষ্ট কিভাবে ওকে কলেজে পড়াবো।
শোভা জানান, নিজের মেধা দিয়ে যতটুকু পেরেছি তা দিয়েই আমি ভাল ফল পেয়েছি। ভবিষ্যত জিবনে শোভা একজন বিচারক হতে চায়। জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক হাসান আল নুরানী জানান, শোভা বরাবরই ভাল ছাত্রী। তার যতটুকু সুযোগ দেয়ার প্রয়োজন তা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে কলেজে ভর্তি ও লেখা পড়ার খরচের জন্য সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সংবাদের ছবি ও সূত্র জানতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।