আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘বেশিরভাগ সময়ই স্কুলে যাওয়া হতো না বেলালের’

বরগুনার গৌরীচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল বেলাল।
বেলাল বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের বাইশতবক গ্রামের মাছ বিক্রেতা আব্দুস সালামের ছেলে।
ফলাফল প্রকাশের দিনও বাবার সঙ্গে তাকে দেখা গেছে বরগুনা শহরের মাছ বাজারে মাছ বিক্রি করতে।
টানাটানির সংসারে তার পড়াশুনা খরচ চালিয়েছেন বড় বোন হালিমা।
তাই আদরের ভাইয়ের পরীক্ষার ফল আনতে সেদিন স্কুলে গিয়েছিলেন বেলালের বোন হালিমা।


বেলালের এমন ফল পেয়ে খুশিতে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরেন। এরপর বাজারে গিয়ে ভাইকে ধরে কেঁদেছেন অঝোর ধারায়। কেঁদেছে বেলালও।
ভাই-বোনের এই আবেগঘন পরিবেশে প্রত্যক্ষদর্শীরাও চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি।  
রোববার সকালেও বরগুনার মাছ বাজারে বেলালের সঙ্গে কথা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধির।


ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী চিন্তা-ভাবনা কী জিজ্ঞেস করা হলে বেলালের নিরুত্তাপ উত্তর,  কোনো চিন্তা ভাবনা নাই ।
এরপর আর পড়াশোনাও করতে চায় না বলে জানায় সে।
পড়াশুনা করতে চাওয়ার কারণ হিসেবে বলে, বড় বোন হালিমার স্বামী নেই। নিজে অন্যের বাসায় কাজ করে দুমুঠো খান। ১০ বছরের একটা ছেলে আছে হালিমার।

এই অবস্থায় হালিমার টাকায় পড়াশোনা করতে তার কেমন যেন লাগে।
বরগুনার গৌরীচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলাল হোসেন শিক্ষার্থী হিসেবে যেমন মেধাবী তেমনি বিনয়ী। বেশিরভাগ সময়েই সে স্কুলে আসতে পারেনি। তার বাবার মাছ বিক্রির পেশায় সময় দিতে হয়েছে।
বেলালের পড়াশুনা চালিয়ে নেয়ায় সহযোগিতা করার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.