পাখি পর্ব চলছে
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালার ৭ম খণ্ড থেকে জানা যাচ্ছে, মূলে ঐতিহাসিক ব্যক্তি হলেও দিনাজপুর এবং রংপুর অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে মাদার লৌকিক দেবতায় পরিণত হয়েছেন। মাদারীয়া সম্প্রদায়ের ফকির শ্রেণীর লোকেরা এই পীরের ওরস নৃত্য-গীত ও জিকিরের মাধ্যমে উদযাপন করেন। মাদার পীর শাহ্ মাদার এবং দমমাদার নামেও অভিহিত (সম্পাদক: ওয়াকিল আহমদ। ২০০৭। পৃ. ৩০৭)।
তবে মাদারপীরের গানের জনপ্রিয় একটি ধারার চর্চা প্রবলভাবে রয়েছে নাটোর এবং রাজশাহী অঞ্চলে। এই দুই অঞ্চল থেকে রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চলের গায়ন এবং গানের উপস্থাপন রীতির পার্থক্য রয়েছে। এই দুই অঞ্চলে পীরের বাঁশ নামে এই গান পরিচিত। রাজশাহী এবং নাটোর অঞ্চলে এটি মাদারের গান নামে পরিচিত। পীরের বাঁশ রীতিতে বছরের বিশেষ সময়ে একটি বাঁশকে বিশেষভাবে সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরা হয়।
কিন্তু মাদারের গানের নাটোর ঘরানায় আসর করে এই গান পরিবেশণ করা হয় রাতভর।
উল্লেখ্য এই পীরের গান এবং এর ভক্ত হবার দ্বার সকল সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সবাই মাদারের গান শোনে এবং এর গান আয়োজন করে। খুব কৌতুলউদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, মাদার পীরের কাছে সর্বসাধারণ পারলৌকিক কিছু চায় না। কারো গরু হারালে, সন্তান অসুস্থ হলে, কিংবা এইরকম কোন কিছুর জন্য মানুষ মাদারের কাছে মানসিক করে।
এই মানসিক পুরণের জন্য গানের আয়োজন করা হয়।
নাটোর অঞ্চলের একটি দলের পরিবেশনার ছবি দেয়া হল। (মাদার বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ চলছে। )
ছবির জন্য এখানে দেখুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।